শাহরিয়ার কাসেম এর গুচ্ছকবিতা
একরঙা জীবন
কী এক অদ্ভুত আদলে গড়া আমাদের চারপাশ। সুনসান নীরবতার স্বাক্ষী পৈত্রিক ভিটা। ফুসফুস করে ফণা তুলে সাপেরা ঘুরে বেড়ায় দেওয়ালের এপাশ ওপাশ। নাম না জানা এক অসুখ পাখি বেসুরা সুরে ডেকে যায় সকাল সন্ধ্যা। অন্ধ কিংবা বধির হয়ে বেঁচে থাকার দিনগুলো বড্ড লম্বা। একরঙা জীবনের স্বাদ বড়ই তিক্ত।
অনন্তের শহর
যে ফুল ঝরে শুরু হয়েছিল আমাদের সকাল। ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে আটকে ছিল পুবের সূর্য। শুনশান নিরবতায় ঘুরপাক খাচ্ছে হাজারো না বলা কথা। ভাতের মারের সাথে মিলিয়ে গেছে দুফোঁটা অশ্রু। ঝুলে থাকা চাঁদে ভীর জমাচ্ছে অগণিত যাত্রী। চোঁখের কোণ বেয়ে পাড় হচ্ছে নাম না জানা শহরে। তারপর সব কিছু মিশে যায় অমাবস্যার কোন রাতে...
নির্ঘুম চোখ
ফুল ফোঁটুক সব কাননে
মিলন হোক সব মরা নদীর এক মোহনায়
আঁচড়ে পড়ুক মেঘবতীর উঠোনে
রংধনুর সাত রং।
কুঁড়িয়ে পাক কৈশোরে হারিয়ে যাওয়া নুপুর
মেঘবতীর অদূরে কিম্বা দূরে।
ভীড় জমাক স্বপ্ন, আকাশে মেঘের মত
রাত্রির ঘুমে কিম্বা প্রেমে।
সব হারিয়ে খুঁজে পাক মেঘবতীর প্রণয়নী।
চাঁদ উঠুক ঘোর রাতে, ভাব জমুক
দু'জনাতে।
দূর্বাঘাস
জানি, একদিন তুমি আমাকে খুঁজবে। সেদিন খুঁজতে খুঁজতে দিশেহারা হয়ে যাবে। তখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে। আমাকে না পেয়ে সোজা ট্রেন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে এসো। এখানে মাটির সোঁদা গন্ধ, আলো- বাতাস, গাছপালা বলে দেবে আমি হিজলতলায় আছি। এখন আমি আর আমি নেই। তোমার অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে হিজলতলার দূর্বাঘাস হয়ে গেছি তবে, এখনো দূর্বাঘাস হয়ে তোমার আলতো স্পর্শের অপেক্ষায় আছি জন্ম জন্মান্তর।
| |||||||||||||||
| |||||||||||||||
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন