আবিস্তা মির্জার জন্য অনুরাগ গুচ্ছ
প্রেমাংশু শ্রাবণ
১
বুঝতে পারোনি, বুঝতে চাওনি বলে,
সুরের ইশারা ক'জনে বা বোঝে বলো
কতো মেঘ রোজ চলে যায় ভেসে
অবুঝ মনটা তবুও তোমায় খোঁজে
নদী ছুটে চলে, মেঘেরাও ভেসে যায় --
পাহাড় থেকে ঝর্ণা এসে নামে,
তবু একা একা বিষণ্ণ সন্ধ্যায়
না বলা কথারা থেকে যায় নীলখামে।
গুমরে গুমরে একেমন বেঁচে থাকা?
চারদিক শুধু নীরবতা গিরিখাত
সময় চলে না থমকে থেমেছে চাকা,
ঘিরে ঘিরে ধরে অমাবস্যার রাত।
ভাঙা ডানা নিয়ে তবুও তো পথ চলি
শীতের বিকেলে ক্লান্ত রোদের মতো
বিষাদ রাঙানো নদী আর কানাগলি
দিগন্ত জুড়ে মন খারাপের ক্ষত ।
২
লেখার খাতায় রাত্রি মেপে রাখি
আঁধার আমার নিকষ কালো ক্ষণ
আর হবে না আগুন ছুঁয়ে বাঁচা
কালি কলম পাঠ চুকোনো মন ।
তবু পাতায় ভরে ুউঠছে আলো
তবু পাতায় ভরে উঠছে কথা
তোমার যদি একলা হওয়ার জ্বালা
সেই মেয়েটার নিবিড় বিমর্ষতা ।
লিখছি না আর বলার মতো কী বা
শব্দ তবু গোপন অভিসারে
গভীর সুখে, গর্বকরে দ্যাখো --
লিখছি তোমায়,আদর অহংকারে ।
৩
শব্দ জুড়ে আদর, শুধু
যায়না শোনা স্পষ্ট করে
এমন মানুষ বেভুল যদি
সামনে হঠাৎ এসেই পড়ে
গুছিয়ে রাখা ঘরবসতের
নিস্তরঙ্গ একলা দাওয়ায়
সব ভেসে যায় নিয়ম নিষেধ
যদিই তাকায়,অমন তাকায়।
ইচ্ছে করে অনেক কিছু
ইচ্ছে করে অবাধ্য হই
বুক দুরুদুরু দুপুরবেলার
এই হাতে সাধ, ওই হাতে ভয়
কিন্তু সে ত বড্ড ভীতু
চতুর্দিকে সমন জারি
উথাল-পাতাল ঢেউ না দেখে
বিদায় নিতে ব্যস্ত ভারি
আর কিছু না, আর কথা নেই?
জলছলছল পলক নিচু
যেতে যেতেও ঘুরে তাকায়
ভালোবাসার মতন কিছু.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন