সু শা ন্ত হা ল দা র এর গুচ্ছ কবিতা।। কুয়াশা poem by sushanto halder

সু শা ন্ত হা ল দা র এর গুচ্ছ কবিতা।। কুয়াশা poem by sushanto halder












সু শা ন্ত  হা ল দা র এর গুচ্ছ কবিতা


জীবন যখন নিশ্চুপ

‎এভাবেও দিন যায় 
‎জীবন যখন নিশ্চুপ অলিখিত বেদনায়
‎মেরেছে ছুরি বুকে পিঠে বল্লম কাতরায় 
‎সে কথা বলেনি সুহাসিনী যদি দুর্বিপাকে পড়ে যায় 
‎বলা ত যায় না কিছুই 
‎যদি অযাচিত মৃত্যু এসে নিয়ে যায় প্রাণ সহসায় 
‎আমাদের দিন কাটে 'জননী' অবমাননায় 
‎ইতিহাস ঐতিহ্য বিবর্জিত মানুষ যখন সামনে এসে দাঁড়ায় 
‎দেখি, স্বদেশী শত্রু কাতারে কাতারে আমারই মৃত্যু কামনায়
‎ঈশ্বর তুষ্টিতে বয়ান দিচ্ছে প্রগলভ প্রার্থনায় 
‎হে জননী! দেশ মাতৃকা 'বাংলাদেশ'
‎সারা দেহে ক্ষত নিয়ে বেঁচে আছো নির্ভাবনায় 
‎অথচ কথা ছিল রক্তচন্দনে সুসজ্জিত হবে ঋতুবতী বাংলায় 
‎এভাবেও দিন যায় 
‎যন্ত্রণাকাতর মুখে যখন মায়ের 'হাসি' শালিক হয়ে উড়ে যায়
‎আমাদের দিন কাটে চৈত্র-খরায় দাবদাহ ভাবনায় 
‎পাখি সব যদি উড়ে যায় বৃক্ষ-ছায়া অবহেলায় 
‎যদি না ফোটে আর রক্ত কমল ধানিজমি জলাশয়
‎যদি শ্রাবণের মেঘ ধর্মঘটী হয় আমারই আঙ্গিনায়,
‎তবে কি তুমুল ঝড়ে দিকভ্রান্ত হবো কালপুরুষ সামিয়ানায়? 

‎ভাগ্যের বিড়ম্বনা 
‎ছয়টা বিশে তোমার আসার কথা ছিল
‎জানালায় তাকিয়ে দেখি 
‎তুমুল বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে সাদা লাল হলুদ বকফুল 
‎দারুচিনি গাছে যে কাক বসেছিল ধ্যানে 
‎তারও পা কাটা কারো না কারোর ঢিলে 
‎কামরাঙা বরাবর যে পামগাছটি ছিল ঠাটাপড়া ঝাউ উঁচিয়ে 
‎তাকে দেখলাম 
‎শেকড় শুদ্ধ উপড়ে গেল হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে 
‎আমি অপেক্ষা করলাম, অপেক্ষা করতে করতে 
‎দেখতে পেলাম 
‎কিঞ্চিৎ চেয়ারের শব্দে
‎দরজার কাছে লেজনাড়া কুকুরটিও খেঁকিয়ে উঠলো অজানা কোন সঙ্কেতে 
‎এতে তিনবার বজ্রপাত হলো আদিবাসী মুরং ঘেরা পাহাড়ে 
‎অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠলো বুক তক্ষক ডাকে 
‎বেয়াড়ার হাতের দস্তানা খসে পড়লো দ্রাক্ষারস উপচিয়ে 
‎পাশে বসা বিদেশিনী
‎যার সুলোচনা চোখে পৃথিবী জোড়া বিস্ময় আবক্ষ ভিজে যাওয়া ভয়ে 
‎অথচ সামনেই বসে থাকা বনফুল
‎যার মিহিঠোঁটে হাজার বছরের তৃষ্ণা প্রস্তরিত লাল মৃত্তিকা প্রলেপে 
‎এমনই দিনে যখন আসলে না অশ্বখুর কাঁপিয়ে 
‎তখন ভেবে নিতেই পারি 
‎আশান্বিত দিনে লিখা হলো না আর 'কবিতা' সুনীল চুম্বনে!  


‎আমাকে যে ভালোবাসে
‎আমাকে যে ভালোবাসে 
‎সে নিজেও জ্বলে
‎জ্বলে জ্বলে ছারখার বসন্ত উৎসবে 
‎জ্বলেছি ত কতবার 
‎প্রেমে জ্বলা কাঠ যখন পুড়িয়েছি আগুনে 
‎মিথ্যা বলবো না
‎বিগত ফাগুন যখন নিবে গ্যাছে চৈত্র খরতাপে 
‎বিগলিত প্রেম ঝরেছিল মুকুলিত বৈশাখ আশ্রমে 
‎বর্ষার এই মেঘবৃষ্টি দিনে 
‎পোড়াতে যদি চাও বিরহ বিচ্ছেদ অনলে 
‎সত্য-ভ্রষ্ট এই নিন্দুকের দেশে 
‎আসিও ছিন্নপত্র মৌন কোন বিকেলে 
‎যেখানে পাতাঝরা রাত জ্বলে যায় সোহাগি চিতার ক্রন্দনে 
‎আমাকে যে ভালোবাসে 
‎সে এখন নিদ্রারত বারুদ ঠাঁসা 'সুকান্তে'

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন