বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৭
সম্পাদকীয়ঃ আগষ্ট সংখ্যা।২০১৭ইং।
সম্পাদকীয়ঃ আগষ্ট সংখ্যা।২০১৭ইং।
প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি অনলাইন এবং আকাশ সংস্কৃতিতে ব্যাপক বিবর্তন দেখে পুলকিত না হয়ে পারা যায়না।মানুষ যেমনে সামনের দিকে ছুটছে তাতে আকাশ সংস্কৃতি সত্যি সত্যি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।জগতজুড়ে যা ঘটছে তা তাৎক্ষনিক তথ্য সরবরাহ করতে এই অনলাইন পদ্ধতিই পেরেছে মানুষের একেবারে হাতের নাগালে পৌঁছাতে।প্রিন্ট মিডিয়া পাড়ায় যখন রাত বারোটা এতক্ষনে অনলাইনগুলো অনেক কিছুই প্রচার করে ফেলেছে। মানুষকে জানান দিয়ে ফেলেছে। তবে এর ঝুঁকিও আছে যা প্রিন্টের ক্ষেত্রে জিরো।যে কোন সময় অনলাইন হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে,বা চুরি হওয়ার ভয় থেকে যায়।যা প্রিন্ট সংস্করনে মোটেও নেই।আবার টেকসই চিন্তা থেকেও প্রিন্ট সংস্করন নির্ঝঞ্জাট। অনলাইনে তা নেই।হারিয়ে যাবার ভয় থাকে। যদিচ ফিরে পাওয়ার উপায় আছে তবু হাওয়ায় ভাসা তথ্য বলে কথা। এভাবে অনেক সফ্টওয়্যার,ওয়েবসাইট, ব্লগ হারিয়ে যাবার দৃষ্টান্ত আছে। এক্ষেত্রে ছাপা কাগজ অটল।তবে পুঁজি বিনিয়োগ, মার্কেট প্লেস তৈরী,সব মিলে প্রিন্ট সংস্করন অনেকটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
"কুয়াশা ওয়েবজিন,, প্রিন্ট সংস্করন না হলেও এর গুরুত্ব কম নয়। বরাবর সব কটি সংখ্যা প্রশংসার দ্বারে পৌঁছোছে।সকলের প্রশংসায় ভূষিত।নবীণ - প্রবীণের সম্মেলন ঘটানোয় কুয়াশা,র প্রধান উদ্দেশ্য।এখানে যারা লিখিয়ে,
যারা নিয়মিত লেখা দিয়ে সহযোগীতা করছেন তাদের মননেও সরল দাগ কেটেছে।
সকলের প্রতি শ্রোদ্ধা রইলো।
সূচীপত্রঃ আগষ্ট সংখ্যা। ২০১৭ইং।
বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭
স্বাক্ষাতকারঃকবি সুনীতি দেবনাথ
সভ্যতা ও শান্তির সংকট : শিল্পী-সাহিত্যিকদের ভূমিকা- আবুল কাইয়ুম
নোলক- আল মাহমুদ
একটি প্রার্থনা - মহাদেব সাহা
শেষ কথা -আহমেদ মুনীর
খেলারাম খেলে যা - সৈয়দ রনো
মৃত্যু পায়ে পায়ে হাঁটে - মতিন বৈরাগী
মৃত্যু পায়ে পায়ে হাঁটে
হঠাৎ ঘুম এসে গেলে জাগবো না এই সত্য আমার;
চৈতন্য ঘুমিয়ে গেলে পড়ে থাকবে স্তব্ধতার ভাষা অন্য সম্ভবনা
মুছে যাওয়া বোধ উল্কায় উল্কায় রঙ হারালে
সমভূমি তৃষ্ণায় রূপ নেবে অমর অজর অক্ষর স্মৃতির লতাপাতা
মুছে যাবে
বিনাশী এই ঘুম মানুষের অঙ্গের মগজের হাড়ের ও রক্তের
যার যার তার তার নেয় না কেউ কাঁধে আর
অথবা করে না বিনিময়
কেউ যায় না সেই ঘুমের অন্দরে, যেখানে পড়ে আছে সে
পড়ে থাকবে কোনো নিরাপদ গুহায় অথবা প্রজ্জলনে
মিলাবে আকাশগঙ্গা অদৃশ্য হাওয়ায়-
এই ঘুম আসে মানুষের প্রাণের বিস্তারে একার নিভৃতি
যেনো একটা ঢিলের বিস্তার জলে কেঁপে কেঁপে নেমে গেলো আরেক দিগন্তে
বিশাল বিস্তৃত জলধি গ্রাস করে নিলো সবটুকু শুষে
সেই ঘুম নামলে চোখে ঘুমিয়ে যায় কাকাতুয়া ঘুমের আঁধারে
যার যার তার তার এক নিয়ম নিরন্তর মহাশূন্যের
অথবা নিয়ম করে নেয় কেউ নিজের নিয়মে
কেউ আর আসে না অচঞ্চল মেঘের সীমায়
মৃত্যুই আসে; ফেলে যেতে পারে না বলে তারে
নিজের সৃষ্টির বিপরীত বিহারে
জন্ম থেকে মৃত্যু পায়ে পায়ে হাঁটে।
চাকমা - ইন্দ্রনীল ব্যানার্জী
চাকমা
চাকমাদের চিতার নিভু আঁচে
রক্ত মাখা নতুন পৃথিবীতে
সোনার বাংলার জননীর জঠরে
আলোর স্তুপ পেরিয়ে
উড়িয়ে দিয়েছ তোমাদের বিজয় ধ্বজ I
এযাবত সব ধংসের ইতিহাস থেকে জেনেছি
ধংসের প্রাক মুহূর্ত ঠিক এমনই হয়
যেখানে মানুষের অন্তর্বাসের উষ্ণতা বেড়ে যায় ,
বেড়ে যায় বৃষ্টির নাভির গভীরতা I
যেখান থেকে উঠে আসে
ঘুর্নিঝড়ের যাবতীয় উপাদান I
আগামী পুজো সংখ্যায়
ঢাকাই জামদানী পরে ফুল ছড়িয়ে দিও
পাহাড়ের গায়ে ঝরনার অঙ্গ-সুবাসে I
আর নথ পরিয়ে সভ্যতার রাজ্যাভিষেক কোর
মমিদের শহরে ...
সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি - যুগান্তর মিত্র
সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি
ভুল অনুবাদ ছড়িয়ে পড়ছে
তোমার গলি থেকে রাজপথে …
ধোঁয়া আর ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে সেতু।
তুমি চশমা খুলে রাখো।
আলো মাখা কলমে লেখো বৃষ্টির গান।
যেভাবে বরাবর সুর ছড়িয়ে পড়ে
নিকোনো উঠোনে,
যেভাবে জ্যোত্স্না এসে লুটোপুটি খায়
ঝুলবারান্দার কার্নিশে,
সেভাবেই তুমি এসো
তুলোবীজের মতো ছড়িয়ে পড়ছে
সন্ত্রাস সন্ত্রাস !
এসো পাগল হাওয়া,
উড়িয়ে দাও যাবতীয় রেণু-সংহার,
আমরা এখন এক্কাদোক্কা খেলব,
গোল্লাছুট খেলব
রাজারানীর উঠোনে।
ওরা বসে থাকুক নিজস্ব আসনে।
আমাদের হাসি গান থেকে শিখে নিক
বেঁচে থাকার নিজস্ব নিয়ম।
ভোঁতা অস্ত্র জমা হোক জঞ্জালের স্তূপে।
দহন - অমরেশ দেবনাথ
দহন
আমি কতটা আর হয়েছি পুরনো, তোমারে চিনেছি নতুনে নতুনে,
আমি হারাই চেনা পথ, পথ হারানোর মাদকতায় নিজেরে ভাসিয়ে,
ভোরের কিরণে কুড়েছি কুসুম, মনেতে ছিল প্রতিদানের দুন্দুভি,
তাই হলনা দেওয়া সেই যে ফুল সকল দানে, নিয়মে দিয়েছি অঞ্জলি,
হয়ত তোমার প্রেমের শীতল ধারায় ভিজেনি হৃদয়, ছিটলনা মঞ্জুরি,
তবু উড়ে প্রাণের পাখি, লাগে হাওয়া দখিন হতে ভেসে; উড়ে হে উত্তরী।
আমি কতটা আর পেরেছি দিতে তোমার চরণে সকল দানে, নিবিড় সমর্পণে,
জীবনধরে ছিলেম কৃপণ পূজার থালের আয়োজনে, শুধুই বিষয় সঞ্চয়ে,
তবু যখন খুলেছে চোখ, দেখি একি সবই শূন্য, নিয়েছে বিদায় শশী,
গহন আঁধারের ভীষন ঝড়ে উঠল কেঁপে হৃদয় আমার, রিক্ত কেতকী,
শূন্য ডালে পাইনি খুঁজে একটিও ফুল, ফুটে আছে আমারই পথ চেয়ে,
আমারই পাপের দাবানলে, পুড়েছে যত সবুজ শাঁখ অসীম বেদনাপ্রবাহে,
কোথায় আর ঝরেছে শ্রাবণ, প্রেমের বাদলে নিবিড় ছন্দে গুনগুনিয়ে,
তাই নিয়েছে সবুজ বিদায় আমার গানেতে বিরহ দিয়ে মৃত লিপিতে,
তুমি দেবে প্রাণ প্রেমস্পর্শে হারানো বাগানের মৃত ডালে নতুন জীবনে,
তাইতো আসি ঘুরে, বারেবার ফিরে ফিরে একই ভাবের ছন্দ বহে নিয়ে,
যখন তোমার প্রেমের সুধায় হবে গান পূর্ণ আমার, সকল গরল পানে,
সে বিষেরেই অমৃত গুনে হব প্রেমিক নীরব দাহে চোখের জলেতে।
স্বপ্ন ও শেষ অধ্যায় - তৈমুর মল্লিক
রবীন্দ্রানুরাগী চোর - সিকদার আবুল বাসার
রবীন্দ্রানুরাগী চোর
-আদালতে পুলিশ: মহামান্য আদালত, এই কাপড়ের পুঁটলিতে কিছু কাপড় চোপড়, থালা বাসন ও জুতো সমেত কাঁধে করে ধানমন্ডির একটা বাড়ীর পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর সময় গ্রেফতার করেছি।
-বিচারক: "তুমি চুরি করেছো?"
-চোর: "না হুজুর, আমি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ। পালন করেছি শুধু।"
-বিচারক: "তার মানে?"
-চোর: মাঝরাতে কানে ভেসে এলো কবিগুরু বলছেন, "আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে।" তাই জোৎস্না রাতে বের হলাম। শুনতে পেলাম, "এসো এসো আমার ঘরে এসো আমার ঘরে।" দেখলাম বাড়ীটি খালি-আমন্ত্রনে সোজা ঢুকে পড়লাম। ঢুকেই শুনতে পেলাম- "ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে" খুব খুশি হলাম, আর তখনই কানে ভেসে এলো- "এবার উজাড় করে লও হে আমার যা কিছু সম্বল"- কি আর করি, কবিগুরুর নির্দেশ তো আর অমান্য করা উচিত হবে না- এতে সব মালপত্র বেঁধেছি সঙ্গে সঙ্গে কানে ভেসে এলো- "আজ দখিন দুয়ার খোলা"-বুঝলাম পেছনের দরজা খোলা- সেখান দিয়েই বেড়িয়ে পড়লাম-
সঙ্গে সঙ্গে এই মূর্খ পুলিশটা এসে আমায় ধরলো। ওকে কত বোঝাবার চেস্টা করলাম আমি চুরি করিনি শুধু রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ পালন করেছি তো ব্যাটা বোধ হয় রবীন্দ্রনাথের নামই শোনেনি। সোজা ধরে নিয়ে গেল।আজ আপনার কাছে নিয়ে এসেছে। আপনিই বলুন হুজুর- "আমার কি দোষ।"
-বিচারক: "ঠিক আছে; তোমাকে ছয় মাসের সাজা দিলাম। এই বিষয়ে তোমার রবীন্দ্রনাথ কিছু বলেছেন"।
-চোর: "এ পথে আমি যে গেছি বারেবার, ভুলিনিতো একদিন ও..........."
-বিচারক: "জেলে যখন থাকবে, তখন তোমার রবীন্দ্রনাথ কি বলবেন?"
-চোর: "ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে?"
মহা পন্ডিতের পন্ডিতিজ্ঞান - এস পি শাহীন
মহা পন্ডিতের পন্ডিতিজ্ঞান
( না হাসিলে দাঁত বের করবেন না)
হাসুর মা'র চোখ ইয়া বড়ো বড়ো হয়ে একবার উপরে আরেকবার নিচে নামছে,।দু'হাতে চেপে আছে গরম কড়াই,সবেমাত্র রান্না করে চুলোয় থেকে নামিয়ে আনা। মুখে আশ্চর্য্য আর ভয়ংকর হতাশের চিহ্ন।তাকে দেখে মনে হচ্ছিলো কাউকে যেনো তার সামনে অন্য কেউ কুপিয়ে মারছে।আসলে কি মারছে? না,কেউ কাউকে মারেনি।তার স্বামী ঘর থেকে নামতে গিয়ে পিচলা খেয়ে পড়েগেছে ইয়া বড়ো এক কলাগাছের মতো আশপাশ মাটি কাঁপিয়ে পড়ে গড়াগড়ি করছে আর উঠতে পারছেনা। তারপড়ে যাবার কারণ হলো নিজের পন্ডিতি জ্ঞান জাহির --
হাসুর মা রান্না করে কড়াই চুলো থেকে নামিয়ে আসার সময় বাপবেটাকে বলে আসলো--
-- এই রান্না হয়েগেছে তোরা খেতে আয়,,বলে রান্না ঘর থেকে নামার সময় পড়েগেছে।পড়াটা স্বাভাবিক কারণ রান্নাঘর উঁচু, বৃষ্টি বাদলের দিন।পিচ্চিল হতেই পারে ঘরের ফিঁড়া (দরজার সামনের জায়গা)।তাছাড়া উঁচু ঘরের সাথে নিচু উঠোনের সমতাল রাখার জন্য কিছু মাটি হেলানো ফিঁড়ার মুখে রান্নাঘরের উঁচু ভিটার সাথে।হাসুর মা যেই পা রাখলো ফিঁড়ার মুখে ,পা পিচলিয়ে ছেল ছেল করে এক্কেবারে নিচে উঠোনে পড়লো, তার হাতের গরম কড়াইটা আবার শরীরের তাল রাখতে গিয়ে পাশের সাইটে ধপ করে ছেড়ে দিলো। পড়ার শব্দ পেয়ে বাপবেটা সাপলডু খেলার "ল ছক্কা,,ল কানা " তাল ছেড়ে দরজার সামনে দৌড়ে দাঁড়ালো আর দেখলো কড়াইয়ের তরকারির জুল এপাশওপাশ কিছুটা পড়ে আছে। হাসুর মা পড়ে গিয়ে হাসতে হাসতে গা'য়ের কাদামাটি ঝাড়তে ঝাড়তে কড়াই নিয়ে দাঁড়াতেও পারলোনা,তার স্বামির জ্ঞানবাণী ঝরতে শুরু করলো---
--- তোর মতো বেক্কলেরা তো এমনেই পড়ে।হাঁটার কোন তাল নেই,,ফাগাইয়া ছিগাইয়া উপরের দিকে হা কইরা হাঁটলে তো এমনই অইব,,এমনেই পড়ন লাগবো।
--- হ,আমার পড়ার মধ্যেও তোমার উকিলি যুক্তি দেখাও।
-- এই বেত্তমিজ,,এইডা উকিলি যুক্তি অইলো? উচিৎ কথা কইলেই গা জ্বালা ধরে? তাল রাইখা নামতে পারলেনা?ঐ হাসুয়া--- তোর মা'ডা আসলে বেচোদা, হের লাইগা আইজ আমার এমন দশা ।
---- ""হিহিহি--
ও বাবা বেচোদা কি?
বাবা পোলার জবাব দেবে কি?
নিরব রয়ে যায়,
নিজের মতে নিজের বুলি
নিজে আওড়ায়,
তোড়া(কম) বুদ্ধিতে খোঁড়া যুক্তি
আবার দাঁড় করায়--
তেলে জলে গুলে
আবার বউরে বলে---
নামাতে পারলেনা এমনে -----?
আমি চলি যেমনে?
আগে না দেখলে,এখন চাইয়া দেখ
না শিইখা থাকলে একটু শেখ---"
বলে তিনি নিজে তার শরীরটাকে একটা মুডে নিয়ে দাঁড় করালো ।ডানের বাহু বাম দিকে বামের বাহু ডান দিকে নিয়ে পাছাটাকে হেলিয়ে দুলিয়ে কিভাবে মুড নিয়ে হাঁটতে হয় তা নিজেই দেখানোর জন্য রান্নাঘর থেকে নামছিলো।কিন্তু যেই পা রাখলো আর হরুৎ আওয়াজে ধপাস করে হাতি পড়ার শব্দ হলো। এমন পড়া পড়লো আর উঠতে পারছিলোনা,দু'মিনিট ধরে গড়াগড়িই করলো এপাশ ওপাশ আর হাসুর মা'র চোখ পুকুরের মতো বড়ো হয়েগেলো।কোনমতে উঠে বলল--
-- এই জাগা এতো পিচলা কে জানতো-? পড়ছি তো তোর কথা ভাবতে গিয়ে, নইলে পড়তাম?
ছেলে যে দাঁড়ানো ছিলো সে বলল---
ও বাবা, তুমি মাইনসের দোষ খুঁজো, নিজের দোষটা দেখনা। তোমার মতো কেউ স্টাইল করে নামে?দেখো আমার মতো নামলে তোমরা কেউ পড়তে না।বলে ছেলে বাপকা বেটা হতে গেছিলো,,কিন্তু সেও পড়লো এমন করে ?একপা এদেশে আরেক পা ওদেশে চিৎ হয়ে পড়েগিয়ে গড়াতে গড়াতে দশহাত দূরেগিয়ে উঠে দাঁড়াতে হলো।বাপে ছেলের পড়া দেখে মা'য়ের দিকে তাকিয়ে বলে --
--- সব এই তোর মা'র দোষ।এইডা একটা অলক্ষ্মী।
"" হাসুর মা হাসুরে ডেকে কয়
বেশি জানলে এমনি হয়
এই হাসু বাবা , তোর বাপেরে শোধা
আমার বাপে না হয় একটু জানে কম
তাই আমি হইছি এমন
তোর বাপে তো বেশি জানে
তবে এমন কেন তোর ধরণ--?"
ছেলে মুখ বাঁকিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে
এ্য-- মা-,আমি আবার কি করলাম?
বাবা সব দেখে, মেজাজ আরো গেলো চড়কে
ধমকে বলে --"আমার সব ঠিক ছিলো,
তোর বেচোদাতে আমার ছেলে এমন হলো"
--- শোন,পরের দোষ দেখিও না,, নিজের তরকারিতে লবন দেও।
--- হ দেমুনে,,তোর হাতের তরকারি আমার উপর ঢেলে দে, ,আর আমি কই আমার দোষে আমার এই দশা।
কথা গুলো যখন বলছিলো পন্ডিতের মতো হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে,,তখন হাতের বাড়িখেয়ে হাসুর মা'র কড়াই হাত থেকে ছুটেগিয়ে এক্কেবারে মাথার উপরে উপুর হয়ে সবটা গরম তরকারি পন্ডিতের মাথা ,শরীরে।
হাসুর বাবা ,ওরে বাবারে ওরে মারে বলে নাচতে নাচতে বলল--
--- কইতে না কইতে তুই ঢেলে দিলে? অত্তো বেক্কল তুই? আইজ বুঝলাম।
মূর্খ পন্ডিতের কত্তো জ্বালা
তাদের গজায় শাখায় শখায়
জ্ঞানের শত ডালপালা
জ্যোৎস্নার মৌনতায় - তানজিলা ইয়াসমিন
সিরিজ কবিতা - দেবজ্যোতি কাজল
সিরিজ কবিতা
খটকা
আমি যখন কবিতা লিখতে বসি
অনুভব করি আমার ভিতরে
কিছু একটা ঘটতে ।
আমি তখন নিজেকে বুঝে উঠতে পাবি না
আমার চামড়ার নিচে কে আগুন হয়ে জ্বলে
হঠাৎ-
একটা কবিতা এসে দাঁড়ায়
আমি ভয়ে কুঁকড়ে উঠি মনে
আমি তখন বুঝতে পারি
লেখার টেবিলে আমি মিসিং
তাই আমার একা বোধ গুলো
খুঁজে পায় বিস্তার অবিস্তারে ।
কিন্তু এবার ভেবেছি আমি-
অনেকটা পথ এগোব , অনেকটা
মিত্রাক্ষর কবিতার হাত ধরে হাঁটব
বহু দূর অবধি , বহু অজানা দূর ।
সকল
সব যে থেমে যাবে , ভেঙ্গে-ভাঙ্গা হবে
আলগা হয়ে সব একদিন হারিয়ে যাবে ।
তখন ,আমি তোমার শ্বাস নিব , দুঃখ নিব
কিন্তু তোমার মৃত দেহ নিতে পারব না ।
চলি
আমি তোমাকে বিদায় বলতে পারি নি
শ্রেষ্ট সময়েও বলতে পারি নি চলি ।
তোমাকে এখনি বলতে হবে বিদায়
আমি দ্বিতীয়বার বিদায় নিতে পারব না ।