হারানো রুমাল ও অন্যান্য কবিতা
মাসুদ মুস্তাফিজ
মাসুদ মুস্তাফিজ
হারানো রুমাল
তাহার পর ক্রমবর্ধমান শরীরের ব্যাকুল অব্যয়পথে হাঁটছি
এদিকে শুকনো খাদে ফুল হেসে যাচ্ছে রক্তবিভক্তির গোলাপ হাতে
কাঁপছে কল্পনার বিরতি অন্ধকার—
ক্লান্ত বিছানায় শুয়ে চেনা মুখগুলো অসত্য সত্তায় তছনছ করছে
সহজিয়া বিরহঅবজ্ঞা অথচ সকালের ভাষা বিকেলের ভাষাকে
শাসিয়ে যাচ্ছে শুন্যদিনের আবেগের সাধুসস্ত বিবিধ আঙুল
জানি— কথা খুব ভালো শত্রু
সবচুরি যাওয়া চৈতন্য লেগে আছে মৃত্যুহীন আড়মোড়া ঘুমের ভেতর
আমরা কেবল পেয়ালায় ঢেলে দিই ঝরাপাতার জীবনের ভাঙামধু!
এই অদ্ভূত আঁধারের উষ্ণতা হৃদদগ্ধ হোয় হারানো রূমোলের পরানে
সেক্সপিয়ার একবার জীবন খুঁজতে নেমে হারিয়ে ফেলে ঈর্ষাসন্দেহে—
আর দুর্বিনীত সংকেতের কল্লোল ডুবে যায় সমর্পন ঘ্রাণের জলে
আজ যৌবন ভিজে গর্ভস্থ হয়েছে বিবর্ণজানালা এক দেরিদাতত্ত¡!
প্রকৃতি হে দু’চোখ দস্তে আমার !
আমাকে শুদ্ধ করো—তোমার নীলিমাহ্রদের ধ্যানীবৃক্ষ বাৎস্যায়নে!
নিমগাছের পাতায় রুহুপ্রাত্রের হাওয়া
বিরোধিতায় নিজেকে ভেঙে ভেঙে জলের বুকে পরিধি বুঝি—
নিমগাছের ডালে ঝুলে থাকা অসহায় নি:শ্বাসগুলো টুপ করে
ঝরে পড়ে নব অর্থনীতির অবনতিদ্বারে—
এ যেন সীমা উপচে পড়া গাণিতিক অসাড়তায় নিজের ছায়া
কেটে উড়িয়ে দিই শূন্যতার ভেতর—
প্রান্তঘেঁষা ঝলসানো রোদ্দুর দিগন্ত প্রেমিক আমি বেঁচেবর্তে
থাকি পরস্পর মানুষ হোয়ে সংযুক্ত বেদনায় অভিমানি প্রাণ!
রুহুপ্রাত্রে হাওয়ার খুলি- দেখছি মানুষ সমুদ্রপাগল ভুলের যৌনতায়
এ কোন বুজুর্গনামা সন্তানেরা সেলাই করে যাচ্ছে আত্মার কাপড়
আর পাঠ করে যাচ্ছে-চেশোয়াভ মিউশ এবং হোলুব কবিতা
দুরারোগ্য ভোরের চুক্তিবদ্ধ দুর্গত নি:শ্বাসে অবাধ্য শরীরে
বারবার ফিরে আসি বহুমাত্রিক বৈষম্যে—
অতপর আমাদের ক্রমহননের পথে জ্বলেওঠা অপেক্ষা নিয়ে-
প্রণনে নির্ঘুম শক্তির মুদ্রণে ঝুকেপড়া সাহসী
রাশি রাশি কামাচ্ছন্ন নিমপাতা তাহার বিবেক ঝরালো!
খহর
আমি র-নয়নে হঠাৎ যেতে যেতে দেখি—
ইনয়নের আনয়ন অস্থানিক...অৎজনিস সঙ্গ যমুনা
রাঁধার ছায়াকৃষ্ণ অদৃশ্য হলো কবিতা সূর্যপত্নীর দেশে
ছায়ার সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে আজ বাংলাকবিতা শ্বশুরবাড়ি
ধর্মযুদ্ধে আমার শানু বোরখা পরেন
যদিও সে জানতো সত্যযুদ্ধ আমার স্বরূপ গোপনে থাকে
আজ আমার বাবা-মা রাতদিন হয়ে যাচ্ছে সময়
আর অপ্রেমিকার কোলাহল চাঁদে ফাঁদে পড়ে যায়
এই নির্জনতা আমাদের তৃতীয় প্রজন্ম!
তাই আত্মজ খহরভাষা রেখে যায় বিবেকের প্রশ্নাতীত শব্দে—
ওগো বিজন খহরের প্রজাপতি, বায়ুরেখা কে রাখিবে গায়
ইনটেনসিভ ভাইব্রেশান
মুখে রক্ত বমি—
সামনে সমুদ্র শূন্যতা, ডানাগ্রস্থদেহে
পাখি প্রত্যয়ের দিনে টাইম ট্যুরে কে চাপছে অপারেটিং টপ!
আমরা তো গলায় ভিজছি—
এই ওয়াউড দুর্বিনিত ভাব এবং জ্বলে ওঠা অপেক্ষা
যেনো সমূহসকল আত্মহত্যা
বিজয়ের প্রতিযোগিতায় এক সশন্ত সংঘাত
জীবনের ওভারব্রিজে দাঁড়িয়ে চুমুর জাহাজ মাতৃজন্মদেহের
আলোয় নাৎসি বাতাসে উড়ে যাচ্ছে মগজের কারুকাজ নিয়ে
আমরা শোকের ভ্রণ থেকে জেগে শোষকবিশ্ব বর্ষারোদে পুড়ি
এই জয়-পরাজয় ভাবনার বদল থেকে সময়ের সাহসীচোখ
কিছু একটা বলতে চায়-পাখিমুদ্রণ ভাষায়!
চলো, পিপাসার্ত রোদে পুড়ে আকাশে বাতাসে বুদ্ধি ট্যাগ করি!
দুর্বাশা দুর্বার
তাহলে একটা বালিঘর তৈরি করা যাক—
কিছু আশ্চর্য মেঘের আলো দিয়ে জানালা
দুটো চোখ আমাকে নিয়ে যাচ্ছে বাতাসে
আমার ছুটন্ত আঙুল খুলে তোমার দৃষ্টি—
এই ছায়ার বালিঘর থেকে উড়ে আসে বৃষ্টি
এই মনের পালকে লেখা শব্দখুড়ে প্রাণ
ঘরের অন্তর নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আকাশে
আর মেঘের গায়ে ঝুলে আছে পূর্ণিমাদান
পুড়ে যাচ্ছে ছায়া- জীবনের অতীত রোদ—
হয়তো এ দেশে বাঙালি না হয়ে জন্মালে
অনতিগম্য চিন্তার বৃত্তানুপ্রাস শেখা হতো না!
ভবিষ্যত তন্ময় বৃষ্টি পরস্পরা
আকাশ থেকে নামছে বৃষ্টি উৎসে এবং সমার্থক বিন্দুতে
শহরে সংস্কৃতি উড়ছে ব্রাত্যসৃজনের শ্রেণিমনস্কতা নিয়ে
তবুও দৃশ্যে ঢুকে পড়া অজস্র স্মৃতির জল ঘরোয়া পেনটিংয়ে
ঐক্য ও পার্থক্য করছে বর্ষা রমণীকে—
কাকে চিনবে তুমি,
কাকে দেখবে তুমি—
আজ সব সুন্দরিরা হৃদয় পুড়ছে দুপুরে
মিলনের মন্ত্র মৌমাছি তুমিই সেই বাকবিতান!
সূর্য ঢাকছে তার লজ্জা উড়ন্ত শাসন হয়ে
আহা! প্রেম
প্রাণ!
স্বপ্নের মহাভাষ্য!
দল বেঁধে ঘিরে ফেলছে জালশব্দের দৈনিক রসদপূর্ণ সমীকরণ
জানি- এই পুরাতন সকালবিকেল ব্যাকুলতায় অবিশ্বাসসমূহ
ভবিষ্যত করিয়া তুলিবে এমনতর বৃষ্টি পর¯পরা তন্ময়!
রক্তাক্ত শাদামেঘ উড়ে যাচ্ছে
আজ প্রত্যকটি কবিতার শরীরে রক্ত— শব্দে কী পক্সিক্ততে
লেগে আছে উন্মদনার লাল, বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস
অরণ্যের নিদ্রা ভেঙে শাদা মেঘে উড়ে যাওয়া রক্তাক্ত পাখি
পালক ছিঁড়ে পড়ে অদৃশ্যের অলৌকিক ভাগ্যরেখায় ফ্যাসিবাদের
পতন জনতার জাগরণে পাখিবিদ্রোহের তুমুল ক্ষোভে—
গোধূলিধাঁধানো জীবনের বিপরীত সময় পুড়ে যায়—
কী লিখবো এই কবিতায়-সাঈদের বুক, মুগ্ধের হৃদয়তাড়িত
জলন্ত কবিতা তাবাসুমের স্বপ্নময় আগামি—
এখন আমার প্রতিটি বর্ণের আতনাদের ধ্বনি নিয়ে উড়ে যাচ্ছে
জানি-আজ বিপ্লবের শাদামেঘ গুলিবিদ্ধ, গানের প্রিয়পাখি গুলিবিদ্ধ
কী লিখবো এই কবিতায়— অনন্তাতা চোখে সুখ মলিন হয়
মেঘের শাদা পালক ছিঁড়ে উড়ে যাচ্ছে স্বাধীনতার আলো
কী নিশঙ্ক ভোর-সকাল-দিন-রাত্রির মতবাদের লোকালয়!
স্বপ্নের আবাসিক এলাকায় লুণ্ঠিত বাতাসের কাঁপন—
বুকের ভ‚গোলে আগুন কী দিয়ে লিখবো কবিতা
এই প্রপঞ্চ মায়াসমূহ নিয়ে! সাঈদের বুকে বাংলাদেশ
মুগ্ধের বুকে বাংলাদেশ-তাবাসুমের হাতে ও কব্জিতে রক্তসময়!
কী লিখবো আমার এই কবিতায় স্মৃতির উর্বর কালিতে-
কবিতাপ্রকল্প প্রাইভেট লিমিটেড
একটা পুরাতন নগরীর ছাদে আকাশ উড়ে যাচ্ছে গ্রামে
এদিকে ট্রাম্পের রাগি রগের শব্দ শাসন ভারি রবার
স্ট্যাম্পের থরথর ঈশ্বর ছাদে একা
ঘুমের ভেতর চিনি মিশিয়ে নির্ণয়াতীত—
তরুণ গোলাপ প্রকল্পে নক্ষত্রচাষ করে—
একটা প্রাচীন বিকেল জুলাইয়ের বলিরেখায় লোলচর্মে অঝরে বৃষ্টি নামাচ্ছে
জানি-ময়ূরের পাখা বাতাস করে প্রাণহীন বৃক্ষের ঠোঁট
কেটে লিখছে কবিতা
ছুরি দিয়ে এইসব কবিতা আমাদের অনুভ‚তি শব্দের
অতীত প্রাচীর
এখন ঘরের সব আসবাবপত্র-রান্নাঘরময়
শখের টয়লেট লজ্জিত কবিতা হয়ে উঠছে সর্বত্র
ধর্মযুদ্ধে আমার শানু বোরখা পরেন
যদিও সে জানতো সত্যযুদ্ধ আমার স্বরূপ গোপনে থাকে
আজ আমার বাবা-মা রাতদিন হয়ে যাচ্ছে সময়
আর অপ্রেমিকার কোলাহল চাঁদে ফাঁদে পড়ে যায়
এই নির্জনতা আমাদের তৃতীয় প্রজন্ম!
তাই আত্মজ খহরভাষা রেখে যায় বিবেকের প্রশ্নাতীত শব্দে—
ওগো বিজন খহরের প্রজাপতি, বায়ুরেখা কে রাখিবে গায়
রোদ্দুর পাহাড়ে
মেঘদূতের সারাবেলা— চোখের ঠোকাঠে দাঁড়িয়ে থাকে লীলাবতীমেঘ
এই আয়ুরোদে কামনার আঙুলে জমে ওঠুক ছলনাময়ীবৃষ্টির আত্মবিশ্বাস
বিস্তৃর্ণ মনের উঠোনে রবীন্দ্রসংগীত বেঁজে যায় জনমনের সন্ধ্যেবেলায়—
ওগো দূরগামী বেদনা— হৃদয়ের আকাশগঙ্গায় আমার সময় ভিজছে সন্ত্রাসে
আলতাপথে বসেথাকা অপার্থিবআলোকে তোমাকে পাবার ব্যাকরনি পোট্রেট!
আমার কার্তিকীশোকের স্মৃতিকথার ঠোঁটে ডিলান জেগে থাকে বিসংবাদী
নন্দনবৃষ্টি মগজের কারুরেখার পার্বণরাতে সেই রেখাগুচ্ছ ঘিরে
সহসাই রোদের অপাঠ্য অনন্ত বাতাসের ঘ্রাণে অকারণ পলাতক হয়ে যাই!
ছায়া ঝরে পাতার শব্দে
তবুও ছায়ার বয়স বেড়ে যায়-বয়সের অস্তিত্বে
শব্দ খসে ছায়ার দূরত্বে-আমি বৃক্ষকাতর প্রেমিক
বুকের শিবিরে আশ্রয় নিই
ওই মেয়ের শরীরে যত্ন-বিযত্নে রোপণ করি
ছায়াসুন্দর গোলাপ
রক্তের স্বাদমিশ্রিত নোনতাজলে বেড়ে ওঠে আমার
সমবয়সী ভালোবাসা
শাখা-প্রশাখায় আর ডালপালায় বুকের তাপ বেড়ে
যায় ভবিষ্যৎ প্রতীক্ষা ফুলের সম্ভাবনা
আমি সেই ফুলের ঘ্রাণ নিতে নিতে চলে যাই
ফুলের গ্রামে-শহরে
একদিন সুখ সুখ রাতভর গান শেষে বিষণ্ন আঁধারে
মেয়েটির ঠোঁটে রক্তগোলাপ ফোটে
ভ্রমর সাহসী আমি মধু হই হই লালফুলে বিষ
খেতে খেতে মধু খেতে খেতে
প্রতিদিন রক্তাক্ত হচ্ছি...
এক ভুলের আগুন
টেনে নিচ্ছি সকল শিহরণের বিভঙ্গতা- কান্নার জল
দুয়েকটা প্রশ্ন- আয়ুর রসাতল
প্রতিদিনের দূরে মিলিয়ে যাওয়া মায়া আর অঙ্কুরে লুকিয়ে থাকা
তোমার মেধার জখম যেন ঝলসানো পথে আগুনের স্মৃতি
কী এমন গরলের উল্টোপিঠে অমৃত থাকে বলো-
আজ পেছনে সরে যায় বেলা মিলিয়ে যায় চোখে জীবন আয়াতের রূপ
আমার তবে নিঃশ্বাস এখানে লেগে থাক আজন্মের কবিতাভ‚তে
আজ তবে ভালোবাসায় যে সিজদা তোমাতে-উষ্ণ রক্তালোকে তার
জলের সংবেদে সমস্ত আকাশ অনুকালের মুগ্ধতার ছায়ায় ছড়িয়ে পড়ে
এ তো আমাদের আয়ুর ওপর গেঁথে থাকা অতীত এক সুরা
যদি জানতাম- তবে এ বিষাদ কোনো কিংবা সমুদ্রে জমা দিতাম
যদি জানতাম- এ আয়ু কোনো গাছ কিংবা পাখির কাছে জমা দিতাম
আয়ুপ্রশ্নের উলুখড় শুকিয়ে যায় জন্ম-প্রজন্মপ্রবণতায় ঈশ্বরের পূর্ণব্রহ্মে!
মেঘদূতের সারাবেলা— চোখের ঠোকাঠে দাঁড়িয়ে থাকে লীলাবতীমেঘ
এই আয়ুরোদে কামনার আঙুলে জমে ওঠুক ছলনাময়ীবৃষ্টির আত্মবিশ্বাস
বিস্তৃর্ণ মনের উঠোনে রবীন্দ্রসংগীত বেঁজে যায় জনমনের সন্ধ্যেবেলায়—
ওগো দূরগামী বেদনা— হৃদয়ের আকাশগঙ্গায় আমার সময় ভিজছে সন্ত্রাসে
আলতাপথে বসেথাকা অপার্থিবআলোকে তোমাকে পাবার ব্যাকরনি পোট্রেট!
আমার কার্তিকীশোকের স্মৃতিকথার ঠোঁটে ডিলান জেগে থাকে বিসংবাদী
নন্দনবৃষ্টি মগজের কারুরেখার পার্বণরাতে সেই রেখাগুচ্ছ ঘিরে
সহসাই রোদের অপাঠ্য অনন্ত বাতাসের ঘ্রাণে অকারণ পলাতক হয়ে যাই!
ছায়া ঝরে পাতার শব্দে
তবুও ছায়ার বয়স বেড়ে যায়-বয়সের অস্তিত্বে
শব্দ খসে ছায়ার দূরত্বে-আমি বৃক্ষকাতর প্রেমিক
বুকের শিবিরে আশ্রয় নিই
ওই মেয়ের শরীরে যত্ন-বিযত্নে রোপণ করি
ছায়াসুন্দর গোলাপ
রক্তের স্বাদমিশ্রিত নোনতাজলে বেড়ে ওঠে আমার
সমবয়সী ভালোবাসা
শাখা-প্রশাখায় আর ডালপালায় বুকের তাপ বেড়ে
যায় ভবিষ্যৎ প্রতীক্ষা ফুলের সম্ভাবনা
আমি সেই ফুলের ঘ্রাণ নিতে নিতে চলে যাই
ফুলের গ্রামে-শহরে
একদিন সুখ সুখ রাতভর গান শেষে বিষণ্ন আঁধারে
মেয়েটির ঠোঁটে রক্তগোলাপ ফোটে
ভ্রমর সাহসী আমি মধু হই হই লালফুলে বিষ
খেতে খেতে মধু খেতে খেতে
প্রতিদিন রক্তাক্ত হচ্ছি...
অমিত চক্রবর্তীর কবিতা পড়ুন এখানে
বড় ও বিখ্যাত কবির কবিতা পড়ুন এখানে
জিয়াবুল ইবন এর কবিতা পড়ুন এখানে
কাজুও ইশিরোগুরের উপন্যাস বিশ্লেষন প্রবন্ধ পড়ুন এখানে
শূন্য ও আকাশের প্রতি পড়ুন এখানে
অনলাইন সাহিত্যের গুরুত্ব পর্যালোচনা পড়ুন এখানে
এমরান হাসানের কবি পড়ুন এখানে
পোয়াতি ধানের কবিতা পড়ুন এখানে
দুরুত্বের অদেখা প্রাচীর পড়ুন এখানে
শারদুল সজল এর কবিতা পড়ুন এখানে
নকিব মুকশি'র কবিতা পড়ুন এখানে
ভাবুক মাস্টারের পাথর পড়ুন এখানে
কবিতার বরপুত্র আসাদ চৌধুরি এখানে পড়ুন
বাস্তুহারা তারার ইশতেহার পড়ুন এখানে
সুশান্ত হালদারের কবিতা পড়ুন এখানে
টেনে নিচ্ছি সকল শিহরণের বিভঙ্গতা- কান্নার জল
দুয়েকটা প্রশ্ন- আয়ুর রসাতল
প্রতিদিনের দূরে মিলিয়ে যাওয়া মায়া আর অঙ্কুরে লুকিয়ে থাকা
তোমার মেধার জখম যেন ঝলসানো পথে আগুনের স্মৃতি
কী এমন গরলের উল্টোপিঠে অমৃত থাকে বলো-
আজ পেছনে সরে যায় বেলা মিলিয়ে যায় চোখে জীবন আয়াতের রূপ
আমার তবে নিঃশ্বাস এখানে লেগে থাক আজন্মের কবিতাভ‚তে
আজ তবে ভালোবাসায় যে সিজদা তোমাতে-উষ্ণ রক্তালোকে তার
জলের সংবেদে সমস্ত আকাশ অনুকালের মুগ্ধতার ছায়ায় ছড়িয়ে পড়ে
এ তো আমাদের আয়ুর ওপর গেঁথে থাকা অতীত এক সুরা
যদি জানতাম- তবে এ বিষাদ কোনো কিংবা সমুদ্রে জমা দিতাম
যদি জানতাম- এ আয়ু কোনো গাছ কিংবা পাখির কাছে জমা দিতাম
আয়ুপ্রশ্নের উলুখড় শুকিয়ে যায় জন্ম-প্রজন্মপ্রবণতায় ঈশ্বরের পূর্ণব্রহ্মে!
English article read here
english poem's here read
english article here
poem by timur khan here
article of law and literature : click here
nobel prizev:2025 on litterature here
poem by p.francis click here
ইনটেনসিভ ভাইব্রেশান
মুখে রক্ত বমি—
সামনে সমুদ্র শূন্যতা, ডানাগ্রস্থদেহে
পাখি প্রত্যয়ের দিনে টাইম ট্যুরে কে চাপছে অপারেটিং টপ!
আমরা তো গলায় ভিজছি—
এই ওয়াউড দুর্বিনিত ভাব এবং জ্বলে ওঠা অপেক্ষা
যেনো সমূহসকল আত্মহত্যা
বিজয়ের প্রতিযোগিতায় এক সশন্ত সংঘাত
জীবনের ওভারব্রিজে দাঁড়িয়ে চুমুর জাহাজ মাতৃজন্মদেহের
আলোয় নাৎসি বাতাসে উড়ে যাচ্ছে মগজের কারুকাজ নিয়ে
আমরা শোকের ভ্রণ থেকে জেগে শোষকবিশ্ব বর্ষারোদে পুড়ি
এই জয়-পরাজয় ভাবনার বদল থেকে সময়ের সাহসীচোখ
কিছু একটা বলতে চায়-পাখিমুদ্রণ ভাষায়!
চলো, পিপাসার্ত রোদে পুড়ে আকাশে বাতাসে বুদ্ধি ট্যাগ করি!
দুর্বাশা দুর্বার
তাহলে একটা বালিঘর তৈরি করা যাক—
কিছু আশ্চর্য মেঘের আলো দিয়ে জানালা
দুটো চোখ আমাকে নিয়ে যাচ্ছে বাতাসে
আমার ছুটন্ত আঙুল খুলে তোমার দৃষ্টি—
এই ছায়ার বালিঘর থেকে উড়ে আসে বৃষ্টি
এই মনের পালকে লেখা শব্দখুড়ে প্রাণ
ঘরের অন্তর নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আকাশে
আর মেঘের গায়ে ঝুলে আছে পূর্ণিমাদান
পুড়ে যাচ্ছে ছায়া- জীবনের অতীত রোদ—
হয়তো এ দেশে বাঙালি না হয়ে জন্মালে
অনতিগম্য চিন্তার বৃত্তানুপ্রাস শেখা হতো না!
ভবিষ্যত তন্ময় বৃষ্টি পরস্পরা
আকাশ থেকে নামছে বৃষ্টি উৎসে এবং সমার্থক বিন্দুতে
শহরে সংস্কৃতি উড়ছে ব্রাত্যসৃজনের শ্রেণিমনস্কতা নিয়ে
তবুও দৃশ্যে ঢুকে পড়া অজস্র স্মৃতির জল ঘরোয়া পেনটিংয়ে
ঐক্য ও পার্থক্য করছে বর্ষা রমণীকে—
কাকে চিনবে তুমি,
কাকে দেখবে তুমি—
আজ সব সুন্দরিরা হৃদয় পুড়ছে দুপুরে
মিলনের মন্ত্র মৌমাছি তুমিই সেই বাকবিতান!
সূর্য ঢাকছে তার লজ্জা উড়ন্ত শাসন হয়ে
আহা! প্রেম
প্রাণ!
স্বপ্নের মহাভাষ্য!
দল বেঁধে ঘিরে ফেলছে জালশব্দের দৈনিক রসদপূর্ণ সমীকরণ
জানি- এই পুরাতন সকালবিকেল ব্যাকুলতায় অবিশ্বাসসমূহ
ভবিষ্যত করিয়া তুলিবে এমনতর বৃষ্টি পর¯পরা তন্ময়!
রক্তাক্ত শাদামেঘ উড়ে যাচ্ছে
আজ প্রত্যকটি কবিতার শরীরে রক্ত— শব্দে কী পক্সিক্ততে
লেগে আছে উন্মদনার লাল, বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস
অরণ্যের নিদ্রা ভেঙে শাদা মেঘে উড়ে যাওয়া রক্তাক্ত পাখি
পালক ছিঁড়ে পড়ে অদৃশ্যের অলৌকিক ভাগ্যরেখায় ফ্যাসিবাদের
পতন জনতার জাগরণে পাখিবিদ্রোহের তুমুল ক্ষোভে—
গোধূলিধাঁধানো জীবনের বিপরীত সময় পুড়ে যায়—
কী লিখবো এই কবিতায়-সাঈদের বুক, মুগ্ধের হৃদয়তাড়িত
জলন্ত কবিতা তাবাসুমের স্বপ্নময় আগামি—
এখন আমার প্রতিটি বর্ণের আতনাদের ধ্বনি নিয়ে উড়ে যাচ্ছে
জানি-আজ বিপ্লবের শাদামেঘ গুলিবিদ্ধ, গানের প্রিয়পাখি গুলিবিদ্ধ
কী লিখবো এই কবিতায়— অনন্তাতা চোখে সুখ মলিন হয়
মেঘের শাদা পালক ছিঁড়ে উড়ে যাচ্ছে স্বাধীনতার আলো
কী নিশঙ্ক ভোর-সকাল-দিন-রাত্রির মতবাদের লোকালয়!
স্বপ্নের আবাসিক এলাকায় লুণ্ঠিত বাতাসের কাঁপন—
বুকের ভ‚গোলে আগুন কী দিয়ে লিখবো কবিতা
এই প্রপঞ্চ মায়াসমূহ নিয়ে! সাঈদের বুকে বাংলাদেশ
মুগ্ধের বুকে বাংলাদেশ-তাবাসুমের হাতে ও কব্জিতে রক্তসময়!
কী লিখবো আমার এই কবিতায় স্মৃতির উর্বর কালিতে-
কবিতাপ্রকল্প প্রাইভেট লিমিটেড
একটা পুরাতন নগরীর ছাদে আকাশ উড়ে যাচ্ছে গ্রামে
এদিকে ট্রাম্পের রাগি রগের শব্দ শাসন ভারি রবার
স্ট্যাম্পের থরথর ঈশ্বর ছাদে একা
ঘুমের ভেতর চিনি মিশিয়ে নির্ণয়াতীত—
তরুণ গোলাপ প্রকল্পে নক্ষত্রচাষ করে—
একটা প্রাচীন বিকেল জুলাইয়ের বলিরেখায় লোলচর্মে অঝরে বৃষ্টি নামাচ্ছে
জানি-ময়ূরের পাখা বাতাস করে প্রাণহীন বৃক্ষের ঠোঁট
কেটে লিখছে কবিতা
ছুরি দিয়ে এইসব কবিতা আমাদের অনুভ‚তি শব্দের
অতীত প্রাচীর
এখন ঘরের সব আসবাবপত্র-রান্নাঘরময়
শখের টয়লেট লজ্জিত কবিতা হয়ে উঠছে সর্বত্র

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks