এক গুচ্ছ ছড়া
তূয়া নূর
ছাগল যাবে ছাগলনাইয়া
একটা ছাগল সামনে দাঁড়ায়
শিংটা নাড়েন—‘হাইয়া’
এই গাড়িটা যাবে কোথায়,
বলতে পারেন ভাইয়া?
সিটে বসা উলুঝুলু
একটা পাগল মাইয়া,
বলে তারে, উইঠা পড়েন
যাচ্ছি ছাগলনাইয়া।
ব্লুটুথ
আইফোন এসে নাম লিখায়ে
দাঁড়ালো লাইনে,
ডাক্তার তাকে আগে ডাকে
বলো কোন আইনে?
ভিমড়ি খেলো দাঁতের ডাক্তার
ব্যাপার লাগে অদ্ভুত—
ক’দিন থেকে কাজ করে না
আইফোনটার ব্লুটুথ।
পিয়ানো
সবাই ঘুমে ইঁদুর তখন
খুঁজতে থাকে খাদ্য,
খেয়াল হলো খাবার ফেলে
বাজাবে আজ বাদ্য।
পিয়ানোতে ঝাপাঝাপি
সুর ওঠে যে তাতে,
সবাই ভাবে মোজার্ট এলো
কখন এতো রাতে?
আইনস্টাইন
আইনস্টাইন যাচ্ছেন কোথাও লোকাল বাসে চড়ে,
একটা টাকা দিলেন ভাড়া নামবেন সামনের মোড়ে।
ফেরত পেলেন খুচরো পয়সা হাতে অনেক গুলো,
কি ভাবনা যে পেলো তাকে হলেন আপন ভুলো।
কতোবার যে বুঝায় তারে তার যে ছিলো তাড়া,
একটা টাকার বাকী তোমার—তিরিশ পয়সা ভাড়া।
ফ্যালফ্যালয়ে চেয়ে থাকে বড়ো বড়ো চোখটা,
একটা ভেঙে এতো গুলো—-কী সব বলে লোকটা!
বললো তাকে, বোকা মানুষ যন্ত্রণা দেয় ভারী,
ভালো করে অংক শিখে চড়তে এসো গাড়ি।
গলা ধাক্কা কি দিয়েছিলো কে বলো তা জানে?
এ জগতের কোন কথাই যাচ্ছে না তার কানে।
একটা ভেঙে এতো পয়সা যাচ্ছে হাতটা ঘেমে,
ভাবতে ভাবতে বাসটা থেকে গেলেন তিনি নেমে।
সাঁকো
বিলের ওপর বাঁশের সাঁকো
নৌকা বাঁধা ঘাটে,
টুকরি মাথায় যাচ্ছে মানুষ
কদমতলির হাটে।
বিলের মাঝে লম্বা সাঁকো
এদিক ওদিক নড়ে,
এই অবেলায় কী হবে যে
পড়লো তারা ঝড়ে।
ঝড় ঝাপ্টা নয়-- হাসছে পাগল,
নাড়ছে জোরে সাঁকো,
বলছে পাগল, শক্ত করে
বাঁশটা ধরে রাখো!
একটা ছাগল সামনে দাঁড়ায়
শিংটা নাড়েন—‘হাইয়া’
এই গাড়িটা যাবে কোথায়,
বলতে পারেন ভাইয়া?
সিটে বসা উলুঝুলু
একটা পাগল মাইয়া,
বলে তারে, উইঠা পড়েন
যাচ্ছি ছাগলনাইয়া।
ব্লুটুথ
আইফোন এসে নাম লিখায়ে
দাঁড়ালো লাইনে,
ডাক্তার তাকে আগে ডাকে
বলো কোন আইনে?
ভিমড়ি খেলো দাঁতের ডাক্তার
ব্যাপার লাগে অদ্ভুত—
ক’দিন থেকে কাজ করে না
আইফোনটার ব্লুটুথ।
পিয়ানো
সবাই ঘুমে ইঁদুর তখন
খুঁজতে থাকে খাদ্য,
খেয়াল হলো খাবার ফেলে
বাজাবে আজ বাদ্য।
পিয়ানোতে ঝাপাঝাপি
সুর ওঠে যে তাতে,
সবাই ভাবে মোজার্ট এলো
কখন এতো রাতে?
আইনস্টাইন
আইনস্টাইন যাচ্ছেন কোথাও লোকাল বাসে চড়ে,
একটা টাকা দিলেন ভাড়া নামবেন সামনের মোড়ে।
ফেরত পেলেন খুচরো পয়সা হাতে অনেক গুলো,
কি ভাবনা যে পেলো তাকে হলেন আপন ভুলো।
কতোবার যে বুঝায় তারে তার যে ছিলো তাড়া,
একটা টাকার বাকী তোমার—তিরিশ পয়সা ভাড়া।
ফ্যালফ্যালয়ে চেয়ে থাকে বড়ো বড়ো চোখটা,
একটা ভেঙে এতো গুলো—-কী সব বলে লোকটা!
বললো তাকে, বোকা মানুষ যন্ত্রণা দেয় ভারী,
ভালো করে অংক শিখে চড়তে এসো গাড়ি।
গলা ধাক্কা কি দিয়েছিলো কে বলো তা জানে?
এ জগতের কোন কথাই যাচ্ছে না তার কানে।
একটা ভেঙে এতো পয়সা যাচ্ছে হাতটা ঘেমে,
ভাবতে ভাবতে বাসটা থেকে গেলেন তিনি নেমে।
সাঁকো
বিলের ওপর বাঁশের সাঁকো
নৌকা বাঁধা ঘাটে,
টুকরি মাথায় যাচ্ছে মানুষ
কদমতলির হাটে।
বিলের মাঝে লম্বা সাঁকো
এদিক ওদিক নড়ে,
এই অবেলায় কী হবে যে
পড়লো তারা ঝড়ে।
ঝড় ঝাপ্টা নয়-- হাসছে পাগল,
নাড়ছে জোরে সাঁকো,
বলছে পাগল, শক্ত করে
বাঁশটা ধরে রাখো!
গল্প বরফের ছুরি পড়ুন এখানে
প্রবন্ধ,উত্তরাধুনিক কাব্যধারার যাত্রাঃ মতিন বৈরাগী-এখানে
প্রবন্ধঃ রাজনীতি ও সাহিত্য পারস্পরিক সম্পর্ক পড়ুন এখানে
কবি মজিদ মাহমুদের গুচ্ছকবিতা পড়ুন এখানে
প্রবন্ধ,নজরুলের রহস্য,পড়ুন এখানে
লিসেল মুলারের অনুদিত কবিতা পড়ুন এখানে
ভিন্ন স্বাদের গল্প,কফি হাউজের ওয়েটার' পড়ুন এখানে
নজরুলের রহস্যময়তা নিয়ে প্রবন্ধ পড়ুন এখানে
দূরের তারা
আকাশ যানে চলছো তুমি
আলোর চেয়ে গতি,
ছুটে আসে না দেখা সব
অবাক তারার জ্যোতি।
চলছো ছুটে কোটি বছর
আকাশ যাচ্ছে খুলে,
তোমার জন্য অনেক গল্প
কেউ রেখেছে তুলে।
নাগাল তুমি পাবে না তো
নেই শূন্যের তলা,
তবু যেন ক্লান্ত হয়ে
যায় না থেমে চলা!
চিরুনি
অনেক গুলো দাঁত আছে তার
নেই তো কোনো মুখ,
বুঝলো না সে সারা জীবন
দাঁত থাকার যে সুখ।
দাঁতের ব্যথায় কাতর সে কী
আহা উহু করে?
বয়স হলে একটু ঝড়ে
এদিক ওদিক নড়ে?
দাঁত আছে তার লম্বা লম্বা—
জন্তু ভাবা ভুল,
আনন্দ তার আঁচড়ে দিয়ে
মাথার লম্বা চুল।
জুপিটার
মাথার ওপর শক্ত করে
এঁটে রেখো টুপিটারে,
কঠিন ঠাণ্ডার পোশাক নিও
যাবে যখন জুপিটারে।
জুপিটারে সাগর আছে
ঠাই নেই যে তাতে,
গভীর কতো হাজার মাইল
যায় না মাপা হাতে।
সাঁতার কাটা বারণ আছে
লেখা লাল হরফে,
নেমো নাকো এক নিমিষে
জমে যাবে বরফে।
বুঝলো না সে সারা জীবন
দাঁত থাকার যে সুখ।
দাঁতের ব্যথায় কাতর সে কী
আহা উহু করে?
বয়স হলে একটু ঝড়ে
এদিক ওদিক নড়ে?
দাঁত আছে তার লম্বা লম্বা—
জন্তু ভাবা ভুল,
আনন্দ তার আঁচড়ে দিয়ে
মাথার লম্বা চুল।
জুপিটার
মাথার ওপর শক্ত করে
এঁটে রেখো টুপিটারে,
কঠিন ঠাণ্ডার পোশাক নিও
যাবে যখন জুপিটারে।
জুপিটারে সাগর আছে
ঠাই নেই যে তাতে,
গভীর কতো হাজার মাইল
যায় না মাপা হাতে।
সাঁতার কাটা বারণ আছে
লেখা লাল হরফে,
নেমো নাকো এক নিমিষে
জমে যাবে বরফে।
পাল্টে ফেলে রূপ
ঘোরার স্বভাব ঘুরতে থাকে
দোষ কী বলো চাকার?
পানির ধর্ম যে পাত্রে সে
নেয় তখন তার আকার।
সবুজ পাতায় গিরগিটিটা
বসে আছে চুপ,
সময় বুঝে মানুষ এমন
পাল্টে ফেলে রূপ।
মৌমাছিদের ঘড়ি
এক সেকেন্ডে দুই শত বার
তাদের ডানা কাঁপে,
মৌমাছিরা সেকেন্ড দিয়ে
জীবনটাকে মাপে।
এক সেকেন্ডে তাদের ডানা
দুই শতো বার নড়ে,
বাসা বাঁধে মধু আনে
কতো কাজ সে করে!
তার জীবন যে কয় সেকেন্ডের
জোড়াতালি বই,
কাজকর্ম যে রাখবে ফলে
এতো সময় কই?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks