এথেন্স পাটোয়ারীর কবিতাগুচ্ছ।। poems by athens patoari__,kuasha

 


এথেন্স পাটোয়ারীর কবিতাগুচ্ছ
 
পোস্টমডার্নিজম

তবুও রাত আসে। 
রাত টেনে নিয়ে যাই সকালের কাছে । 
ভাঙা আলাপ , ভাঙা ভাঙা তুমি আমি । 
যোগাযোগ ভেঙে যায় কেবল সন্দেহের জল ঢুকে,
জানি নিয়ম-ক্রমে  বদলে যায় পথ । 

শিশু'রা প্রেম করবে আগামীতে শুনতে'ই ভয় লাগে । 
তোমার গায়ের রঙের শাড়ি বাজারে
বিক্রি হবে ডাবল দামে। 
গোলাপ  ফুটবে কেউ লিখবে কবিতা ,
কেউ কেউ শিখবে গান । 
তোমাকে নিয়ে কতজন কত দিকে চলে গেলো আমিও গেছি শুধু যায়নি সংসারে । 

শহরে আসবে নতুন প্রেমিক 
দেখবে গুগল ম্যাপে সার্চ করে সবচেয়ে উচ্চমানের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেস্টুরেন্ট। 
নিরিবিলি লেকের পাশে ছবি তুলে
ফেসবুকে পোস্ট করবে ভালোবাসি জান।


শাড়ি 

সকল সর্বনাশ ওই শাড়ির ভেতর। 
কে খুলেছে পৃথিবীতে প্রথম শাড়ি ?
ওই হাতের বর্ণনা শুনতে চাই!
এই আবিস্কার কিভাবে এতো জনপ্রিয় হয়ে উঠলো সকল আকাঙ্ক্ষা যে শাড়ির ভেতর । 
শাড়ির ভেতর থেকে যে ফুঁ বেরিয়ে এলো বেলুনক্রমে বড় হতে থাকি, কামতৃষ্ণা আবারো বিছানা
উড়ে যাবো এই টানে। 

শাড়ি নিয়েছো যত নিশ্বাস তবে দাও ফেরত বাঁচতে চাই । 
ডাক্তার বলছে, যারা যারা শাড়ি খোলে দেখে ফেলেছে নারী চেম্বার তাদের আর বাঁচানো যায়না। 
আহা সর্বনাশী আহা সর্বগ্রাসী শাড়ি । 


বিনিতা মুর্শেদ


আমার পছন্দের কোন ঋতু নাই ।
বিনিতা মুর্শেদকে আমার এখনো ভালোলাগে।
উনি আমাকে প্রেম শিখিয়েছে!
আমার চোখের বেরি , উনি আমাকে গ্রীষ্ম দেখালে গ্রীষ্ম ভালোলাগতো!বর্ষা দেখালে বর্ষা!

বিজ্ঞান বলছে মানুষ মরে যাওয়া আগে
পুরনো স্মৃতির দিকে দৌড়ায়। 
শহরে কৃষ্ণচূড়া ফুটে'ই প্রথমে জিজ্ঞেস করে বিনিতা মুর্শেদের কথা!
উনি যে এখন আর আমার নেই এ কথা আর আমি বলি না।
বিনিতা মুর্শেদ আর ঢাকা শহর ক্যানো যে আপনারা আমাকে এতো মিস করান।

বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটায় ফোঁটায় যেনো আমার
কার্নিশে আজ ঝরে পড়ছে বিনিতা মুর্শেদ।



দরজা 

দরজা খুলে দেখি ঘর নেই।
ঘর গেলো কোথায় ? 
কোথায় যেতে পারে ঘর ?
দরজা বলে উঠেলো বহুদিন প্রেম না এলে হৃদয়ে দরজা'ই দাঁড়িয়ে থাকে ঘর থাকে না ।
ঘর আর প্রেমের দ্বন্দ্ব নিয়ে যখন দরজার সাথে কথা চলছে । 
বন্ধু আপন সাদা মেঘের ভেতর থেকে ডাক
দিয়ে বলে যায়, দাঁড়িয়ে থাকলে
একদিন নিকট নাকি কাছে আসে’
তাই হৃদয়ের দরজায় আজো দাঁড়িয়ে আছি ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন