আদ্যনাথ ঘোষের চারটি কবিতা
কাগজের ক্ষতে
কাগজের ক্ষতে লিখে যাই ভোরের মিছিল।
যে কাগজ জ্বলে থাকে বুকের খাচায়
তারে কেন পোড়াও তুমি, জ্বলন্ত আগুন!
হাঁড়ি কাঠ জ্বলে থাকে মনের খাতায়।
যতোটা পোড়ায়ে যায় ভস্মের জারজ আলো
ততোটাই পোড়াও তুমি গুপ্ত আততায়ী।
ওপারে রাতের শরীর, এপাড়েও ঘুম শেষ হয়।
ভোরের মিছিলও ঘুম পাড়ে ভাঙা বুক, হতাশ খেয়ায়।
ফেরারী সময়
পৃথিবীর বুক ফুঁড়ে অসহ্য দহন।
তবুও মনের মধ্যে জ্বলে থাকে সবুজ ভোর।
কেঁদে ওঠে মাঠ, কেঁদে ওঠে মন্ত্রপাঠে
শ্মশানের শিয়াল। গোপন আলয় থেকে
ভেসে আসে করুণ আবেগ।
কি এক যন্ত্রণায় পাখিরাও বিষাদে বৈরী,
ভোরের শরীরও তাই বিরহে কাতর।
কেন যে উৎসব চলে অন্তর্জাল ঘিরে,
মুগ্ধ চোখে গান গায় ফেরারী সময়।
বিন্দুর খেলা
বিন্দু আঁকতে গিয়ে এঁকে ফেলি
প্রেমহীন গোটা এক বৃত্তের শরীর।
পুরোনো গল্প এসে বসে পরে বৃত্তেরই ভেতর।
না আঁকা বিন্দুর জীবন ঘেঁটে, না বুঝেই
এঁকে ফেলি অজস্র বিন্দুর জীবনোল্লাস।
ফোটা ফোটা বিন্দুগুলো বেঁচেই কি থাকে
বৃত্তের পরিধি হয়ে সংসারের আটপৌঢ়ে খেলায়।
কখনো কি বুঝেছি- জীবনটাই পুরোপুরি বিন্দু পাতন ।
পুকুরের জল
দিঘিতে সাঁতার কাটি।
সাগরকে দেখেনি কখনো।
ডুব সাঁতার দিলেই মনে হয়
এ বুঝি সাগরের ঢেউ।
কখনো কি ভেবেছি-
অন্দরে ভরে আছে পুকুরের জল।
| |||||||||||||||
| |||||||||||||||
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন