শরীর বিষয়ক একগুচ্ছ কবিতা
অনন্ত পৃথ্বীরাজ
শরীরীগন্ধ
শরীরে মেয়েরা প্রচুর পারফিউম মাখলে
সু্বাসিত ঘ্রাণ চারপাশে মাদকতা ছড়ায়।
নাকের ভেতর মানুষের সুপ্ত ইন্দ্রিয়গুলো
জলন্ত আগ্নেয়গিরি মতোই সচল থাকে।
পুরুষের মোলায়েম হাতে ষোড়শীর শরীর সম্ভোগ;
পারফরম্যান্স আর্টের ক্রিয়া-কসরতে কুমারী-নারী
মাদকতার ঘ্রাণ টানে মৃদু আঁধারে প্রেমিকের দেহে।
নিষিক্তফুল
কাননে কাননে তোমারি সন্ধানে
খুঁজে ফিরি সেই প্রিয় নিষিক্ত ফুল,
ঘুমের ঘোরে ঝাপ্টে ধরে, ভুল নিউজে
শিরোনাম ছেপে কেন রাষ্ট্র করেছিলে সেদিন?
মোর নামে সারাদেশে ছিঃ ছিঃ পড়ে গিয়েছিল,
মিছিলে স্লোগানে 'মুর্দাবাদ' ধ্বনিত, মুখ দেখানো দায়!
তোমাকে চিনি না ব'লেই আপাত মৃতবৎ বেঁচে আছি-
দুঃভাগ্য সঙ্গী করে হয়তো এভাবেই একদিন হারাবো নীল অজানায়-
যাবার আগে- একবার ধরা দাও, হে নিষিক্তফুল।
রেপ হওয়ার পরে
রেপ হওয়ার পরে নারীকে সান্ত্বনা দিতে যেও না।
তখন সে নিজেই একটি জলন্ত বিস্ফোরণ, উত্তপ্ত লাভা বুকে ধারণ
করে বলীয়ান থাকে। আমাদের ছুক্ক হুজুরেরা বেপর্দা চলাফেরাকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বলে মনে করেন। নিজের মনকে প্রবোধ দেওয়া পাখিরা কখনো গণবিলুপ্তির ভয় করে না।
অনেক পুরুষ নারীকে ক্ষুধার্ত হায়নার কাছে
কোমল আহার্য মনে করে, এটা চরম অন্যায়।
কারণ, নারী; আমাদের মেয়ে, বধূ অথবা মা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন