নেতার স্বগতোক্তি
চলন্ত গাড়ীখানা হঠাৎ থামিয়ে নিলাম।
কয়েক পা হেঁটে এগিয়ে একদল চাষাভূষার কাছে গিয়ে পাতলাম তারপর হাত,
বিড়ি নিলাম হাতে-
চাষাভূষার মুখে খাওয়া ক্ষয় করা বিড়ি,
আমি টেনে টেনে ক্ষয় করি লাগিয়ে আমার মুখে,
বুঝাতে সক্ষম হই নিজেকে এক হিতৈষী স্বজন;
বুঝিয়ে দেই হেসে
আমি তোমাদেরই লোক।
নিজে জানি আমি গোপন ভাবনার বিচারে
সাদামাটা মানুষের মাথায় কাঠাল ভেঙে নিতে হয় কখন কিভাবে,
চাষাভূষা মুটেমজুর শ্রমিকের সাথে হতে হয় গলাগলি
এবং ভাবনার গভীরে আকুপাকু ফায়দা লুটতরাজের আলোকসঙ্কেত
মূর্খের দল কিছু জানো না
এ কেমন ছলনা;
তোমরা বুঝো
আমাকে জনৈক মুকুটবিহীন দরদী নেতা
আমি তোমাদেরই লোক।
আমি জনকল্যাণ করি বটে;
আগামীতে হয়ে যাবো দেশবরেণ্য সাংসদ-মন্ত্রী-হুইপ;
মুখোশের আড়ালে আমি পাকাই সর্পকুণ্ডলী,
আমার মধ্যে কি আছে জানি তা আয়নায় রেখে চোখ নিজেকে একক গুপ্ত বৈঠকে।
আমি দেশপ্রেমিক জনদরদী সেবক !!
আমার স্বরূপ দেখতে পাবে না মাঠের কোনও উজবুক
আমার গভীরের ফাঁদ জানবে না কেউ
বুঝে নিবে কেবল
আমি তোমাদেরই লোক।
চলতে চলতে গণতন্ত্রের চাদরে মুড়ানো দেশের জনপদে
বিভিন্ন অলিগলিতে এভাবেই মাঝেমধ্যে থামাবো গাড়ী
যাবো তোমাদের কাছাকাছি সকলের বাড়ি
আমি তো তোমাদেরই লোক।
আমি উঠে যাবো রাজপদে কেমনে কিভাবে
তোমরা কিছুই বুঝবে না,
পাবে না আমার আসল ঠিকানা,
শুধু বুঝে নিবে
আমি তোমাদেরই লোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন