পূর্ব-পশ্চিম— মাঝে-ই কাঁটাতার!
গঙ্গা— ছুটছেই...
দু’পাশে পদ্মার জল মানে না বাঁধ।
উড়ছে দু'ধারেই দোয়েল, মাছরাঙা
সুনিলীয় আকাশে...
তবু কীর্ত্তিনাশা ফেলে— দীর্ঘশ্বাস!
সেই সময় নেই। তবু প্রথমআলো
ছড়িয়ে গেল একা—
বাঙালির বিথানে শিউলিমাখা রঙ।
অলস কাকাবাবু বাবুইপাখি বুকে..
Binary Star-এ
কবিতা ঘর বাঁধো মৃন্ময় মন্ময়ে...!
কসম, নফল রোজা
কুমড়োর ফুলে...
কেঁপে ওঠে নবীর রওজা
আমিন আমিন বলে
ফরজ বিছানা—
হামদ, গজল থেকে...
বহুদূরে
মরমি ও সুফি।
তবু, হাবুডুবু খাও...
চিটা ধানের দুধনহরে...
নাশিদ, কাওয়ালি!
নিশ্চয়ই তুমি—
সেজদায় নত হয়ে আছ
অন্য কোন
মাঙ্গলিক সূত্রে...!
কেঁপে ওঠে নবীর রওজা
আমিন আমিন বলে
ফরজ বিছানা—
হামদ, গজল থেকে...
বহুদূরে
মরমি ও সুফি।
তবু, হাবুডুবু খাও...
চিটা ধানের দুধনহরে...
নাশিদ, কাওয়ালি!
নিশ্চয়ই তুমি—
সেজদায় নত হয়ে আছ
অন্য কোন
মাঙ্গলিক সূত্রে...!
তিঁনি
কার
বরষায়—
পসরা সাজাই
হাইঞ্জাবেলার নীড়ে
রন্ধন রতির— সমসান্ধ্যে
ভেঙে পড়ে... সিঁড়ি সিঁড়ি দুঃখ
হের মইধ্যে জলের... পাটাতনে নৈঃশব্দ্য
নক্ষত্রের কার্ণিশেই বিস্ফোরিত মেঘ জব্দ
মাতাল রাজ্জাকও জানে লক্ষ্য
শিশিরের ক্লান্ত সুরছন্দে
নূপুরের ধ্বনি ছিঁড়ে
মরমি সাজাই
ভরসায়—
বরষায়—
পসরা সাজাই
হাইঞ্জাবেলার নীড়ে
রন্ধন রতির— সমসান্ধ্যে
ভেঙে পড়ে... সিঁড়ি সিঁড়ি দুঃখ
হের মইধ্যে জলের... পাটাতনে নৈঃশব্দ্য
নক্ষত্রের কার্ণিশেই বিস্ফোরিত মেঘ জব্দ
মাতাল রাজ্জাকও জানে লক্ষ্য
শিশিরের ক্লান্ত সুরছন্দে
নূপুরের ধ্বনি ছিঁড়ে
মরমি সাজাই
ভরসায়—
তাঁর!
পূর্ণগ্রহণের বিষণ্ন বিকেল
পূর্ণগ্রহণ রাতের শুদ্ধ মূক ও বধিরে
যখনই বৃষ্টি নামে...
জামদানি আচলের সুপ্ত কারুকাজ
ছিঁড়ে আনে মুঠোভর্তি—
লজ্জাবতীর মলিন পাতা, নাবিকের
ফেরাই হচ্ছে না, তবু—
শাড়ির বুননে... কার কোন বহুরূপী
স্বভাবে... কোন ভুগোলে...
তীরে এসেই.... ক্ষয়িষ্ণু পাড় ভাঙে?
কবর ও শ্মশানের...
স্তব্ধ প্রেমিকের চোখ— কেড়ে নেয়
সাজেকভ্যালির রূপ—
সংবেদ লেন্সে... এক না হয়েও তুমি
সবকিছু কেড়ে নাও বিষণ্ন বিকেলে...
যখনই বৃষ্টি নামে...
জামদানি আচলের সুপ্ত কারুকাজ
ছিঁড়ে আনে মুঠোভর্তি—
লজ্জাবতীর মলিন পাতা, নাবিকের
ফেরাই হচ্ছে না, তবু—
শাড়ির বুননে... কার কোন বহুরূপী
স্বভাবে... কোন ভুগোলে...
তীরে এসেই.... ক্ষয়িষ্ণু পাড় ভাঙে?
কবর ও শ্মশানের...
স্তব্ধ প্রেমিকের চোখ— কেড়ে নেয়
সাজেকভ্যালির রূপ—
সংবেদ লেন্সে... এক না হয়েও তুমি
সবকিছু কেড়ে নাও বিষণ্ন বিকেলে...
লোকোত্তর মানুষের খোঁজ
সেই ভালো! সেই ভালো— চেতনার রঙে
খনন করেছি পুরাতনী পানাম নগর! দেহের ভেতর, তার
মেঘের পাটে রঙিন চাঁদায়—
সাতটি সুতোয় সাড় বেঁধেছে,
একিন করেছি...
বৃষ্টির ধারাও বইছে… মনে
বিশ্বাস করি— বৃষ্টিই হইছে
মুষলধারায়—
মনের রঙেই... চোখ রাঙিয়ে
দেখি না যা, দেখছি আয়নায়
ইমান এনেছি...
লোকোত্তর মানুষের খোঁজে... লালন করছি মনের লাটাই,
শান্ত মেদহীন যে, জীবন তথাগত! ‘ওরে... আমার মন’।
শুক্রাণু
চোখের ময়ূর পাতা ফেলে অভুক্তের চিবরে
অস্থির রাতের আমি—
পাণি পথে জল সেচি হ্যাংলা দানোৎসবে।
গুরু ভান্তের দেশনা, ঝরে মাটির বিবাগে...
অভুক্ত নারীর জঙ্ঘা শীৎকারে কেঁপে ওঠে।
ভগবানের ছায়া লুকোয় গর্ভে, দুধে, রক্তে!
ধ্যানের-ই দীর্ঘশ্বাসে...
বীর্যের ভেতর তার, মহাজাগতিক জ্যোতি!
কৌশিক দাঁড়িয়ে দেখে নৈকট্যে বেদনা—
বৃক্ষের একই ডালে প্রিয় কাম আর করুণা।
অস্থির রাতের আমি—
পাণি পথে জল সেচি হ্যাংলা দানোৎসবে।
গুরু ভান্তের দেশনা, ঝরে মাটির বিবাগে...
অভুক্ত নারীর জঙ্ঘা শীৎকারে কেঁপে ওঠে।
ভগবানের ছায়া লুকোয় গর্ভে, দুধে, রক্তে!
ধ্যানের-ই দীর্ঘশ্বাসে...
বীর্যের ভেতর তার, মহাজাগতিক জ্যোতি!
কৌশিক দাঁড়িয়ে দেখে নৈকট্যে বেদনা—
বৃক্ষের একই ডালে প্রিয় কাম আর করুণা।
ড. আলী রেজার প্রবন্ধ পড়ুন এখানে ক্লিক করে
মোহাম্মদ জসিমের ভিন্ন রঙের কবিতা পড়ুন এখানে
জিল্লুর রহমান শুভ্র'র ভিন্ন স্বাদের কবিতা পড়ুন এখানে
ওপার বাংলার বিখ্যাত কবি রবীন বসুর কবিতা পড়ুন ক্লিক
ওপারের কবি তৈমুর খানের কবিতা পড়ুন এখানে
মৌন সাঁকো পেরিয়ে
মুহূর্তেই ধরেছি…
উদোম অম্লান আলো—
ছলকে... পুলকে
চুপশালে
ঝলক দেখব বলে
মৌন সাঁকো পেরিয়ে
নৌ ম্যাপ এঁকেছি।
ঝলসে গেছে যে, রাত
অন্ধকার ভেদ করে
যে আলোটুকুন—
তার পিঠ বেয়ে
চলে গেছে আদর, অনাদরে
খুঁজি ফিরি—
শ্বাসকষ্টের সে বেদনায়।
রোদ পৃষ্ঠায়—
নেই কোনো নেমপ্লেট
বিজ্ঞাপনও নেই
কাটাতে চেয়েছি, দূর—
বনগ্রামে
ঝাঁঝি ডাকা সান্ধ্য সমে
অবাক বিস্ময়ে।
কোনো এক চালিশার
সামনে দাঁড়িয়ে
অব্যক্ত কথার
ফোটানো দিগন্তে, তার—
টলটলানো প্রতিফলন
ভেতরে
বাদ যায়নি কিছুই!
সমাপ্ত রাত্রির—
খোলে... গারো পাহাড়ের
সবাক বিস্তারে
মন খারাপ হলেই
বসে... বসে কার
অন্তরাত্মায়—
হারাচ্ছে... গাঙ্গেয় এই মাঝি।
অদৃশ্য দরজা
পাথরের কান্না—
সুফির চোখেও খোলে অদৃশ্য দরজা।
ধূলি নাড়া দেয়—
চেতনা, খোঁজে তার হারানো সংগীত।
জলের ফোঁটায়—
অন্তরের মন্ত্র; অসীমের আরও স্পর্শ।
বস্তুর স্থিরতা আর— সুফিরও নিঃশব্দ
একই ছায়ায় নাচে…
একই নিঃশ্বাসে... ফোটে ভিন্ন আলো।
শুধুই এক অন্তর— শুধুই এক-ই দৃশ্য!
যেখানে বস্তু...
চেতনার পরিসরে... মেটাভার্স প্লাজমা।
ডালিমের কোয়া ভাঙে নৈঃশব্দ্যের শিশির
ঠিক কী বেঠিক? কোনটা— কোথায় দেবো টিপ!
যেখানে রাতের নেকাব খুলছে...
হিজাব আড়ালে... সে কি রোয়া ধান মৃত্তিকায়।
কৃষকের প্রতি টিপে টিপ টিপ?
না বা— কি-না— প্রশ্নোত্তরপর্ব ছিল না জটিল!
যখনই বে+গুণির জন্য ভাব, তার অভ্র নিরালায়
সবেগে... না নির্বেগে প্ল্যানচ্যাট
আমাকে... বেগুন ভাজা করে উদোম নৌকায়।
তা ধী— ম-ন— নেকাবের নৈঃশব্দ্যের নীহার!
নগ্ন রাতের কলস—
অনাবৃত অসম্পূর্ণ দিঘি। সম্পূর্ণ হতে না হতে...
রসের হাঁড়িতে পড়ে...
প্রথম রাতের মতো ফোঁটা ফোঁটা অধৈর্য শিশির!
নৈঃশব্দ্যের অদৃশ্য বিস্ফোরণ
বিড়ালের ভেজা শরীরের প্রতি লোমে লুকিয়ে থাকে কবিতার নৈঃশব্দ্য— শীতল, নিঃশ্বাসহীন এক অন্তর্জগৎ। হঠাৎ সেই নৈঃশব্দ্য ভেঙে যায়, গড পার্টিকেলের বিস্ফোরণে— যেন মহাবিশ্বের জন্মলগ্নে অদৃশ্য এক ডাক বাজে। ফোড়নের শব্দে ফোটনেরা গড়ে তোলে জন্ম, মৃত্যু আর মায়ার অনুচ্ছেদ—মায়াজাল ছড়িয়ে পড়ে রহস্যাবৃত জীবনের দুঃখ-কষ্টে, জরা ও ব্যাধির ঘেরাটোপে। তবুও প্রতিদিনের টোপগুলি অচেনা স্রোতের মতো ছড়িয়ে যায় বিস্তীর্ণ, বিবিধ সংরাগে—
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks