কাজল আচার্য এর গুচ্ছকবিতা।। poem by kajal Acharaya--কুয়াশা











কাজল আচার্য এর গুচ্ছকবিতা
অসংরক্ষিত আসন

সে বাগানে যেতে ইচ্ছে করে খুব
যার মালি আগে ভাগে কতগুলো গর্ত খুঁড়ে রাখে
তারপর গাছ নিয়ে এসে জায়গা অনুসারে বসায়
অনেক জিজ্ঞেসা করে আগে ভাগে কিছুই
বলতে চায়নি বা  ঠিক করেনি
বহুদিন হয়ে গেল যাওয়া হয়নি
আজও কী সেই মালিই আছে ?
নিদিষ্ট জায়গায় সারি সারি চেয়ার পাতা
গেস্ট সাধারণ
এখনো নিদিষ্ট করে উঠতে পারেনি কর্মকর্তারা
কাকে ফুল আর কাকে যেখানে পারো বস
মনে মনে আঁকেছে সে ছবি...


যদি ফিরে আসে

বাড়ির পাশে নিঝুম দেবদারু
পাশাপাশি যাবো, গলি সরু।
অথচ ইচ্ছে জ্বলে সারা রাত
ভালোবাসা, তুমি এখন কোন কাত ?
বা হাতের নীচে পুরানো সেই দাগ
তখনও রাস্তা হয়নি কিন্তু ভাগ।
হয়নি কথা যেভাবে হয় সন্ধ্যায়
কাছাকাছি দুজন, ভয় নিন্দায়।
জলে ভাসে কাঁপা কাঁপা দুই শরীর
রাজা কোথায়, পড়ে পোশাক জারির।
পড়ে আছে হলুদ রঙের বাড়ি
আমাদের স্বপ্ন অলীক সেই গাড়ি।
চায়ের কাপের যুগলবন্দী গল্প।
সেই কথা, ব্যথা ছেপেছে খুবঅল্প।
তোমার কাছে ফিরবো কীভাবে
বারো মাস থাকি যে অভাবে।

  
স্বজন

যে পাতাগুলো চিনতাম
সে গাছের ফুলগুলো অপরিচিত।
ফল তো অনেক দূর
বাধা বিপত্তির ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা।
প্রতিবেশী মানুষগুলোর গা জবজবে ভেজা
তখন দুপুর,
'দেবাশিষদা আপনিও'
ভিড়ে মিশে গেছে সবুজ আশ্বাস 
আমি নিরঞ্জন ,
চেঁচিয়েছি অনেক 
আঁচড়ানো কামড়ানোর দাগ শরীরে
মাস ফিরে গেছে বছরের গায়ে।
যে পাতাগুলো চিনতাম
হঠাৎ দেখছি ছোঁপ ছোঁপ দাগ
কার গা থেকে ঝরেছে 
কাছে ধারে যারা আছে এরা কী খুলবে... 

 
খুঁজছি  ঔষধি বৃক্ষ

একটার বেশি দু'টো ডুব দিলে
রাতে ধুম জ্বর, তারপর পথ্য বার্লি।
জ্বরের ঘোরে যখন অচেতন প্রায়
তখনও টের পেতাম কোমল হাত
শরীরে ছড়িয়ে দিচ্ছে স্নিগ্ধ আবেশ।
'জ্বরটা ছাড়েনি গো ঔষধটা পাল্টাতে হবে হয়তো।'
সারা পাড়া পঁচা কাজল নামে চিনতো।
পাশের বাড়ির মাসিমা পাকা পতপতে
পেয়ারা আমার জন্য তুলে রাখতো।
এখন পাকা পেয়ারা দেখলে খুব রাগ হয়।
রুজিরোজগার  শেষমেশ
বেসরকারি কোম্পানিতেই  ঠেকে।
পান থেকে চুন খসলেই,' কাজ ছাড়িয়ে দেবো '
অনেক চেষ্টা করেও মন পেতে ব্যর্থ।
জ্বরের ঘোরের সেই স্নিগ্ধ পরশ
খুঁজে দিতে পারবে কী যথার্থ ঔষধ


1 মন্তব্যসমূহ

Thanks

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks

নবীনতর পূর্বতন