বিশ্বজিৎ মণ্ডলের গুচ্ছকবিতা
এক টুকরো আকাশ
১. প্রাক্তন
পৃষ্ঠা উল্টাতেই একুশটা বছর
স্মৃতি জমে জমে, অহল্যা পাথর
ভেঙে ফেলি, অবিনশ্বর পাথরের দাগ
২. প্রেমপত্র
লিখেছিলে, পাতার চিঠি একান্তে
মানে খুঁজতেই কেটে গেল, কয়েক আলোকবর্ষ
এখন পত্র জুড়ে জেগে আছে, ওর পোয়াতির তারা
৩. কলম
কলমটা সামলে রেখেছিলাম
ওয়ারড্রব জুড়ে ভগ্নস্মৃতির ঝড়
বয়স বাড়লেও, কলমটা আজও বৃদ্ধা হয়নি
ক্ষমা করো
ক্ষমা চেয়েছি, মার্জনা করে দাও
তুলে নাও, উদ্ধত হাত কিংবা অদৃশ্য কলম
আমার উষ্ণীষ থেকে খুলে নিও না, পরদেশী রঙের
সুদৃশ্য পালক
জলের ভেতর তৃষ্ণা ঢেলে এঁকে দিও না, নির্বিচার
না হয় সন্তানের জন্য, নির্লজ্জভাবে ডুবিয়েছি নগ্ন হাত
তাই বলে খোলা রাস্তায় পোশাক খুলে লিখে দিও না
নিন্দার রাশ রাশ অপবাদ
ক্ষমা চাইছি, কোটা সংরক্ষণের সুবিধায় হেঁটেছি বলে
ভুল মার্জিনের পথে
রক্তিম পতাকাবাহীদের কাছে তাড়া খেয়েছি প্রতিবার
শ্লোগান সাজাতে পারেনি বলে
অদূরে ওই তো দ্রোণাচার্য প্রভুদের দল...
আমিতো জাত চন্ডাল ,অচ্ছুতের বংশধর
ক্ষমা চাইছি, অধীত বিদ্যা অর্জনের জন্য
হয়তো এরপর কোনদিন সমর্পণ করবো
বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের যাবতীয় বিদ্যা
দুরত্ব-নামা
আর কতখানি সরে গিয়ে দাঁড়ালে দূরত্ব বোঝায়
অজানা ছিল অনুধাবনের
স্বজন পৃষ্ঠাগুলোও একদিন উড়ে গেছে, ডায়েরী ছেড়ে
অহেতুক দূরত্ব মেপে, গোলাপটাও বাসি হয় ...
লাল মোরামের ধারে দাঁড়িয়ে বেড়ে যায়, আমাদের
যৌবনের বয়স
মানতে পারি না, এইসব বিভাজন রেখা
ছেড়ে আসার গল্প ...
কেবল স্মৃতিটুকু সঞ্জীবনী হয়ে বেঁচে থাক
সম্পর্ক ছেড়ে চলে গেলে, দীর্ঘ সাইবেরিয়ান এক্সপ্রেস
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন