স্বর্গের দিকে যাচ্ছি না
আমি সেই জান্নাতকে ঘৃণা করি যে অনন্ত উৎসবে তুমি নেই ;
আমি সেই যমালয়কে ভালোবাসি যেখানে মৃত্যুর হাটঘাট তোমার আঙুল বেঁধে টেনে নিয়ে যাবে শমনালয়ে , যেখানে
তুমি আছো ;
তুমি নেই এইরূপ চুতিয়া পৃথিবীকে ভোগে পাঠিয়ে আমি জন্মাবো না আর
তুমি নেই মৃত্যুর পরের জীবনে এইরূপ স্বর্গযাত্রার মিছিলে দাঁড়াবো না আর ।
অজান্তেই কত কী আছে তোমার
যতবার হাসো—একটি গাছ রোপন করি অন্তরে ।
জানো কী মেয়ে , সাতশত আট কোটি অর্জুন গাছ ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে হৃদয়ে? তুমি—বিষ ছড়ালেও তা শুষে নিয়ে অক্সিজেন ফিরিয়ে দেয়ার মত এতটা বনাঞ্চল হৃদয়ে নিয়ে ঘুরে বেড়াই এখন ।
যদি ঘৃণা দাও অথবা বিষ , যা-ই দাও–
বনাঞ্চল বাড়ুক—বনাঞ্চল বাড়িয়ে চলেছি নিরন্তন
হাসি থামিও না মেয়ে—হাসতে হয় অনন্তকাল ।
সমুদ্র— ভালো লাগে না মেয়ে তোমার ? তাই অশ্রু লুকিয়ে পাহাড় গড়েছি অন্তর্লীনে । সিঁড়ি কাটি ; কাটতে কাটতে ঘর পাতি ; সেই ঘর নিয়ে ঘুরে বেড়াই অন্তরপুরে । যদি ক্লান্ত হও, এসে জিরোও , শুতে চাও , ঘুমোতে চাও—
যদি নাই চাও —ঘরে আলো জ্বলে—জ্বলুক, ঘরে জোনাক জ্বলে—জ্বলুক। পাহাড় কেটনা মেয়ে—পাহাড় কাটতে নেই ।
যদি তৃষ্ণার্ত হও , হও যদি , জেনো —
একটি মিঠা নদী আজন্ম বয়ে বেড়াই ঠোঁটে ।
অথচ—এক কোটি বছর ! এক কোটি বছর
কত অজানা ঘর, বনাঞ্চল ও নদী আছে তোমার -অজানাই ।
ভরসা রাখলে
ভরসা রাখলে পাহাড়ি নদীকেও আঙুলের ইশারায় মতিঝিল চত্তর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত বিছিয়ে দিতে পারি।
জানালায় ঊঁকি দিলেই সাঙ্গু নদী
পা ভেজাবে? ভেজাও রাতেই,
রাতেই, উন্মুক্ত আকাশ আমার আত্মায়-মজ্জায় ঢুকে পড়ে ,
রাতেই–
তুমি চাইলেই বুক থেকে অশ্বিনী - রেবতি - রোহিনী - কৃত্তিকা এইসব সব তারা তোমার কপালে পরিয়ে দিতে পারি, বিশেষ করে রাত, রাতেই, আমি লিখে দিতে পারি সব , দিনের আলোয়—ধ্রুবতারাও ঘুমিয়ে থাকে, নদীও ক্ষ্যাপা বাউল হয়ে যায়।
তুমি বরং রাত নাও মেয়ে
রাতে আমার বুকে ফোঁটে দুর্লভ প্রেম ফুল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন