গুচ্ছকবিতা
নাহিদ সরদার
নাহিদ সরদার
এক
এই নাও জল
পাতা নড়ছে না
তাতে কি হয়েছে?
আমিতো আছি
এই দ্যাখো
আমার শাড়ির আঁচল নড়ে।
দুই
কেন রাত গুলোকে দীর্ঘ করো রোজ
এই দ্যাখো হাতড়াই কেমন
সকালের করি খোঁজ।
তিন
এসো হাতের কাছে আসো
এই নিরাশার দিনে যষ্টি হও।
চার
ঠেলে আঁধারে পাঠাওতো বেশ
আমিতো আঁধারেই আছি।
শুনলাম,
শরতের চাঁদে
আলো বেশি
তুমি বরং
শরতের চাঁদ হও
আমি পথ পেরুই।
পাঁচ
প্রতিদিন কি যাই যাই বলো
আসতে সময় লেগেছে
আটাশ বছর
যাওয়াতো যায় নিমিষেই
ফিরতে...
ড. আলী রেজার প্রবন্ধ পড়ুন এখানে ক্লিক করে
মোহাম্মদ জসিমের ভিন্ন রঙের কবিতা পড়ুন এখানে
জিল্লুর রহমান শুভ্র'র ভিন্ন স্বাদের কবিতা পড়ুন এখানে
ওপার বাংলার বিখ্যাত কবি রবীন বসুর কবিতা পড়ুন ক্লিক
ওপারের কবি তৈমুর খানের কবিতা পড়ুন এখানে
ছয়
একসাথে থাকার বয়স বাড়ছে
দুর্বলতা এখন লাঠি
কথারাতো কবেই ফুরিয়ে গেছে
দুজনে আঁধারে হাঁটি।
সাত
শেষের আগে যদি শেষ হয়ে যায়
শুরুটা হলো কবে?
হয়তো ভুলে থেমেছিলাম তাই
পালক খসা রবে।
আট
এক সময় বাতাস
হতে পছন্দ করতাম
কেন?
চুল উড়ানোর সখে
এখন?
এখন পাহাড়।
নয়
কিছু না হলেও
সেদিন কিছু একটা হয়েছিল
একটা চোখ চেয়েছিল দূরে
বৃষ্টির আঁড়ালে ঢাকা পড়া সেই চোখ।
যখন বৃষ্টি শেষে দেখলাম
এই চোখে আমি নেই
আষাঢ়ের বৃষ্টি যেমন
নিশ্চিহ্ন করে দেয় চৈত্রের দাগ - ঠিক তেমন!
দশ
বেয়াদব ডাক নাম
মুমূর্ষুর রক্তের খোঁজে ছোটে
ফেলে নিজ কাম।
ও ব্রেসলেট পরা ছেলে
তোর চারিপাশে কুটিল চোখেতে ঘেরা
থাক না অনিয়ম পড়ে কানা খোড়া
তোর কেন রোজ- রাত করে ফেরা ?
তোর বুকে সানগ্লাস জটলায় বাঁধা চোখ
প্রথম প্রতিবাদ তোর দিক থেকে হোক।
দিন যায় দিন আসে দূরে সরে ঘর
তোরতো সময় কাটে আপন করিতে পর।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks