দীর্ঘ কবিতা।। অনন্য কাওছার
পৃথিবীর সবকটি পথ হারিয়ে ফেলেছি
কালের অতলান্ত গহ্বরে ঘুমিয়েছি বহুকাল
সিংহের লোমশ কেশরাজ-ঘ্রাণ থেকে
জেগে ওঠে দেখি গাছের ডালের সরলতা নেই,
মহাপৃথিবীর সবকটি বনজঙ্গল, লতাপাতা,
এমনকি গাঢ়তর ঝোপঝাড় হয়ে গেছে উলঙ্গ নর্তকী
দেখি দেয়ালঘড়ি চেয়ার-টেবিল দরজা-জানালা সশব্দে
সিলিংফ্যানও টিকটিকির মত উল্টো হয়ে আমার দিকে
এলেবেলে চোখে তাকিয়ে আছে।
কালের অতলান্ত গহ্বরে ঘুমিয়েছি বহুকাল
সিংহের লোমশ কেশরাজ-ঘ্রাণ থেকে
জেগে ওঠে দেখি গাছের ডালের সরলতা নেই,
মহাপৃথিবীর সবকটি বনজঙ্গল, লতাপাতা,
এমনকি গাঢ়তর ঝোপঝাড় হয়ে গেছে উলঙ্গ নর্তকী
দেখি দেয়ালঘড়ি চেয়ার-টেবিল দরজা-জানালা সশব্দে
সিলিংফ্যানও টিকটিকির মত উল্টো হয়ে আমার দিকে
এলেবেলে চোখে তাকিয়ে আছে।
সুদূরে বিনিদ্র রাতের আকাশও অরণ্যের ভেতর
নীলপাহাড়ের ঢেউ তুলে নাড়িয়ে সবুজের বিষণ্ণ গোধূলি;
নদীর বাঁকানো তরঙ্গে আদিম মাছেরা
লাফিয়ে ওঠে আরেকটা ঝলমলে ইয়াং ইউনিভার্স;
যেখানে আজও বন্দুকধারী মানবের পড়েনি পায়ের ছাপ।
অতলান্ত কালের গহ্বরে ঘুমিয়েছি বহুকাল
দেখেছি মানুষেরা পাখিদের মত সানন্দে উড়ছে আকাশে
আশ্চর্যজনকভাবে সবকটি দালানকোঠায়
বন্য পশুপাখি রিপ্লেস হয়ে মানুষের মত অবলীলায়
বলতে শিখেছে বাংলা ভাষা।
কালের অতলান্ত গহ্বরে ঘুমিয়েছি বহুকাল
ছেড়েছি ঘরবাড়ি, অত্যাধুনিক যান্ত্রিক পৃথিবী থেকে বেরিয়ে
বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন এক আদিমতম ঘুম থেকে জেগে ওঠে দেখি
মানুষেরা শিখেছে কাকের ভাষা,
রপ্ত করেছে শিয়ালপণ্ডিত ও শ্বাপদের দীর্ঘ ভাষণ
উঠোন থেকে মাঠ, মাঠ থেকে মহানগরী পেরিয়ে
আরেকটু উঁকি মেরে দেখি
পরিচিত সমস্ত সড়কপথ উল্টো হয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে মিনি-কম্পিউটারের চৌদ্দ ইঞ্চি স্ক্রিনে;
অথচ কোথাও কোনো সুস্থ মানুষের দেখা নেই
আমিও ফিরতে পারছি না পৃথিবীর সড়কে
যেন পৃথিবীর সবকটি পথ হারিয়ে ফেলেছি
ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছি কৃষ্ণগহ্বর থেকেও দূরে, বহুদূর।
চমৎকার কবিতা
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks