চলে যাওয়া
হাত আমার কাঁপছে, সূর্যের তীক্ষ্ণ আলো
আলিঙ্গন করছে আমার সর্বাঙ্গ।
আমি তোমার অভিমুখ ছেড়ে
পশ্চিম দিগন্তে ভেসে যাবো,
ফিরে আসবো না এই ভালোবাসার সাম্রাজ্যে।
হৃদয়ের কোঠায় জমা স্মৃতি
অর্পণ করবো তোমার হাতে।
নদীতে ভেসে যায় তরী,
পাল তুলে ধীরে ধীরে পৌঁছে যায় গন্তব্যে—
আমিও পৌঁছে যাবো মৃত্যুর কোঠায়।
ফিরে আসবো না জোৎস্না-মাখা নদীর জলে,
কলকল ধ্বনি আর ছুঁবে না আমার কর্ণ।
সুর হবে না কণ্ঠে,
বাজবে না বাঁশি,
পাখিদের গান শোনা হবে না আর,
তোমার ঠিকানায় চিঠি লেখা হবে না।
আমি চলে যাচ্ছি—
ফিরে আসবো না।
আমি আর বিষাদ
আমি আর বিষাদ বসে আছি
ভাঙা দেওয়ালের পাশে।
কথা হয় প্রতি প্রহরে প্রহরে—
সে তার দুঃখের গাঁথা শোনায়, আমি
নীরবে শুনি।
বিষাদ স্রোতস্বিনীর মতো নিঃশ্বাস ফেলে—
মিশে যায় আমার রক্তে; আমি তার
সাথে থাকি।
আমার কথা—শব্দহীন, চুপচাপ আলাপন,
তার সাথে।
আকাশে গুনি তারা—আমি আর বিষাদ।
উপহার
একদিন তুমি আসবে,
জীর্ণ দেওয়ালের গা ছুঁয়ে— বসন্তের মোহনীয় বাতাস মেখে।
নিস্তব্ধতা ছুঁতে পারবে না তোমায়,
পাখির কণ্ঠে গান হবে,
নদীর কলকল ধ্বনি স্পর্শ করবে তোমার কর্ণ।
তুমি আসবে।
আমি যত্ন করে ধুলো-মোছা স্মৃতির বক্স খুলে
এক জোড়া ইয়ারিং উপহার দেবো।
খোলা নীল আকাশের নিচে
ভালোবাসার প্রণয় পাঠ করবো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন