গোলাপ কাটা ছুরি
মুষ্টিবদ্ধ হাতে তামাটে মাটি
অথচ বললে
উদিত সূর্য্যের অপচ্ছায়ায় 'রক্তচন্দন ঘাটি'
এরকম বিভ্রাট আগেও দেখেছি
ঝরা ফুল ছায়ায় হেসেছিল বিরহকাতর রজনী
তুমি যখন বললে
নীলাভ মেঘে আচ্ছন্ন গোলাপ-কাটা ছুরি
তখন-ই বুঝে গ্যাছি
সর্পিল সাঁতারে হেঁটে যাওয়া অক্টাভিয়ন যুদ্ধে ক্লিওপেট্রার এ্যান্টনি!
গোর্কি মশাল
কোথাও কি ঝড় হয়ে গেছে, বৃষ্টি বাতাস?
এদিকে মরা গাঙ, কোথায় পাই যুবতী স্নান?
গলার তৃষ্ণায় যতটা আটকে থাকে বাসনার কাঙ্গাল
আসলে ততটা ভিখারিপনায় দেখা হয় নাই
নিজেরই পুড়ে যাওয়া আগুন উদ্দীপ্ত সকাল
পুড়ে যাওয়া ভিটেয় এখন দুপুর গড়িয়ে বিকাল
এদিকে রক্তজবায় নুয়ে পড়েছে ঝুমকোলতার ডাল,
দূরে..., গৌতম নিস্তব্ধতা ছাড়িয়ে
যেখানে গীর্জার ঘন্টায় ব্যথাতুর ক্রুশ যেন গোর্কি মশাল
সেখানে নীল নীল আকাশ ছুঁয়ে জেগে উঠে যোহন সকাল!
রমণীয় আগুন
পাথরের ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছি
তুমি বললে
চৈতন্য-বধে শিলা খণ্ডিত রচিত পুরাণ
তার কাছে যাও, দেখ
বাজ কাটা ডানা নিয়ে বসে আছে মুনি-ঋষিগণ
রমণীয় আগুনে পেলেও পেতে পারো মেঘেঢাকা শারদীয় তপোবন
কে জানতো পালকে আমার বরফ আচ্ছাদন?
আগুনে পোড়া ডানায় কখন যে হলো রমণী সম্মোহন
তা জানতে যখনই শরণাপন্ন হলাম তোমার
তুমি বললে
এ সীতা হরণ অভিশাপ, নিশ্চিত থাকো
হন্তারক বেশে এ যাপন নির্ঘাত শুদ্ধি অভিযান !
৪০২ নম্বর রুম
কবিতার গলায় রশি বেঁধে যাকে টেনে নেয়া হচ্ছে
আসলে সে ভুলক্রমে ঢুকে পড়েছিল
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ৪০২ নম্বর রুমে,
উপস্থিত সভাসদ বুঝেও না বোঝার ভান করে
উত্তরীয় সমেত চন্দ্রাকৃতি ক্রেস্ট ঝুলিয়ে রাখলেন
বিশালাকৃতির হাঙ্গর গহ্বরে
এতে কবি আরও ক্ষিপ্ত হলেন এবং বললেন -
গ্যালিলিও রিভিউ করলে দেখা যায়
সত্য চাপায় লেখা হয়েছিল মিথ্যা ইতিহাস, আর
সক্রেটিসের বিচার ত কবি বিদ্বেষেরই পরিণাম
উপস্থিত সভাসদ
কবিতায় উপমা আর রূপকের যে কারুকাজ
তা যেন কাঁচুলি আবৃত অদেখা স্তন-ভাগ,
চাঁদ তারায় সূর্য ফেঁসে গেলে
নবনীতা যদি বৃষ্টি-জলের বুদবুদেই হেসে ওঠে
তাহলে বুঝে নিও
প্রেমিক বুকে ভাসান গাঙের বেহুলা-ই কবিতা!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন