তাছাদ্দুক হোসেন এর ছড়াগুচ্ছ
ব্যাগ
এই ব্যাগেতে স্বপ্ন ছিলো
ছিলো আশার বাতি
আঁধার মোছার ইরেজ, কাটার
পাঠ্য সবুজ সাথী।
মায়ের হাতের পরশ ছিলো
ছিলো বোনের হামি
নানান রকম টিফিন ঠাসা
মামনির পাগলামি।
একটা ছোট গুলতি ছিলো
লাটিম ছিলো এক
ফেরার পথে পক্ষীকে টিপ
লাটিম ঘুড়ান দ্যাখ!
চাঁদনী রাতের জোছনা ছিলো
গোপন পকেট ভরা
গোপাল ভাড়ের কিচ্ছা হাসির
কতকটা মশকরা।
হারিয়ে গেলো ব্যাগের মালিক
শূন্যে গেলো চলে
আমরা মিছেই কাঁদছি শোকে
হতচ্ছাড়ার দলে।
একগুঁয়ে
লিখন লিখেই বিখ্যাত হন
লিখেই আবার কুখ্যাত
একটু খুঁজেই যাবেন পেয়ে
সেই সে দামীলোক খ্যাত।
তল্পি ধরার স্বভাব আছে
চাটতে পারেন দুই পা...ও
দেখলে কী যে লজ্জা পেতেন!
চর্যাপদের লুইপাও।
যুগের হাওয়ায় তাল মিলাতে
পাল্টিয়ে দেন বোলটাকে
মেডেল পেয়ে পাল্টে ফেলেন
নিজের চোরের কূলটাকে।
অন্ধ কানা বধির বোবা
আঁকড়ে থাকেন তেল মেরে
মোসাহেবীর তকমা লাগা
চাকরি বাগান ফেল মেরে।
পুরস্কারের ভারতো অনেক
ধরছে না আর আলমারি
কিনতে হবে স্টীলের দেরাজ
উল্লাসেতে ফাল মারি।
গোঁয়ার বেটা ঘাড়টা ত্যাড়া
আঁকড়ে থাকে মন্দটা
নোংরা পচা বহুত চয়েজ
বিভৎসতার গন্ধটা।
ভাঙবে তবু মচকাবে না
গোপালভাঁড়ের নন্দটা।
চিনেই রাখুন চিনতে হবে
এই ব্যাটাদের,কান ধরে
বের করে দেন আসবে তবেই
শান্তি, জাতির জান ধরে।
চ্যাট জিপিটি
হায়রে একি কাণ্ড দেখি
গড়গড়িয়ে চলে
বলতে গেলেই যায় হয়ে যায়
চোখের পাতার পলে।
বইকে দেবেন ঘোমটা চারু
ঢাকতে মুখের ক্ষত
আদেশ পেলেই নক্সা পাবেন
ইচ্ছে মনের মতো।
কাব্য লেখার বাক্স এটা
দিন ইশারা একে
আজব আহা চট করে সে
গান কবিতা লেখে।
কবি হবার খাটনি ঝাড়ুন
বুদ্ধিকে দিন রেস্ট
সংস্কৃতির এই ফেক্টরিটা
সবার সেরা বেস্ট।
ঘরে আনুন নতুন বিবি
সঙ্গে জড়ির সেট
ফুরফুরা গা বউয়ের কী নাম
চ্যাট জিপিটি চ্যাট।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন