ভাতযুদ্ধ
বাবা লবণমাঠে
ধানিজমিতে
পুকুরে মাছ ধরতে
খিদার সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে
ঘন্টার পর ঘন্টা খিদাকে গিলে খেতো
আমাদের উদ্দেশ্যে বলতো- পেট পৃথিবী খেতে পারে
আবার, পরিমিত খাবারে থাকতে পারে সন্তোষ
দুপুরের যৌবন ফিরে আসার পূর্বে
কাজ ফেলে ফিরে আসতাম ডেকসির টানে
একটু দেরি হলে হুঙ্কারে বলতাম
মাঠে যাও, সূর্য্যরে সাথে করো যুদ্ধ
আমি আগুনের সাথে যুদ্ধ করে
চাল হতে ছিনিয়ে নিই ভাতের বিজয়
মর্মব্যথা
অতীত ইতিহাসে
সঞ্চিত অপমানে চাকু চালায়
সহজ সরল সোজা মানুষকে
রক্তক্ষরণে লাল হয়ে যায়
পাঁজরের অলিগলি
সেই মর্মব্যথার গুপ্তগান
পদাবলির পরিবার হয়ে
জন্ম নেয় মসির মুখে মুখে
শব্দসন্তানরা-
পিতার বদলা নিতে
কারো কান মুচড়ে দেয়
মুচড়ে দেয় কারো হৃদয়
দুষ্ট ঘোড়া
স্বর্গের পথে পিতা
হাউ মাউ করে বিলাপ
আধাডিলা মেয়ে দেখে
পাশের রুমে যোগী
দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে
মনে করে ফিরে এসেছে
পিতা ভেবে খোঁজে সাত্বনা-শান্তি।
যোগী তখন যোগী থাকে না
তর তর করে ৭০ থেকে ৬০
৬০ থেকে ৩৫
আর ৩৫ থেকে ২১-১৮
রিপ ভ্যান উনঙ্কল মতো
বিশ বছরের ঘুমন্ত ঘোড়া জেগে উঠে
নদীতেও আসে জোৎ¯œার জোয়ার
ঘোড়া নদীতে নামে
নয় দশ মিনিট সাঁতার কাটে
ডুব দেয়, তলিয়ে যায়... তলিয়ে যায়....
| |||||||||||||||
| |||||||||||||||
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন