পক্ষাঘাত
আমি অপেক্ষার পথে গোলাপ ছিটিয়ে দেই।
আমি জানি তোমাকে পেতে হলে অপেক্ষা
ব্যতীত কোন বিকল্প নেই।
মনিং গ্লোরির মজমা জমে ব্যালকনিতে!
কাঁচাঘুম খুন হয়, মোরগের ডাক যেন অ্যালার্ম ঘড়ি।
তোমার অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ হয় শোকসভা।
পেপিরাসে আবেগের আঁচড় তুলি,
চোখের ভেতর ঢেউ তুলে ন্যাতানো নদী,
তোমার অপেক্ষায় ক্রমাগত মিশে যাই পক্ষাঘাতে।
কথার ফুল
নিঃশ্বাসে বেঁধে রাখি মৃত্যুর ঘ্রাণ।
তাজ্জব জীবনের গোল্লাছুট!
সময়ের খেয়া পারে অচিন্ত্য মন,
আজ যার সমাধি হলো,
বারবার মনে পড়ে কথার ফুল।
রোদ্দুর ছায়া
বিভ্রমে স্বপ্ন বিলাস, প্রামাণ্যপত্রে শূন্যতার বায়োলজি।
পরপারে ভালো থাকিস অনুজ।
কিপসেক দুপুর
আমি অবারিত দুঃখ প্রোথিত করি ব্যাবিলনের স্বর্গোদ্যানে।
ঈশ্বরের চোখে ডুবে যেতে চাই জলের গভীরে ডুবে থাকে যেমন বাইন ও গুতুম মাছ,
পোড়া শহরে জ্বলন্ত ছাইয়ের ভেতর আমি এক বিশাল বিবর্ণ বিলবোর্ড। জলে জলে প্রেম হয়,
ফিসফিস বাতাসের শব্দে চূড়ান্ত হয় পাতার ঝরার সূচনা।
হোগলার বনে পুনঃপুনঃ ফিরে আসে সখের বালিহাঁস।
কিপসেক দুপুর হেঁটে যায় বনমুটিয়া বিকেলের ছায়ায়!
শার্সি অনুভূতি স্পর্শ করে মেসোপটেমীয় দজলার ইতিহাস।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন