আমার জন্মের ইতিবৃত্ত
বেরিকেড ভাঙার দিনে-
মিছিলের স্তূপ থেকে
আমার ভ্রুণ জন্মেছিল
সে কারণেই আমি এতটা প্রতিবদী
আলো দুপুরের চকচকে রোদে
ঘাম যখন পায়ে পায়ে যাচ্ছিল সমুখে
কথায় ফুটছিল বারুদের ঝনঝনানি
তখনও কেউ মৃত্যুর খবরে লিখছিল শিরোনাম
সে দিন আমার শ্যামলা মা
আমাকে উঁচিয়ে ধরেছিলেন আকাশের দিকে
আমার শরীরের চকচকে রোদ ফুটছে
হাসিতে প্রগাঢ় আলো-
চিৎকার
জীবনবোধের খুব কাছাকাছি হতে পারিনি
সংসারসিঁড়িটা ভাঙতে আমার পা মচকে যায়
কখনও চিৎকার ফেটে ফুল ফোটেনি
অথচ,চিৎকারের ভেতর রং বেরঙা বেলুন
প্রথার বিপরীত স্রোতে আমি নাবালক ঢেউ
হতেই পারে-আমি প্রথাবিরোধী লোক
খুব সিধে পথে কিছু নেই
ওখানে একটু উল্টো দিকে
যেখানে ঘটনাগুলো ঘটবে বলে মনে হয়
সেখানে বীজ সিঁধে রাখি পথে পথে
যদি তাতে ফোটে জীবন বৃক্ষের চারা
সে পথেই মুলত আমি দাড়িয়ে আছি
মানুষকে ডাকছি আলোর দিকে
দুধ ও জলের দূরত্ব
পিতা নদীকে বলেছিলেন
দুধের নহর হও-
মানুষ মাছের সাথে দুধও মারতে পারবে
খেয়ায় খেয়ায়
নদী তা শোনেনি-
অতঃপর দুধ গাভীতে চলে গেলো
আর জল নদীতে
এভাবে বিভক্তির দূরত্বে জল ও দুধ
মানুষ ভেবেছিল জলে দুধে বাঙালী
জল খেলে দুধ-দুধ খেলে জল
কিন্ত হয়ে গেল মাছে ভাতে বাঙালী
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন