বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮

বন্ধু ।। সুশান্ত হালদার










বন্ধু 
   

বন্ধু -
বড় দুঃস্বপ্নে কাটে রাত, মমত্বহীন পৃথিবীতে বৃদ্ধামাতার ঘন নিঃশ্বাস, তার না ঘুমানো চোখের পাতায় হাজারো প্রশ্নের অজানা উত্তরে হই নির্বাক।তবুও বুকের জমিনে বুনে যাই একাত্তরের বীজ বারোমাস।কি পেলাম,কি পেলাম না? এ প্রশ্নের উত্তর অজানা আমার কারণ এ পলিমাটিতে ফসল ফলে না বারোমাস,এখানে দস্যু দ্বারা লুট হয় গোলা ভরা ধান,এখানে কৃষকের ললাটে লেখা থাকে শ্রেনীবিন্যাসের অভিধান।এখানে কৃষাণীর বুক মহাজনীর আস্ফালনে কাঁপে থরোথর। প্রেম ভালোবাসা - যা ছিলো বঞ্ছিত মানুষের অহংকার আজ তাও বুর্জোয়ার লালসায় ধনিকশ্রেনীর হয়েছে গচ্ছিত অধিকার।

বসন্তের আগমনে ঝরাপাতা করে বিলাপ, শিশিরের কান্নায় লতাগুল্মের উঠেছে নাভিশ্বাস তবুও চৌচির মাটি করে হাহাকার কখন হবে শান্ত বুক নীলাম্বরীর নীল দরিয়ায়। চোখগেলো পাখি যদি ডেকে যায় অবেলায়, ব্যাধের তীর যদি শিকারের সিনা থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তবে ধনুকের ছিলায় বেঁধে প্রাণ লাভ হবে কী আর! যে যাবার সেতো যাবেই লক্ষ্য যদি হয় পঁচাগলা ভাগাড়।

বন্ধু -
বিনয়ে হয় না মানুষ তৃপ্ত অর্থই ব্যারোমিটার - উচুনিচু ভেদাভেদ মাপবার! যদি হও নাড়ীকাটা জোঁক এই বৈষম্য সমাজের, তবে হবে তৃপ্ত গরীবের রক্ত পানে। বেঁচে থাকবে হাজার বছর নরম কেদারায় বসে থেকে।কিবা আসে যায় বোমাবাজি, সন্ত্রাস, খুন রাহাজানিতে! নারীর শরীর লেহনে ঢেঁকুর তুলে দেবে ধন্যবাদ ওই বোবা ঈশ্বরকে! ধর্ষিতা যদি জ্বলে উঠে প্রতিশোধের অনলে সেদিন পুড়ে হবে খাক যত আছে চিল শকুন রাজাকার।

হৃদয়ে আমার একাত্তর, নয়নের বহ্নি অগ্নিবীণা,অপূর্ব প্রেমে সাজিয়েছি শেষের কবিতা, চন্দ্রের প্রেমে ঝলসে গেছে সুকুমার তবুও স্বপ্ন দেখি শতছিন্ন বস্ত্র গায়ে আমার কবিতা হবে  বীরাঙ্গনা। কবিতা যদি বলে কথা - অন্যায়ের টুঁটি চেপে ধরবেই দাড়ি ডট কমা।চলে যদি যাই ভেবো না বন্ধু আমার - কবিতার পয়ার ধরে নিশিরাতে বলিও দু'টি কথা!! 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন