ওড় তুই বেয়াদব, পোড়া ঘা থেকে উঠে আসা,
হড়কে আসা ব্যান্ড-এইড,
ওড় তুই … পথের আদুড় খোয়াব তোর নয়,
শহরতলির খোয়া বাঁধা পথ, খোলা বা বন্ধ আচমন
তোর নয় …
সুতো ওঠা, মাজাভাঙা সেই পরমানন্দ প্রাণের বন্ধু –
ওড় তুই, আকন্দ ফুলের মত ওড়, তেরছা নয়নে ওড়,
ঘুরপাক খা বেয়াদব, ফুরফুরে মেজাজে নাচ, মন্দ গতিতে
বেয়নেটে এদিকে হাত কেটে গেছে তাদের, ফালা।
রিপোর্টার
তার অঢেল সময়, সে ভিড়ে ভাস্কর্য নিজেই, ভিড়ে চোখ বোজা,
আধ বোজা, সে আলাদা হতে চায়। তার সন্দেহ সতর্ক এখন
ভিড়ে গবেষণা, পরিসংখ্যান, জটিল বাজার বিশ্লেষণ …
সে পায়চারি করে ট্রান্সে, ভোরের চায়ে, আদিখ্যেতায়
রজনীগন্ধা এক হয়ে যায় এক গুচ্ছ সাইরেনে।
কথা, কথা গাঁথা লোকগুলো, কথা গাঁথা মানুষ,
মানুষের ভিড়, আসা যাওয়ার রঙবাহার … সেঁতানো এখন,
তার মাথায় ঘুরছে রিপোর্টিং।
কুকুরের ঘ্রাণশক্তি, ইঁদুরের শস্য চুরির ক্ষিপ্রতা নিয়ে
সে এখন ট্রেনের তলপেটে আটক। বাইরে বিন্দু বৃষ্টির উপশম আজ।
সন্ধে নেমে আসার সোনাটা
কেউ জ্বেলে রেখে গেছে এই ভীরু নাইটল্যাম্প
আলো এখানে মুনলাইট সোনাটা নয়,
তার মৃদু বা মোহিনী সুর, অজানা নির্দেশ,
ছোঁয়া যেন কাঁধে হাত, অনুচ্চ অথচ পরিণত –
একে অবহেলা করে তারা চলে গেছে
বাইরে হাততালি শুনবে বলে চলে গেছে
বাইরে রূপালি, বাইরে আলোর চীৎকার, সে আখ্যান
আমি কতদিন ঢাকা দিই বলো, আমারই জ্বলন্ত ভুল
গনগনে আঁচের ভুল, তোমাকে বলব একদিন সেই
ট্রাজেডির কথা, মৃদু বা মোহিনী ভাষায়,
আবছা শব্দহীনতায় বলব
সন্ধে নেমে আসার সোনাটা, চুপগান।
--
| |||||||||||||||
| |||||||||||||||
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন