সমসাময়িক কবিতা।। অনন্য রাসেল।। কুয়াশা।। ONONNO RASEL'S POEM.KUASHA





অনন্য রাসেল এর গুচ্ছকবিতা

বৃষ্টি 


বৃষ্টিতে  না ভিজলে বৃষ্টি কী আর ছাড়ে।
বৃষ্টির সাথে তো নাড়ি পোতা আছে।
আগে ছিল বৃষ্টি রোমান্টিক আর মধুর 
এখন যেন বৃষ্টি বিরক্তি আর বেদনা বিধুর।

কর্মের সময় বৃষ্টি এলে বাড়ে বড় রাগ 
বিরক্তিতে ঝরে পড়ে সমস্ত অনুরাগ।
কর্মি যখন ছাতাহীন দাঁড়ায় রাস্তার পাড়ে।
বিরক্ত নয়নে বৃষ্টির ফোটা যেন গাল হয়ে পড়ে।

খন্দের সময় এখন বাহিরে বাড়িতে ধান
বৃষ্টির কাব্য গাঁথা ভেঙে খান খান।

বৃষ্টিতে ধান ভেজে না ভেজে যেন জান
শত শ্রমে জন্মা ধান কমে যায় মান।
পড়ে থাকা সোনা যেন মুহুর্তে মনা 
বৃষ্টির অভিশাপ লেখে বসে নব খনা।

বৃষ্টির হলে পড়ে  শ্রমহীন দিন 
অনাহারে উপবাসে গীত হয় বিলীন।

বৃষ্টিতে এখন ভিজলে করে ভয়
বজ্রপাতে কখন হয়ে যাই ক্ষয়।


দাম্পত্য 


জন্ম এবং লয় কখন যে হয় 
বোঝা বড় দায়।
কার সাথে কার হয় যে মিলন 
যুগ যুগ পার করেও কেউ বেবিলন।

ক্ষণেকের দেখা চিরকালীন হয় 
চিরকালের দেখা ক্ষণেকের লয়।
কত রুপসী নিগ্রোর সাথে করে পার
তাদের প্রেম মধুরতা দেখে অপার।

কত ধনীর দুলালী কুড়ে ঘরে নেয় ঠায়
নির্ধন বালিকা এসে পড়ে রাজার আলয়।
কত শত কাহিনি আছে ছড়িয়ে 
বিয়ে নামক এক অপার বিস্ময়ে।

দাম্পত্য কলহে কত নারী কুপোকাত 
দাম্পত্যে জড়াতে কেহ ধরে অজুহাত।

দাম্পত্য প্রশংসা কেহ নাহি করে 
তবুও মানুষ দাম্পত্যের আচলে লুকায় সংসারে।

তোমাদের দাম্পত্য যেন হর আর গৌরি 
চিত্রাঙ্গদা সেঁজে বধু  ফুটায় মৌরি।


রাজনীতি 


রসগোল্লার মতো ব্যর্থতা গিলে দেখি
নিমফলের মতো সফলতা পড়ে আছে।
অতি সাহসে মুখে তুলে নিতেই 
বমনে বের হয়ে যায় সব সফলতা।

আমাদের রাজনীতি যেন নিমপাতা 
চর্মরোগের মহা ঔষধ 
আমরা বার বার চুলকায় 
আর নিমপাতার কাছে যাই।

নিমগাছ সবার বাড়িতে নাই 
তবুও নিমের ডাল পেলে মন্দ হয় না।
বিপ্লব নিমের ডাল হয়ে দাঁত মাজন করে।

সে পরিষ্কার দাঁতে নিমফল খাওয়া হয় না।

এভাবে বহুকাল ধরে রসগোল্লা গিলতে গিলতে ভুলে যাই-
নিমফল উপকারী, তারেও খাওয়া যায়

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন