সিরিজ কবিতাঃ
পাখিতারাবীক্ষণ
নকিব মুকশি
১২
মন টিপে টিপে কবে বাগানে পৌঁছাব
তা জানি না বলেই আজ পুঁজির চেয়ারে
বসে মুভি দেখে যাই, কবিতা-রন্ধন
করি, পরিবার দুঃখে মাথা ঠোকে রোজ—
‘পাশের বাড়ির ছেলে—বিশাল বেতন
বাড়িঘর সাদা করে হজে যাবে কাল’
কেরানির জব করে কোটিপতি তারা
অর্থের পাহাড় দেখে, দেখে না ময়াল!
দেখি—তকতক করে নেতাদের মুখ,
অথচ হৃদয় থেকে ভকভক করে
বের হয়ে আসে কালা রক্তের মাস্তানি!
মা-বাবারা সন্তানের সুখের সন্ধানে
মানুষের মাংস রান্না করে পাতে পাতে
দিতে যে প্রস্তুত, সেটা চুলা জানে খুব
১৩
সেদিন পাঁচালি সুরে বৃষ্টি নামে মনে
ভেসে যাই অকারণে ফাগুনের বনে
তোমার ক্ল্যাসিক স্তনে গন্ধর্ব কস্তুরি
বুনো হাওয়া দেয় দোল, ডাক অর্কিডের
হৃদয়ে হারিয়ে দেখি—সিবার্ড সমুদ্রে
উড়ে উড়ে গান করে জলের ওপর
কুসুম ফোটার মতো সেদিন নীরবে
ফুটেছিল প্রেম, বুনো ত্রিতাল নহর
পক্ষল হৃদয় উড়ে আমার বাগানে
প্রজাপতি, পাখি হয়ে ঘুরে ঘুরে দেখো
ধ্রুপদি সঙ্গীত বাজে কি না গাঢ় চোখে—
একুশ শতকে ছিল পর্নোগ্রাফি-ঢেউ,
তবু ফুল হয়ে দিতে পাখির কাকলি
বরফের হাসি, আর সমুদ্র-কাওয়ালি
১৪
গানে যেন বৃষ্টি ঝরে জীবনানন্দের
গ্লুমি ডেকে আনা দীর্ঘ কবিতার মতো—
ডিপ্রেসের দিন এলে মুড ভালো করা
অপরাজিতা চা এসে ফেমিনিন গন্ধ
দিয়ে আপ্যায়ন করে—এই ভাব নিয়ে
সাম্বার ডেটের ফুলে ডানা যুক্ত করে
হৃদয়ে উড়াই, বলি—দাও ছড়াছন্দ,
বৃদ্ধ বয়সের মতো বোঝা নেমে যাক
পুরো পৃথিবীটা যেন অস্ত্রের কিচেন—
ফুলেরা নিষ্কৃতি পেতে সুবাস ছড়াবে,
তেমন বাতাস কই? শুধু বারুদের
গন্ধ; অ্যাটোমিক শব্দে থেমে যায় নদী—
ক্ল্যাসিক গানের খাতা ভিজে একাকার
আসুক করোনা, নেচে উঠুক নেচার
ভাবুক মাস্টারের পাথর পড়ুন এখানে
কবিতার বরপুত্র আসাদ চৌধুরি এখানে পড়ুন
english article here
poem by timur khan here
বাস্তুহারা তারার ইশতেহার পড়ুন এখানে
সুশান্ত হালদারের কবিতা পড়ুন এখানে
মায়াপথিক এখানে
নয়ন আহমেদ এর কবিতা এখানে
article of law and literature : click here
লতিফ জোয়ার্দারের কবিতা পড়ুন এখানে
nobel prizev:2025 on litterature here
ইসলাম তৌহীদের কবিতা পড়ুন এখানে
মহসিন খোন্দকারের কবিতা পড়ুন এখানে
গল্প বরফের ছুরি পড়ুন এখানে
প্রবন্ধ,উত্তরাধুনিক কাব্যধারার যাত্রাঃ মতিন বৈরাগী-এখানে
আকাশের বারান্দায় একছত্র মেঘ
ঝুলে আছে, যেন কোনো পাহাড়িয়া নথ—
আমার প্রিয়ার প্যাঁচা, কালো কাক হয়ে
বনতরুপথে বুঝি এক্ষুনি সরোদ
বাজিয়ে হাঁকিয়ে এসে সিক্ত করে দেবে
আমার বুকের মরু; ডেথ জোন ঘিরে
কবিতার সুরা ঢেলে গড়ি শান্তিবাড়ি—
কবির তো অক্সিজেন—এটাই শর্বরী!
কবিতার খোঁজে বের হয়ে ঘরে ফিরি
অনেক সময় শুধু পালক কুড়িয়ে
খাতা ভরে যায় দুঃখে সেটেলার গানে!
মাঝেমধ্যে কাটে মেঘ উত্তুরে হাওয়ায়
ছড়াছন্দে প্রেম বাজে, স্তন চুষে যাই
স্বাদ পাই আঞ্চলিক ভাষার মতন
১৬
উজানে পালের মতো মেলে ধরো পাখি
তোমার ডানার ওড়া, মরমি আঁচল—
কবিতার ম্যাচ নিয়ে রূপের ঘষায়
ফাগুনে জ্বালিয়ে দেব বাস্টার্ড পৃথিবী…
কবিতা আমার সেই তাঁবুর কূজন
যে জাগিয়ে তোলে স্বপ্ন, শ্রান্তি করে দূর
ঢেকে দেয় কালো হাসি তুষারের মতো
সারি সারি ফুলে হাসে ওয়ার সিমেট্রি
যুক্তবর্ণ হই শীতে, যুগের অধিক
পিরিতি উজিয়ে এসে এক করে দেয়
হয়ে গেলা একাকার তুমি ও কবিতা—
তোমার আঁচলে গেলে কবিতারে পাই
কবিতার নদী তুলে সুর তুলি, দেখি—
তোমার ভরাট তারা কাঁপে, গান গাই

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks