কতিপয় স্বপ্নের চোখ।। বঙ্গ রাখাল।। poems by bango rakhal.kuasha

দীর্ঘ কবিতা--

বঙ্গ রাখাল।। কবি।। কবিতা



        কতিপয় স্বপ্নের চোখ
        বঙ্গ রাখাল

তোমাকে খুঁজতে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলি বারে বার
সংগ্রামী পিতা শিখিয়েছে সে কথা...
পৃথিবীতে এখনো হত্যাযজ্ঞ হয়
মানুষ মরে—
পড়ে থাকে মানুষেরই ল্যাপ্টে যাওয়া দেহ
একথা সবার জানা
জানলেও সবে চুপ থাকি
দেখে যাওয়া ভাল
বললে দোষ

একদিন তীব্র জ্বরে আমিও কেঁদে জারে জার
দূর বারান্দায় চিৎকার করছে; সাথে দৌড়-ঝাপ
সবে পালিয়ে আসা সাদা-কালো রঙ মেখে বড় হওয়া বিড়াল
যাকে মা মিনু বলে ডাকে।
পড়শি বলতে মাধুবী আমার কয়েকদিনের চেনা
নতুন বাসা—সন্ধ্যা নামতেই খিল এটে দেই
যদি কেউ মুখ দেখে ফেলে কিংবা কেউ চিনতে পারে আমায়
কবিতা লেখি বলে—
অসভ্য-নাস্তিক আর মিথ্যাবাদী বলে—
তেড়ে আসবে মারতে—সৃষ্টি করবে মব
প্রগতির কী দাম আছে?
ইলাদি আমাদের সংগ্রাম শিখিয়ে গেলেন
আদায় করে নিতে বললেন ন্যায্য হিস্যা...
তবুও আমরা কী পেরেছি?
ন্যায্যতার দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়াতে
মিথ্যা আর ভণ্ডামীর ইতিহাস লিখে
ভরিয়ে চলেছি মিথ্যাবাদীর দলিল
দু’চোখ থেমে গেছে তোমাদের দেখে
তোমাদের চোখ এক সময় জ্বলজ্বল করত

হিরে খণ্ডের ন্যায় যেমনটি আমরা দেখেছি—সূর্যসেন।
অপূর্ণতার গোমড়ানী মুখে রেখে—চলেছি নদীর দিকে
যেদিকে সাঁতরে আসেন ইলা মিত্র সাথে কয়েকজন কমরেড।
জসীমমন্ডলও নাকি মেলেছে সেই স্মৃতি—
কারাগারের দেওয়ালে লেখা আছে—কালো কালো ইতিহাস
গুলিবিদ্ধ সঙ্গীর শরীর—পাশে পড়ে আছে আরেক সংগ্রামী
কত বুক খালী হল—গুমরে গেল স্ত্রীর মন
কোন কিছুই পাবার নয়—তবু স্বপ্ন চোখে
পথেরও কী শেষ আছে
প্রশ্ন ভাসে মনে—

এই দুঃখের কপচানো মনেও একদিন আশা ছিল
উঠে দাঁড়াবে তুমি—বদলে দেবে আমারই স্বদেশ
মৃত্যুকে সঙ্গী করে—আমিও দাঁড়াতে পারতাম তোমার পাশে
কিন্তু এই আমি সেই সংগ্রামী-প্রতিবাদী নয়
আমি এখন সম্পূর্ণ আমি নয়
এখন আমি আপোষ করে চলি—

নিজেকেসহ পরিবারকে বাঁচাতে; যারপরনাই চেষ্টা...
নীরবতা আমার মধ্যে ছিল না—ছিল উচ্ছ্বল
পাখির মত উড়তে উড়তে হারিয়ে ফেলেছি
ফিরে আসার পথ—দিগন্তহীন পথভ্রষ্ট নাবিক
আবার সীমান্তে ফিরেছি কুয়াশা কেটে কেটে—হয়ে আছি নিশ্চুপ;
হুইলে বসে—

দুরুত্বের অদেখা প্রাচীর পড়ুন এখানে
শারদুল সজল এর কবিতা পড়ুন এখানে
নকিব মুকশি'র কবিতা পড়ুন এখানে
ভাবুক মাস্টারের পাথর পড়ুন এখানে
কবিতার বরপুত্র আসাদ চৌধুরি এখানে পড়ুন
english article here
poem by timur khan here
বাস্তুহারা তারার ইশতেহার পড়ুন এখানে
সুশান্ত হালদারের কবিতা পড়ুন এখানে
মায়াপথিক এখানে
নয়ন আহমেদ এর কবিতা এখানে 
article of law and literature : click here
লতিফ জোয়ার্দারের কবিতা পড়ুন এখানে
nobel prizev:2025 on litterature here


গভীর দুঃখে নিজের অভিমুখে ছেড়ে চলি ইতিহাসের দীর্ঘতম নিঃশ্বাস।
নিজের গ্রাম— প্রাইমারী ইশকুলের মাস্টার মশাই
মুখ গোমড়া করে চোখে রাখা পাওয়ারফুল গ্লাসে
উঁকি মেরে দেখে নেওয়া কতিপয় বিপ্লবীর স্বপ্নময় চোখ
যে চোখে মা-মাটি আর জন্মভূমিকে রক্ষায়
বুকে চেপে রাখে শাসকের সব অভিঘাত। 

Post a Comment

Thanks

নবীনতর পূর্বতন