বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

আগমন নির্গমন সূত্রু ।। ভাস্কর চৌধুরী


















আগমন নির্গমন সূত্র 

তুমি যদি আসো, তুমি যদি এসে বসো বসতবাড়িতে,
এক কোয়া রসুনের মতো তুমি যদি সাদা শাড়ি পরে আসো , 
যে শাড়িতে, নীলাভ অথবা সবুজাভ, মেরুন রং হয়
পেঁয়াজের পরত খুলে খুলে শত রঙের খোলসে একটা পেঁয়াজ সাজে
কত শত বৃক্ষ হলে বনভূমি হয়, বনভূমি মানে মানুষের পাড়া
পাতার পাড়াগুলো বৃক্ষ শাখায় দোলে, একটু বাতাস পেলে শাখা গলে কিছু পাতা পড়ে যেতে পারে
মানুষের পাড়ায় বাতাস এলে, ঝাপ্টা মেরে কিছু কিছু ঝরিয়ে নিয়ে যায়
প্রাণে প্রাণে দোলা এলে প্রাণের উচ্ছাস বাড়ে, মনে মনে হওয়া এলে মনের উচ্ছাস বাড়ে
সাগরের তীরে জোস্নার উচ্ছাস এলে, বিয়ারের ক্যান বাড়ে
সকালে বালকগুলো বিয়ারের ক্যান গুলো কুড়িয়ে কোথায় হারিয়ে যায়
পাতা ঝরা বনের ভেতরে পাতা কুড়ানো মেয়েগুলো পাতার মৃত্যু কুড়িয়ে লোকালয়ে হারিয়ে যায়
লোকালয় থেকে কেউ কেউ ফের কারো টানে, কোথাও হারিয়ে যায়
মানুষের নাগরিক শাখার বসতিতে এক ভিটে বাড়িতে শতেক মানুষ বাস করে
তাদের অনেক ঘর মোছা গৃহকর্মী লাগে, তারাও ঘরের সকল ময়লা সরিয়ে 
আরেক ধরণের বসতিতে হারিয়ে যায়,
ঠিক এইভাবে, পাতা ও পাখি, মানুষের বিয়ারের ক্যান এবং মানুষের নানা পথে নির্গমন ঘটে
নির্গমন এক চলমান ক্রিয়া জগৎ সংসারে
নির্গমন ছাড়া আগমন কিভাবে ঘটে?
এভাবে চিন্তা রাজ্যে কিছু চিন্তা হাঁটে, কিছু চিন্তার নির্গমন ঘটে আর কিছু চিন্তা প্রবিষ্ট হয়
এটিও চিন্তা জগতের চলমান ক্রিয়া, ক্রিয়া ঘটে গেলে ভেতরে ভেতরে প্রতিক্রিয়া ঘটে যায়
প্রক্রিয়াগুলো প্রায় একই রকম ভাবে, মিলিত হয়ে ফের পরমাণু ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে
চিন্তার বিস্ফোরণ ঘটে গেলে, গ্যালাক্সির পর গ্যালাক্সির জন্ম হয়
বিগ বাং তৈরি হয়, কত কিছু আড়ালে আবডালে হয়ে গেলে
আবার আঁতুর ঘরে মানুষ জন্ম লয়, মানুষের জন্ম অতি আঁধারে, নিত্য কাল ঘটে,
নীরবে নীরবে ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়ায় যেখানে যেমন পারে, আগমন গুলো শিশু থেকে বড় হয়ে ফের চলে যায়
বিয়ারের ক্যান হতে ফস করে জল গুলো, গলাতে গড়ায়
প্রতি লোকমা খাদ্য , পেটে গেলে, পরিনাম হয়, 
জীবন ও জন্ম এক বর্জ্যের নাম
নাক্ষত্রিক বর্জ্য গুলো মহাকাশে ভাসে
মানুষ এসে চলে গেলে বলো, কি যায় আসে ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন