মাহবুবা করিম এর গুচ্ছকবিতা।।।poems by mahbuba karim__kuasha

মাহবুবা করিম এর গুচ্ছকবিতা।।।poems by mahbuba karim__kuasha




মাহবুবা করিম এর গুচ্ছকবিতা

স্বর্গের দিকে যাচ্ছি না

আমি সেই জান্নাতকে ঘৃণা করি যে অনন্ত উৎসবে তুমি নেই ;

আমি সেই যমালয়কে ভালোবাসি যেখানে মৃত্যুর হাটঘাট তোমার আঙুল বেঁধে টেনে নিয়ে যাবে শমনালয়ে , যেখানে

                                                      তুমি আছো ; 

তুমি নেই  এইরূপ চুতিয়া পৃথিবীকে ভোগে পাঠিয়ে আমি জন্মাবো না  আর

তুমি নেই  মৃত্যুর পরের জীবনে এইরূপ স্বর্গযাত্রার মিছিলে দাঁড়াবো না  আর । 



অজান্তেই কত কী আছে তোমার 


যতবার হাসো—একটি গাছ রোপন করি অন্তরে । 

জানো কী মেয়ে , সাতশত আট কোটি অর্জুন গাছ ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে হৃদয়ে? তুমি—বিষ ছড়ালেও তা শুষে নিয়ে অক্সিজেন ফিরিয়ে দেয়ার মত এতটা বনাঞ্চল হৃদয়ে নিয়ে ঘুরে বেড়াই এখন ।


যদি ঘৃণা দাও অথবা বিষ , যা-ই দাও–

বনাঞ্চল বাড়ুক—বনাঞ্চল বাড়িয়ে চলেছি নিরন্তন

হাসি থামিও না মেয়ে—হাসতে হয় অনন্তকাল ।


সমুদ্র— ভালো লাগে না মেয়ে তোমার ? তাই অশ্রু লুকিয়ে পাহাড় গড়েছি অন্তর্লীনে । সিঁড়ি কাটি ; কাটতে কাটতে ঘর পাতি ; সেই ঘর নিয়ে ঘুরে বেড়াই অন্তরপুরে । যদি ক্লান্ত হও, এসে জিরোও , শুতে চাও , ঘুমোতে চাও—

যদি নাই চাও —ঘরে আলো জ্বলে—জ্বলুক, ঘরে জোনাক জ্বলে—জ্বলুক। পাহাড় কেটনা মেয়ে—পাহাড় কাটতে নেই ।

যদি তৃষ্ণার্ত হও , হও যদি , জেনো —

একটি মিঠা নদী আজন্ম বয়ে বেড়াই ঠোঁটে ।

অথচ—এক কোটি বছর ! এক কোটি বছর 

কত অজানা ঘর,  বনাঞ্চল ও নদী আছে তোমার -অজানাই ।



ভরসা রাখলে

 

ভরসা রাখলে পাহাড়ি নদীকেও আঙুলের ইশারায় মতিঝিল চত্তর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত বিছিয়ে দিতে পারি। 

জানালায় ঊঁকি দিলেই         সাঙ্গু নদী

পা ভেজাবে?                       ভেজাও রাতেই,

রাতেই, উন্মুক্ত আকাশ আমার আত্মায়-মজ্জায় ঢুকে পড়ে , 

রাতেই–

তুমি চাইলেই বুক থেকে অশ্বিনী - রেবতি - রোহিনী - কৃত্তিকা  এইসব সব তারা তোমার কপালে পরিয়ে দিতে পারি,  বিশেষ করে রাত, রাতেই, আমি লিখে দিতে পারি সব , দিনের আলোয়—ধ্রুবতারাও ঘুমিয়ে থাকে, নদীও ক্ষ্যাপা বাউল হয়ে যায়।

তুমি বরং রাত নাও মেয়ে

রাতে আমার বুকে ফোঁটে দুর্লভ প্রেম ফুল।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন