মিসির হাছনাইন এর কবিতাগুচ্ছ
তারাফুল, সবুজঘাস বুকে ক্ষত
ঘাসের নরম বিছানায়
মাতাল আকাশের নিচে
চারপাশের কত কত শব্দ
বাতাসে ক্যাফেটেরিয়া গায়
কপাল ছুঁয়ে বিড়াল জ্যোৎস্না
মেঘমালতির চাঁদের লুকোচুরি
বুকভাঙা শূন্যতায় ঝুলছে তারাফুল
পৃথিবীর এক টুকরো মাঠে সবুজঘাস
চুপচাপ সয়ে যাওয়া অসহায় বুকে ক্ষত
রাতভর তাকিয়ে থাকা অপূর্ণতায় খুঁজে ফিরে
একটা মানুষ সারাজীবন লিখে রাখে গায়ের হাড়ে
মরণ খেলায় কেমন নেশা বাঁচতে পারি না মানুষ হয়ে
কোথায় ঈশ্বর ঐ আকাশে বিশ্বাস নিয়ে আমি হাঁটি হাঁটি
টিনের বিল্ডিং
এই জৈষ্ঠ্যমাসে পথের পাশে
একটা টিনের বিল্ডিং বানাবো
আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে
বৃষ্টি দেবতার চরণে সাজাবো নৈবেদ্য
কদম গাছটায় ফুল ফুটবে লক্ষ লক্ষ
টিনের চালে বৃষ্টি পড়লে মনে হবে
প্রতিটি ফোঁটা যেন কদম ফুল ঝরছে
আষাঢ়ে কদম শাড়ি পরে ঘুরতে চায়
শহর, নগর মিথ্যে জড়ানো ভুল দরজা
বহুতলা প্রাসাদের নাগরিক মানুষ
বৃষ্টির শব্দে ঘুমায় না, তাঁরা জানে কি
টিনের বিল্ডিং কদম ফোটা বৃষ্টির রোমাঞ্চ?
বৃষ্টিভেজা শ্রাবণ রিণি ঝিণি গোলাপ
ছাতা মাথায় ফুলের নিচে বসে আছে পিপীলিকা
শ্রাবণের অরণ্যে হরিণ ভেজা ছু্ঁয়ে দেখ বালিকা।
ভেজা শার্টে ফুল আঁকা নীল চোখে ঝরে প্রেমবৃষ্টি
তাকিয়ে থাকা ফুলের আড়ালে রাগান্বিত কামদৃষ্টি
পায়ের পাতা মুখস্থ করে রেখেছে যে পথের মাটি,
সব ঋতুতে আমাকে দেখেছে ভিজে যাওয়া গাছটি।
দুপুর বুকে গঞ্জে কেনা দুইটি গোলাপের দোকানটি
সাজানোগোছানো ফুল আবার তোমারে যখন দেখেছি।
আজ জুলাইয়ে শেষ দিন চিরকুটে লেখা শব্দগুলো
সারাদিনের বৃষ্টি ভেজা সর্দি, ভাঙা আকাশের মেঘ ঘোলা,
শব্দগুলো শ্রাবণ রিণি ঝিণি গোলাপ তোমার পাশে হুডতোলা,
ঘরে ফেরা রাস্তা পাশাপাশি সাঁকো খালের মিলন মেলা
অবিরাম ঝরতে থাকে শ্রাবণ কালীগঙ্গার বুক খোলা
| |||||||||||||||
| |||||||||||||||
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন