সম্পাদকীয়ঃ কুয়াশা ওয়েবজিন। নভেম্বর সংখ্যা।২০১৭।

Top News

সম্পাদকীয়ঃ কুয়াশা ওয়েবজিন। নভেম্বর সংখ্যা।২০১৭।


সম্পাদকীয়ঃ কুয়াশা ওয়েবজিন। নভেম্বর সংখ্যা।২০১৭।

প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি যে আমি সঠিক সময়ে কাজ সম্পাদন করতে না পারার জন্য। প্রতি মাসের পনেরো তারিখের আগেই কুয়াশা ওয়েবজিন প্রকাশ হয়ে থাকে। কিন্ত এবারের সংখ্যায় তার ব্যত্যয় ঘটলো। পারিবারিক কিছু সমস্যার কারনেই সঠিক সময়ে কাজ করতে পারিনি এবং কাঙ্খিত পরিমাণ লেখাও স্থান দিতে পারিনি। নিজের কর্ম ব্যস্ততাও সময়ক্ষেপণেরর জন্য দায়ী। 

দেশের সার্বিক  পরিস্থিতিতে সাহিত্য করা খুব মুশকিল। তারপরেও নিজের দায়বদ্ধতার কাছে তো আর হার মানা যায়না। মেধা হচ্ছে গোপন ক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ। মেধা ও মননকে কখনো দাবিয়ে রাখা যায়না।সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় সকল পরিস্থিতি উপেক্ষা করে আমাদিগকেই এগোতে হবে। কলম ধরতে হবে। ডায়েরীতে, খাতায় লিখে রাখতে হবে - যখন যা ঘটবে। যখন মনের দ্বারে দায়িত্ব এসে উঁকি দেবে। আমরা সকল বাধা,সকল অন্যায় উপেক্ষা করে দায়িত্বশীল হতে চাই। দায়িত্ব নিয়ে কলম ধরতে চাই। রোহিঙ্গা নাম নিয়ে গ্লোবাল পলিটিক্সে যে ধূম্রজাল তৈরী হয়েছে সেটাকে পরিস্কার করার দায়িত্ব আমাদের। সহিত্যকে সঠিক জায়গায় নিতে হবে। কোন প্রকার কলুষতা সাহিত্যকে আঁচড়াতে পারবেনা। 

হে যুবক,হে কলম সৈনিক !  কেউ কি বেঁধে রাখতে পেরেছে মানুষকে - মানুষের জালে! অথচ আমরা কিছুটা হলেও আটকা পড়ে আছি। এটা পরিস্কার যে মানবতাকে ভূ- লুন্ঠিত করেছে সূচি নামক নরখাদক। এটা আমাদের সভ্যতাকে আঘাত করেছে। আমাদের ইগোতে আঘাত করেছে। এটাই সঠিক সময়, জাগবার এবং জাগাবার। এটাই সঠিক সময় চোখ মেলে তাকাবার। জাহেলিয়াত বলে যে সভ্যতাকে মানুষ চেনে সেই সভ্যতাকেও টপকে চলে গেছে এই মায়ানমার। ৫০০ হিজরীতে যা - না ঘটেছে এই মায়ানমার তা ঘটিয়েছে। সভ্যতার চরম মৃত্যু ঘটিয়েছে। প্রত্যেক সমাজের দাবি,প্রত্যেক মানুষের দাবি রক্তের প্রতিশোধ নেয়া উচিত। 

আমরা ধন্য যে এমন কুসভ্যতাকে নিয়ে বহু সাহিত্য হয়েছে,কবিতা হয়েছে, গল্প হয়েছে। মিডিয়ারাও সোচ্ছার ছিলো - দেশি বিদেশী গবেষক,কবি, সাহিত্যিকদের লেখা সঠিক সময়ে তারা পত্রিকায় ছেপেছেন। আমার " কুয়াশা ওয়েবজিন,, তারই বহিঃপ্রকাশ স্বরুপ। সাহিত্যের প্রথম কথাই হলো মানুষ, মানবতা,সভ্যতা - যা কিনা মানু্ষের কল্যাণে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন