পশুপাখির ডাক
গরু ডাকে 'হাম্বা-হাম্বা'
ছাগল ডাকে 'ম্যা'
মোরগ ডাকে 'কুক্কুরুকু'
ভ্যারাও ডাকে 'ভ্যা' !
কোকিল ডাকে 'কুহু-কুহু'
পায়রা 'বাকুম-বাক'
শালিক ডাকে 'কিচিরমিচির'-
'কা-কা' ডাকে কাক !
শেয়াল ডাকে 'হুক্কাহুয়া'
বিড়াল ডাকে 'মিঁউ'
ব্যাঙও ডাকে 'গ্যাঙর-গ্যাঙর'
টুনটুনি 'পিঁউ' 'পিঁউ'
খুকির ঈদ
'ঈদ মোবারক' কলতানে
ঈদের খুশি লাগলো প্রাণে
কী যে,
আজকে খুকি পণ করেছে
রাঁধবে সেমাই নিজে !
সেমাই রেঁধে ঘুরতে যাবে
নাগরদোলায় উড়তে যাবে
হি হি,
সঙ্গে যাবে বান্ধবীরাও
টিনা, মীনা, মিহি !
ঘোরা শেষে আসবে ফিরে
বান্ধবীরাও তাদের নীড়ে
ছুটবে,
স্বজনদেরও সাথে সবাই
ঈদের মজা লুটবে !
খোকা গেলো কই?
আজ রেঁধেছি মাংশ ভুনা
সঙ্গে আছে রুই,
ডাকছি তোরে, খোকা আমার-
কই পালালি তুই?
সেই সকালে বের হয়েছিস
এখন কোথায়? বল,
জানিস খোকা? সকাল থেকে-
খাইনি কোনো জল !
রাগ করে না লক্ষ্মী আমার
জলদি বাড়ি ফেরো,
নইলে যে মা যাবে চলে
পাবে না'কো টেরও !
ঘোড়ার ডিমের খোঁজে
আজকে খোকা বের হয়েছে ঘোড়ার ডিমের খোঁজে,
ঘোড়ার তো ডিম পাড়তে মানা, জানতো না তা' ও যে !
বের হয়েছে যখন খোকা, আনবে সে ডিম নিয়ে,
ভয় ঠিকই পায়— আটকে নি যায়, ডিমটা আনতে গিয়ে !
সাহস করে ভাসায় দিলো নদীর মাঝে ভেলা,
পাচ্ছে না তো, যাচ্ছে ঠিকই — খুব দ্রুত'ই বেলা ।
নদীর কূলে দেখলো খোকা- বিরাট গোল এক কী যে,
সেই দেখাতেই মারলো সে ঝাঁপ, তাই যে গেলো ভিজে !
যাচ্ছে খোকা নদীর তীরে জোরসে সাঁতার কেটে,
হঠাৎ সে হায় পড়লো ঢুকে বিরাট মাছের পেটে !
বের হলো সে নখের ধারে মাছের উদর ছিঁড়ে,
অবশেষে উঠলো খোকা সেই নদীটার তীরে !
গোল সেগুলো কী হবে? হায়, সেটাই খোকা ভাবছে,
ভেবে-ভেবে ভয়টি পেয়ে থরথরিয়ে কাঁপছে !
একটু কাছে গিয়ে খোকা বলছে 'এটাই ডিমটি'
তাই সে হঠাৎ মারলো জোরে নিজ শরীরে চিমটি !
ধরতে গিয়ে বুঝলো খোকা এটা তো এক পাথর,
ডিম না পেয়ে হলো শেষে হতাশাতেই কাতর ।
ছিলো এখন নেই
ওইখানে এক সাঁকো ছিলো
অনেকরকম ঝাঁকও ছিলো
পাখি এবং হাঁসেদের,
একটি কুঁড়েঘরও ছিলো
আমার বন্ধু রাশেদের ।
ঘরের পাশে পুকুর ছিলো
ছোট্ট একটি কুকুর ছিলো
ওইখানে,
কুকুরটিকে বলতো রাশেদ
'দই খা নে' ।
এখন তো আর কুকুরও নেই
ঘরের পাশে পুকুরও নেই
বিল্ডিংয়ে-
ইয়া বড় দালান হলো
ঝিল ডিঙে !
বন্ধুটি-ও 'সাহেব' হয়ে
মাঝে-মাঝে গায়েব হয়ে
গ্রাম ছাড়ে,
অনেক টাকা বখশিশও দেয়
চামচারে !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন