সাব্বির আহমাদ এর গুচ্ছকবিতা
ফিলিস্তিনি প্রেমিকাদের এলিজি
আমার যে সমস্ত প্রেমিকারা একে একে গাজায়
নিহত হলো। এবং এখনো প্রতিনিয় নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে যারা
(ইসরায়েলি বোমার আগ্রাসনে) একের পর এক
হুটহাট করেই উড়াল দিচ্ছে আকাশে, বাসাতে।
ধুলোই ধূসরিত হয়া উধাও হয়ে যাচ্ছে অপার্থিব কোনো ভূবণে।
তাঁরাও আমার প্রেমিকা। আমার অদেখা
নাম না জানা প্রেমিকা। বংশ, গোত্র, জাতপাত আভিজাত্য
নাকি নিচু বংশীয় এই সবই না জানা প্রেমিকা।
সুন্দর না তাঁরা অসুন্দর। লম্বা না তাঁরা খাটো।
মোটা না তাঁরা চিকন। দৈহিক আকার আকৃতি সব,
এভরিথিং সব বিষয় বস্তু সম্পর্কে না জানা প্রেমিকা।
তবুও আমার কাঙ্ক্ষিত প্রেয়সী নারী তাঁরা।
এমন কোনো জয়তুন বৃক্ষ নেই ফিলিস্তিনে
যার শীতল ছায়ায় বসে আমি হাত বুলাই নাই ;
তাঁদের গালে, কপালে। বিষ্ফোরকে ক্ষত-বিক্ষ
আঘাতের চিহ্নে। তাদের ঠোঁটে,থুতনির তিলে তিলে
বারবার মেখে দিয়েছি ; আমার শত জন্মের মায়ায় মোড়ানো
সঞ্চিত ভালোবাসা। আবেগি উষ্ণতা। হ্যাঁ,হ্যাঁ তাঁরা আমার প্রেমিকা।
আমার কাঙ্খিত,অনাকাঙ্ক্ষিত কাল্পনিক,
বাস্তবিক সব হিসেব নিকাশের উর্ধ্বের গিয়ে তাঁরা আমার প্রেমিকা।
তাঁরা আমার ধ্যান, ধারণা।
হৃদয়ের সার্বক্ষণিক খেয়াল। জল্পনা কল্পনা। তাঁরা ;
তাঁরা আমার পবিত্র প্রিয়তম প্রেমিকা।
এমন কোনো ছায়াদ্বার গাছ নেই ফিলিস্তিনে,
এমন কোনো মৌসুমী ফলের সিজন নেই ফিলিস্তিনে ;
বাতাসে খুশবুর ঘ্রাণ নেই ফিলিস্তিনে —
আমার বাহুবন্ধে, আমার মুষ্টিবদ্ধ দৃঢ় হাতে হাত রেখে
তাঁদের নিয়ে ছুটিনি মিশরের নীল নদ হতে
সুউচ্চ পিরামিডে, সাহারার মরুভূমির দীর্ঘ দীর্ঘ বালিয়াড়ি পথে পথে।
পৃথিবীর প্রত্যেক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের প্রান্তরে প্রান্তে, ঘোড়ার
হ্রেষাধ্বনিতে, তীর, বল্লম, বুলেট বোমার আঘাতে আঘাতে
তাঁদের নিয়ে ছুটেছি। তাঁদের নিয়ে গিয়েছি এমন সব স্থানে যেখানে অভাব আর জুলুম হলে
মানুশরা দলে দলে নেমে পড়ে মাঠে ঘাঠে রাস্তায় রাস্তায়।
সৈরাচার নিপাত যাক। দমন পীড়ন নিপাত যাক
এই সব স্লোগানের কোলাহলে। তাঁরা আমার গৌরবান্বিত
প্রেমিকা সফরে, হজরে। জয়তুন বনের
আড়ালে আবডালে প্রেমের কথনে, মৈথুনে। সংগীতে, বসন্ত উৎসবে।
সুর ও সুরের মূর্ছান্বিত দিনের ভৈববে ;
তাঁরা আমার সঙ্গ দেওয়া প্রেমিকা। প্রেমিকা। প্রেমিকা।
বিশ্ব মোড়লরা দেখুক, শুনুক —
ফিলিস্তিনের আহত,
নিহত নারীরা দলে দলে আমার প্রেমিকা।
কোথায় কারা চিৎকার করে জনসম্মুখে ?
কোথায় কারা পথে ঘাটে হাউকাউ করে?
কেঁদে কেঁদে বলে ;
ফিলিস্তিন, ফিলিস্তিন আজ সর্বহারা।
তারা মরুক। তাদের চোখে মুখে পরুক অন্ধত্বের কায়া।
তাদের কানে পরুক গরম সীসা। এবং বন্ধ হোক
লাগামহীম মুখের ভাষা। ফিলিস্তিন পবিত্র মাটি,
ফিলিস্তিন পবিত্র নারীর ঘাঁটি। ফিলিস্তিনে
যতদিন আছে নারী ; দলে দলে আমার প্রেমিকাদের
লম্বা লম্বা সারি। জয়তুন বৃক্ষ সাক্ষী থাকুক।
সাক্ষী থাকুক তিন খেতের ফুল আর মৌমাছি।
আরো সাক্ষী থাকুক আকাশ, বাতাস
ইসরায়েলী বোমার পরমাণু, আত্মঘাতি হাইড্রোজন গ্যাস
ফিলিস্তিন, ততদিন বিশ্বজয়ী, বিশ্বময়ী।
ততদিনই ; পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্র। আর
পৃথিবীর সবচেয়ে পরাশক্তির দেশ। ফিলিস্তিনের ভূমি।
তবারক ও হাইড্রোজেন পারমাণবিক বোমা
আজকে সারারাত্র মসজিদে মসজিদে হবে লম্বা লম্বা নামাজ। আধুনিক টেকনোলজিক্যাল মাইক্রোফোন দিয়ে, সুরেলা কণ্ঠে পড়া হবে কোরানের একের পর এক বড়বড় আয়াত, সুরা— কেরাত। এরপর জিকিরে জিকিরে মসজিদের একেকটা স্তম্ভ লম্বা লম্বা পিলার কাঁপিয়ে ওঠানো হবে চিৎকার করে করে। যেন আরশে আজিমে আজকেই ফিলিস্তিন সম্পর্কে সব খবরা খবর পৌঁছিয়ে দেওয়া হবে। সর্বশেষ ইসরায়েল কে শতশত অভিশাপ ও বদদোয়া দিয়ে শেষ হবে দীর্ঘ এক মোনাজাত। এরপর তবারক নিয়ে যে যার মতো আস্তে আস্তে হাঁটা ধরবে যার যার ঘর বাড়ির পথে। হয়তো পরের দিন ভোরেই, হয়তো পরের দিন ভোরেই, ফজরের আগে যখন পাখিরা একাগ্রচিত্তে গেয়ে ওঠবে অসীমের গান। জয়তুন বৃক্ষের কান্ডে কান্ডে নতুন ফলের মুকুল নেচে উঠবে মৃদু হাওয়ার তোড়ে। ঠিক তখনই; ঠিক তখনই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দুইটন ওজনের এক হাইড্রোজন পারমাণবিক বোমার আঘাতে হয়তো উড়ে যাবে কয়েকটা আস্তো জয়তুন বন। ঘন ঘন জনবসতি। আর, আর কোমলমতি শিশুদের মস্তিষ্কহীন অসংখ্য অগুনিত মাথার খুলি।
জয়তুন বন এবং মুহাম্মদী খুশবু
খুব যত্নে করে মুছে দাও দুঃখ।
দেয়ালে দেয়ালে লেগে থাকা আঘাতের চিহ্ন।
অনেক দিন ; অনেক দিন ধরে আস্তে আস্তে জমতে থাকা জুলুম —
একসাথে উবিয়ে নাও কেউ দয়া করে।
এখানে গুঞ্জরিত ঐশী বাণী ,
মহীয়ানের জিকির, ক্রমশ নিঃশব্দ
হতে থাকা বাতাসের দোল ব্যথায় ঝর্ঝরিত।
কোনো পায়ের শব্দ শুনা যায় অথবা
যেকোনো আঘাতের আওয়াজ ?
তোমার দেয়াল ঘেঁষে যে বিষাদ
গলে পরে বৃষ্টির জলে —
ফিলিস্তিনের বুক যেন সজীব হয়,
সতেজ হয় তার স্রোতের বানে।
এখনো কি মুহাম্মদি খুশবুতে সুবাসিত হয়
তোমার আঙ্গিনা, জয়তুনের বন ;
ফুল ধরে তিন ক্ষেতে ?
কসম খোদার।
কসম পবিত্র ভূমি ও জনপদের।
আকসা ও তাঁর স্থাপিত্য সোনালী গুম্বজের।
রক্ত পবিত্রই হোক বা নাপাক।
তোমার দিকে ছিটকে আসা একফোঁটা
রক্তের দাগ ও
ইতিহাসের পাতা থেকে মুছতে দিবো না।
আবাবিল ও নুড়ি পাথর
এখন অবতীর্ণ হওয়ার সময়।
ঝাঁকঝাঁক পাথর।
দূরে শাদা-কালো অরণ্য ছাপিয়ে পাইন বন।
উড়ে আসা অসংখ্য আবাবিল —
দিকদিগন্ত জেঁকে আসা অস্পষ্ট
কালো রেখার মিছিল ;
মুখেমুখে তাদের ছোট্ট ছোট্ট নুড়ি পাথর।
এখন নিক্ষিপ্ত হওয়ার সময়।
প্রত্যেক চ্যাকপোস্ট, ছুটে আসা ট্যাংকার,
শূন্যে ঘূর্ণয়মান ইসরায়েলি বোমারু বিমানের উপর।
দূরে ফিলিস্তিনে। খুব দূরে আরো —
ধুঁয়া আর দীর্ঘ শ্বাসে ঢেকে যাওয়া আকাশ
জনশূন্য নগরী ; ধ্বংসস্তুপের দিকে ধাবমান
সাড়ি সাড়ি হিংস্র হায়েনা সেনা বহরের উপর।
পুষ্টিহীন বাতাস
পুষ্টিহীনতায় ভুগছে পৃথিবীর দূর্ভাগা বাতাস।
অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে মুখ আর রূপ।
লাবণ্য হারা সব নারী ও পুরুষ।
লাইন ধরে। সাড়ি সাড়ি। কাতারে কাতার
একেকটা শিশু —
হলদেটে , জবা , সোনালু বা সূর্যমুখী ফুল।
যেন ভুল হয়ে ফুটে আছে ফিলিস্তিনের বুকে।
থালা হাতে, রিক্ত হস্তে আবেদন মুখর চোখে
চাঁদ নামক ঝলসানো রুটির দিকে তাকিয়ে।
কাম টু দ্যা পেলেস্টাইন
ঐ দ্যাখো —
ঝাঁক ঝাঁক ফিলিস্তিনি আবাবিল উড়ে যাচ্ছে আকাশ বেয়ে।
তাঁদের ডানার ঝাপটায় পৃথিবীর এখন গাঢ় অন্ধকার।
একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ — ধ্বংসস্তুপে
ভরপুর আস্ত নগরী। হে আকসার সোনালী গুম্বজ!
আর খাদ্য - বস্র হীন লক্ষ-লক্ষ মানুষ।
তোমাদের জন্য আমাদের বুক পুড়ে।
চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরে।
হে তরুণ!
একটা বিস্তৃত মাঠের লক্ষ-লক্ষ পাথর, ইটপাটকেল
নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য তোমার পথ চেয়ে আছে।
আর মিহি সুরে-সুরে জিকির করছে —
কাম টু দ্যা পেলেস্টাইন। প্লিজ কাম টু দ্যা পেলেস্টাইন।
অভিলাষ
পাহাড়ের বুক চিঁড়ে বুলেট লিখে দাও আর্তনাদ —
ফিলিস্তিনিদের বুকফাটা আত্মচিৎকার আর আস্তো
বিল্ডিংয়ের নিচে চাপা পড়া নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ শিৎকার।
যে আকাশ বেয়ে উড়ে যাচ্ছে বিরহ প্রেমিকদের
দীর্ঘ শ্বাস ; কচিকাঁচা বাচ্চাদের প্রাণ।
সেই কালো ধোঁয়া মিশ্রিত আকাশের নিচে বসে
আর কোন অভিমান রেখো না বোকা প্রেমিক।
হে হরিণী চক্ষু মেয়ে! হে ফিলিস্তিনি প্রেমিকা!
তোমার গলদেশে যে ক্ষত তৈরী হয়েছে বোমার আঘাতে।
সেখানে, ঠিক ক্ষতস্থানে রক্ত আর ঘামে আদ্রিত স্থানে
আমার তোমায় একে দেওয়া শত-শত চুমুর অভিলাষ।
একহাত জায়গা দাও
একহাত জায়গা দাও।
মাত্র একহাত।
একটা করব দিবো —
সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশুর।
চারিদিক ধ্বংসস্তুপে ভরপুর।
মাথার উপর হেলে আছে
এতদিন ;
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা
দাম্ভিক দাম্ভিক বিল্ডিং।
একহাত ফাঁকা জায়গায় দাও
ঘাস ও শিশিরে ভেজা কোমল,
নরোম মাটির।
বোমার আঘাতে শতচ্ছিন্ন হওয়া
এক সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশুর
করব দিবো।
অস্তিত্বের সংকটে ভুগা
এই ফিলিস্তিনের বুকের ভিতর।
একহাত জায়গা দাও।
হে বিশ্ববাসী! দয়া করে —
মাত্র একহাত জায়গা ;
যেখানে তোমাদের মনের মতোন নিরাপদ।
তীর ও তলোয়ারের ইতিহাস
আমাদের পথ চলা সুদীর্ঘ। হেঁটে হেঁটে, দৌড়ঝাঁপ; লাফিয়ে বা উড়ে। ক্লান্তি ও হাপ্যিতেশ আমাদের নৈবেদ্য দিনের উপহার। আমরা নদীর পাশ ঘেঁষে একটা জনাকীর্ণ সবুজ মাঠে। নীল নীল শ্বাস,প্রজাপতি আর আকাশ মিলেমিশে একসাথে। পৃথিবীর সমস্ত তলোয়ার,বর্শা আর তীরের ঠিক মাঝ খানে; স্বপ্ন আর বাস্তবতার কাঁধ জড়িয়ে গোলাবারুদ আর রকেটলঞ্চারের শব্দ এখানে নেশার উপদ্রব্য। আমরা নেশা করি; রোজ রোজ নেশা করি কিন্তু আমাদের চক্ষু লাল হয় না। কোনো ঘোর আমাদের কাবু করতে পারে না। এখানে রক্তের দাগ — সৌন্দর্যের গ্রাফিতি। ভাঙ্গচুর, ধ্বংসাবশেষ; কংক্রিট আর রাশি রাশি পলেস্তারার গুড়ো প্রেরণার উপজীব্য। আমরা পথ চলি, চলতে থাকি অব্যহত ভাবে ; আমাদের পথ চলা সুদীর্ঘ ইতিহাসের।
মরণব্যাধি জ্বলন
এ'কেমন দেহ খোদা !? এ'কেমন গতর !?
এ'কেমন অনুভূতি আর মরণব্যাধি জলন !?
এতো এতো গুলি খাই, এতো এতো বোমার আঘাতে
ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ি চারদিকে। তাবুও কেনো মরিণা?
শুধুই পুড়ে পুড়ে ছাই হই দ্রোহের অনলে।
কেনো নেই এই ঘুণে ধরা দেহের অবসান ?
আমাকে উবিয়ে নাও ফিলিস্তিনি শিশুদের সাথে।
আমাকে উবিয়ে নাও ফিলিস্তিনি ভাইয়েদের সাথে। আমাকে উবিয়ে নাও খোদা —
ফিলিস্তিনি মা, বোন,প্রেমিকাদের সাথে।
আমিও দেখতে চাই ; সবুজ সবুজ উদ্যানে কিভাবে
মানুশ উড়ে ছোট্ট আবাবিলের গতরে।
জিবরাইলের ডানা
একটা কারিশমা দ্যাখাও খোদা। অন্তত একটা কারিশমা।
দ্যাখাও তোমার খোদায়ির পাওয়ার।
এই চর্ম চোখে তো তোমার খোদায়িত্বের কিছুই চোখে পরে না।
অথবা আমাকে এই কবিতা লেখার অপরাধে তোমার
চরম গজবে রূপান্তরিত করো পাখির মতো ডানা ওয়ালা।
মাবুদ! আমার পিঠে দু'দিনের জন্য গজিয়ে দাও জিবরাইলের ডানা।
আমি আবাবিল পাখি হই। আমি হয় উদ্যত হিংস্র চিল।
আর ইসরায়েলের দিকে মুখে করে নিয়ে যাই
স্তুপেস্তুপে পাথরের কণা।
দ্যা লাস্ট সাজেশন
কাদের চোখ হিংস্র পশুদের মতো লাল?
রক্ত দ্যাখলেই কারা বারবার উল্লাসিত হয়ে পড়ে?
পৃথিবীর আলপথ বেয়ে যারা অন্ধকার রাত হয়ে গ্যাছে
বা বন্ধ করে দেওয়া ইতিহাস।
তাদের কবর খুঁড়ে কেউ দ্যাখো —
পঁচা মাংসের গন্ধ পাওয়া যায় কি-না?
কে আছো হিসাবি —
পঞ্জিকা নিয়ে হিসাব করে বলো যুদ্ধের আর কয়দিন বাকি?
অথবা ধর্ম গুরুরা! যে যার ধর্ম গ্রন্থ নিয়ে নির্ণয় করে বলো
কেয়ামতের আর কি-কি আলামত বাকি?পৃথিবী বার-বার
রক্তাক্ত হওয়ার চেয়ে বরং এবার একেবারে বিলুপ্তই হয়ে যাক।
মহান
হে মহান!
আপনার আরশের দুরত্ব কতটুকু?
বলে দেন —
আমরা সাঁকো তৈরী করি অথবা আকাশ
ফুঁড়ে অলৌকিক রাস্তা।
পৃথিবী হতে একটা বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রকে আবার পৃথিবীর সাথে জুড়ে দিতে —
আসেন আমরা কোন বিষয়ে সমজতা করি অথবা চুক্তি সাক্ষর
করি একহাজার কোটি বছর নফল ইবাদতের।
বিতারিত শয়তানের পথও ছেড়ে দিয়ে আমরা
আবার আপনার পথ মাড়াতে প্রস্তুত হে মহান!
মহান!
আপনি আমাদের সাহায্য করুন —
সহয়তা করুন,
জালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সমর্থ দান করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন