সৌরভ দুর্জয় এর গুচ্ছকবিতা
শুকায় গেছে অশ্রুর স্রোত
কান্নার ধ্বণি বোবা হয়ে গেছে
অশ্রুর স্রোতে লেগেছে বুঝি ভাটার হাইপো টান।
নিস্পাপ শিশুর ঝলসানো শরীর
সান্ত্বনা হারানো খঞ্জর হয়ে,
ইচ্ছে মত করছে আঘাত
চার প্রকোষ্ঠের মায়াবী ঘরে।
তবুও কান্না শুকায় যাচ্চে
সাইমুম ঝড়ের তপ্ত তাপে।
কলিজার নহর পুড়েছে বলেই
শুকায় গেছে গেছে অশ্রুর স্রোতধারা।
কালো গোলাপ
কলাবতী ফুলের গন্ধহীন পৈঠায় হেঁটে
পাবে নয়ন জুড়ানো রূপবতী শাড়ির ঝলক
পাবে না লোবানের কাব্যিক ঘ্রাণ।
কালো গোলাপের মহাশূন্যে করলে বিচরণ
পাবে না মনোহারি এলিয়েন
চোখ ভরাবে না বানেছা পরীর রূপালী যৌবন
পাবে শেখ সাদীর গুলিস্তার তাজা ঘ্রাণ
জুড়াবে হাপরে পোড়া তপ্ত হৃদয়ের জ্বলন্ত উঠোন।
তোমার পছন্দের নিক্তিতে হবে কার স্থান
রূপবতী কলাবতী নাকি কালো গোলাপের ঘ্রাণ?
তুমি বুদ্ধিমান হলে তরতাজা করো শুষ্ক প্রাণ
নিয়ে আফ্রিকার কালো গোলাপের ঘ্রাণ।
তাকে আসতে দাও
এখন আর বৃষ্টিকে
আসতে দেই না পায়ে ঘুঙুর পরে,
যদিও বা আসে তাকে
নাচতে দেই না
নাচবে কোথায় উঠোনই তো নাই।
হাঁটবে কোথা মেঠো পথই তো নাই,
ছন্দ তুলবে কোন গাঁয়ে
টিনের চালাই তো নাই।
তাকে আসতে দাও,নাচতে দাও,গাইতে
দাও।
যান্ত্রিকতার ছাচে ঢেলে বৃষ্টিকে
বুলেট করো না অথবা তাকে রূপান্তর
করো না কোনো বেদুইনের সাথী রূপে।
দোহাই!বৃষ্টিকে আসতে দাও,হাসতে দাও,
নাচতে দাও,হাঁটতে দাও,আমাদের
মনের জমিন ভিজাতে দাও, তাকে এক
চিলতে উঠোন দাও।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন