মজিদ মাহমুদ এর কবিতাগুচ্ছ
ইলিশ
১.
লবণ সমুদ্র পার হয়ে এইখানে মোহনার কাছে
থেমে গেল ইলিশের মাতা; পোয়াতি মায়ের মতো আজ
সন্তানের কথা ভেবে তাই পরেছে সে নায়রের সাজ
কোথায় রয়েছে পড়ে সেই বাড়ন্ত দিনের ধাঁচে
পুরুষ মাছের সাথে তার জমেছিল জীবনের খেলা
শরীরে লবণ ছিল; ছিল সবিতার সাতরঙা দিন
কে তাকে শিখিয়েছিল ব্যথাময় কামের গন্ধে রঙিন
কে তাকে বলল নুনজল ছেড়ে যাও এখনি এ বেলা
তোমার বুকের ধন ডিম্বাণুর কোমল শরীর ক্ষয়ে যাবে
সাগরের জলে; এইসব প্রশ্নের উদয় হয়েছিল তার
হৃদয়ের কোণে; তাই চোখ মুছে দেখে নেয় বারংবার
সন্তানের জন্ম দিয়ে এইখানে নিরাপদ ফিরে আসা হবে?
শুনেছে সে চারিদিকে মৎস্যভুক মানবসন্তান
পেতেছে জলের নিচে ফাঁদ; শোনে তারা মরণের গান।
২.
ডিম পাড়া হয়ে গেছে শেষ, এখন ফিরবার সময়
উজান বেয়েছে দ্রুত শিকারীর তীক্ষ্ণ জাল কেটে
পানির গভীর থেকে চুপিচুপি খালি পায়ে হেঁটে
এতসব প্রসবের কষ্ট জেনে তবু কি অনন্দময়!
সেইসব হৃদয়ের ধন এইখানে যেতে হবে ফেলে
এইখানে রয়েছে মানুষ; হাঙ্গর-কামুট শুশুকের
জলের ওপর ভেসে ওঠা কামনার মুখচ্ছবি ঢের
তবুও তো এইখানে জন্মদানের আনন্দটুকু মেলে
সাগরের জল তরঙ্গায়িত হয়ে বন্ধুরা দিয়েছে ডাক
দয়িতের আহ্বানের মতো সেইখানে ফিরে যেতে হবে
অনেকে পড়েছে ধরা শিকারীর জালে কখন কিভাবে
আমাদের হয় নি কো জানা; জেনে গেছি জীবন অবাক
শিকারীর জীবনও কি আমাদের মতো সময়ের শরে
ক্ষতাক্ত আহত হয়ে শুয়ে আছে অন্ধকার হিমাগারে!
উজান বেয়েছে দ্রুত শিকারীর তীক্ষ্ণ জাল কেটে
পানির গভীর থেকে চুপিচুপি খালি পায়ে হেঁটে
এতসব প্রসবের কষ্ট জেনে তবু কি অনন্দময়!
সেইসব হৃদয়ের ধন এইখানে যেতে হবে ফেলে
এইখানে রয়েছে মানুষ; হাঙ্গর-কামুট শুশুকের
জলের ওপর ভেসে ওঠা কামনার মুখচ্ছবি ঢের
তবুও তো এইখানে জন্মদানের আনন্দটুকু মেলে
সাগরের জল তরঙ্গায়িত হয়ে বন্ধুরা দিয়েছে ডাক
দয়িতের আহ্বানের মতো সেইখানে ফিরে যেতে হবে
অনেকে পড়েছে ধরা শিকারীর জালে কখন কিভাবে
আমাদের হয় নি কো জানা; জেনে গেছি জীবন অবাক
শিকারীর জীবনও কি আমাদের মতো সময়ের শরে
ক্ষতাক্ত আহত হয়ে শুয়ে আছে অন্ধকার হিমাগারে!
ইমদাদুল হক মিলনের নুরজাহান উপন্যাস নিয়ে প্রবন্ধঃ পড়ুন
চানক্য বাড়ৈ এর কবিতা পড়ুন এই লিংক এ
বিনয় মজুদারকে উৎসর্গিত পিয়াস মজিদের কবিতা পড়ুন এখানে
নির্জন প্রার্থনা
আমি আর প্রার্থনা করব না- শব্দে ও উচ্চারণে
এতদিন বলেছিলাম সর্বজনীন সঙ্গীতের কথা
বলেছি তুমি আছ কিছুটা রঙ ও তুলির অঙ্কনে
অযথা ভুলিয়ে রেখেছ কান ও চোখের নির্ভরতা
হয়তো সঙ্গীত আমাদের বলেছিল অতীত মর্মর
হয়তো দিয়েছিলে পত্ন পথের ইতস্তত ইঙ্গিত
লম্বমান পথের বদলে দিয়েছ দিন ও রাত্রির ঘোর
আহ্নিক চক্রের সাথে রেখেছ বেঁধে গ্রীষ্ম ও শীত
আমার চারপাশে দেখছি যাদের- পুত্র কন্যারা
পিতারাও একদিন ছিল মায়ের নির্জন সংসারে
আমারই মতো শূন্যতায় করেছে ভিড় অন্যরা
তুমিও অপেক্ষায় আছে শব্দ ও বস্তুর ওপারে
অদৃশ্য ধুলায় আজ পেতেছি প্রার্থনার সংসার
ধ্বনিময় বস্তু আড়াল রাখেতে পারবে না আর।
এতদিন বলেছিলাম সর্বজনীন সঙ্গীতের কথা
বলেছি তুমি আছ কিছুটা রঙ ও তুলির অঙ্কনে
অযথা ভুলিয়ে রেখেছ কান ও চোখের নির্ভরতা
হয়তো সঙ্গীত আমাদের বলেছিল অতীত মর্মর
হয়তো দিয়েছিলে পত্ন পথের ইতস্তত ইঙ্গিত
লম্বমান পথের বদলে দিয়েছ দিন ও রাত্রির ঘোর
আহ্নিক চক্রের সাথে রেখেছ বেঁধে গ্রীষ্ম ও শীত
আমার চারপাশে দেখছি যাদের- পুত্র কন্যারা
পিতারাও একদিন ছিল মায়ের নির্জন সংসারে
আমারই মতো শূন্যতায় করেছে ভিড় অন্যরা
তুমিও অপেক্ষায় আছে শব্দ ও বস্তুর ওপারে
অদৃশ্য ধুলায় আজ পেতেছি প্রার্থনার সংসার
ধ্বনিময় বস্তু আড়াল রাখেতে পারবে না আর।
কবি আমিনুল ইসলাম মুল্যায়ন প্রবন্ধ পড়ুন এখানে
ড. আলী রেজার প্রবন্ধ পড়ুন এখানে ক্লিক করে
মোহাম্মদ জসিমের ভিন্ন রঙের কবিতা পড়ুন এখানে
জিল্লুর রহমান শুভ্র'র ভিন্ন স্বাদের কবিতা পড়ুন এখানে
ওপার বাংলার বিখ্যাত কবি রবীন বসুর কবিতা পড়ুন ক্লিক
ওপারের কবি তৈমুর খানের কবিতা পড়ুন এখানে
লাসভেগাস
আমার যাত্রার পথ যেহেতু অনির্ণিত তোমার ইচ্ছার অধীন
যেহেতু জল ও সমুদ্রও তোমার- আবার নৌকার দড়াদড়িও
পালে বাতাস লাগাবে আস্তে বা জোরে- সেখানেও স্বাধীন
কেনই বা বলতে যাব কেঁদেকেটে দুঃসময়ে আমারে নিও।
এমনই তো কথা ছিল, তাহলে কেন বুকডন সন্ধ্যা-সকালে
তোমাকেই বলতে হবে প্রিয়তম এখন মিলিত হওয়ার কাল
জোয়ারের সময় তুমি বলতে পার বাতাস পাবে কিনা পালে
নিশ্চয় বলবে না তুমি বুঝিবার দোষে আমার হয়েছে এ হাল
আমিও ডাঙায় উঠি তোমার জাহাজখানি যখন থাকে বন্দরে
তুমি ছুটি দিলে দেখে আসি এ শহরে তোমার লাসভেগাস
আবার আসবে জোয়ার এমন নয় থেকে যাব বাযুর কন্দরে
তোমার ইচ্ছাতে নানা রূপে অজস্র বন্দরে করেছি বসবাস
অবশ্য যেখানেই গেছি রূপান্তরের কষ্ট শরীরে পেয়েছি টের
তবু তোমাকেই চেয়েছি মাতৃরূপে পুত্র ও কন্যা রূপে ফের।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks