বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭

স্বাক্ষাতকারঃকবি সুনীতি দেবনাথ


স্বাক্ষাতকারঃ


"কুয়াশা ওয়েবজিন” এ নবীন কবি সাহিত্যিকদের স্বাক্ষাতকারের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি সংখ্যায় ভিন্ন ভিন্ন লেখকদের স্বাক্ষাতকার প্রকাশ হবে। আগষ্ট সংখ্যা থেকে শুরু। এ সংখ্যায় কবি গল্পকার,প্রাবন্ধিক নাট্যকার সুনীতি দেবনাথ এর স্বাক্ষাতকার প্রকাশ করা হলো।

সুনীতি দেবনাথ বর্তমান বাংলা সাহিত্যে এপার ওপার উভয় পারেই সমান সমাদৃত।
জন্ম বাংলাদেশের সিলেটের বিয়ানীবাজার সাবডিভিশনের পঞ্চখণ্ডে । পিতা ৺হরিমোহন নাথ এবং মাতা  ৺মানদা নাথ। ১৯৪৫  সালে অবিভক্ত ভারতে ২৮ ফেব্রুয়ারি জন্ম।  ১৯৫০ সালে দেশবিভাগজনিত দাঙ্গার কারণে সপরিবারে পাঁচ বছর বয়সে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে উদ্বাস্তু হয়ে আগমন ও স্থায়ী বসবাস শুরু করেন।কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা সাহিত্যে এম.এ.,বি. এড.এবং ওয়ার্ধা থেকে হিন্দী সাহিত্যে কোবিদ পাশ।ধর্মনগর সরকারি দ্বাদশ শ্রেণী বালিকা   ললমবিদ্যালয়ে বিষয় শিক্ষিকা হিসেবে চাকরিতে কর্মরত ছিলেন। ২০০৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে ভারত সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের সংস্থা সি.সি.আর.টি.থেকে জাতীয় স্তরে শিক্ষক পুরস্কার লাভ করেন। বিশিষ্ট সংস্কৃতি কর্মী ও নাট্যকার তথা নাট্য পরিচালিকা হিসেবে কৃতিত্ব। রবীন্দ্রনাথের চণ্ডালিকা ও স্বরচিত মহেশ ( শরৎচন্দ্র রচিত ছোটগল্প অবলম্বনে নাট্যরূপ)  -এর পরিচালনায় বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেন।

স্বাক্ষাতকার গ্রহণ করেছেন কুয়াশার সম্পাদক দ্বীপ সরকার।
.....

কুয়াশাঃ এখানে সাড়া দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সুনীতিঃ অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সুযোগ দেবার জন্য। 

কুয়াশাঃ ব্যক্তিগত জীবনে আপনি কি করেন/ আপনার পেশা কি ?
সুনীতিঃ ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মনগর  সরকারি বালিকা.  দ্বাদশশ্রেণী বিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিষয় শিক্ষিকা ছিলাম। ২০০৩ সালের এপ্রিল থেকে অবসরপ্রাপ্ত। এখন সাধ্যমত সর্বক্ষণ লেখালেখি নিয়ে থাকি। 

 কুয়াশাঃ আপনি বিয়ে করেছেন কিনা ?  করে থাকলে আপনার ছেলে মেয়ে কতজন ? তারা কি করেন ?
সুনীতিঃ হ্যাঁ আমি বিবাহিতা। কিন্তু আমার স্বামী ২০০৯ সালের ২৯ আগস্ট হার্ট অ্যাটাক হয়ে প্রয়াত হন। আমার এক মেয়ে মৌসুমী মণ্ডল দেবনাথ কলকাতায় বিয়ের পর আছে। কবিতা লেখে। বিগত কলকাতা বইমেলায় ওর প্রথম কাব্যগ্রন্থ " রৌদ্র ছাপা উঠোন " প্রকাশিত হয়েছে। আর একমাত্র ছেলে অরূপ দেবনাথ ত্রিপুরা সরকারের পি.ডব্লিউ. ডি.- তে ইঞ্জিনিয়ার। ফটোগ্রাফি ওর নেশা। 

কুয়াশাঃ খুশি হলাম আপনার মেয়ে মৌসুমী মন্ডল দেবনাথ এর কৃতিত্বে। 
এবার বলুন আপনার পিতা- মাতার আপনি কতো নম্বর সন্তান ?  
সুনীতিঃ আমার পিতামাতার আমি প্রথম সন্তান। ছোট চার ভাই। 

কুয়াশাঃ এবার বর্তমান বিষয় নিয়ে কথা বলি।ঠিক কোন সময়/ সাল থেকে আপনি লেখা লেখি শুরু করেন ?
সুনীতিঃ ক্লাশ থ্রি ফোর থেকে লেখা শুরু করি। ত্রিপুরা, আসাম,  পশ্চিমবঙ্গের নানা পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়। দুর্ভাগ্য আমার প্রচুর লেখা নষ্ট হয়ে  গেছে। 

কুয়াশাঃ এই জগতে আপনি আসলেন কেনো? অনুপ্রাণীত হলেন কিভাবে ? 
সুনীতিঃ সাহিত্য ভালোবাসার সূত্রে এ জগতে আসা। মানুষকে, দেশকে, পৃথিবীকে সার্বিক মানবতাকে ভালবাসার সূত্রে আসা। আমি মনে করি সাহিত্যে এসব কিছুর মূল সূত্র গ্রথিত আছে। ছোটবেলা থেকে বাংলা সাহিত্য প্রচুর পড়েছি। এই পড়াশুনা সাহিত্যের সঙ্গে ষূক্ত হবার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। 

কুয়াশাঃ ধন্যবাদ। সাহিত্যের কোন শাখায় আপনার বেশি পছন্দ ?
সুনীতিঃ কবিতা আমার শ্রিয়ভূমি। প্রবন্ধ,  ছোটগল্প, নাটক খভ এরপরের ভালোবাসা। 

কুয়াশাঃ আপনার প্রথম লেখা কি  এবং কোথায় আপনার লেখা প্রথম প্রকাশ হয় ? সে সময়ে আপনার অনুভূতি কেমন ছিলো ?
সুনীতিঃ আমার প্রথম লেখা কি আজ আর মনে নেই, মনে নেই কোথায় প্রকাশিত হয়। উদ্বাস্তু জীবনের অনুষঙ্গ বেদনা আর যন্ত্রণা প্রাথমিক জীবনকে উদ্ভ্রান্ত করে রেখেছিল। 
কুয়াশাঃ আপনি কি বিষয়ে লিখতে বেশি পছন্দ করেন মানে দেশ, মাটি,মানুষ,স্বাধীনতা - এই বিষয়গুলীতে? 
সুনীতিঃ দেশ, মাটি, মানুষ, স্বাধীনতা তো আমার লেখার ভিত্তি ভূমি। এছাড়া অবক্ষয়িত সমাজকে বদলানো, সাম্য -মৈত্রীর সুন্দর একটি সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা আমার স্বপ্ন। আমি একজন নারী , নারী জীবনের বেদনা, পুরুষ শাসিত সমাজে নারীর লাঞ্ছনা বঞ্চনার কথা আমি অনুভব করি। চাই নারীর মুক্তি, অধিকার ও ক্ষমতায়ন। এসব আনুষঙ্গিকভাবে আমার লেখায় আসে। 

কুয়াশাঃ ধন্যবাদ।এখন বলুন  আপনি কখন, কোন সময়ে বেশি লেখেন ?
সুনীতিঃ আমার লেখার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। যখন সময়, সুযোগ পাই, অন্তরে তাগিদ অনুভব করি, তখনই লেখি।আমি জানি সংসারের সহস্র কাজে সময় আমার জন্য দুর্মূল্য। 

কুয়াশাঃ আপনার প্রকাশিত বই/ পত্রিকা / ম্যাগাজিন কতটি এবং কি কি ? কোন সালে এবং প্রথম বই প্রকাশের পর আপনার অনুভূতি কেমন ছিলো ?
সুনীতিঃ মানবিক প্রত্যয় এবং সামাজিক দায়িত্ব কর্তব্য সচেতনতায় - ত্রিপুরা, আসাম, দুই বাংলার নানা মুদ্রিত পত্র পত্রিকা সহ অনলাইন ম্যাগাজিন ও নিউজ পেপারে  আমার কবিতা ,প্রবন্ধ ও ছোটগল্প নিয়মিত প্রকাশিত হয়। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থ - সকালের জন্য প্রতিবাদী কবিদের কবিতা সংকলন, বর্ণমালা প্রকাশন, / গবেষণাধর্মী বই - ম্যাজিসিয়ান ডি মুরারী : প্রেক্ষিত পূর্বোত্তরের জাদুচর্চা ..প্রকাশক 'জ্ঞান বিচিত্রা / কাব্যগ্রন্থ —ঋদ্ধ সত্য অনুভবে আসে, প্রকাশক —জ্ঞান বিচিত্রা / ইবুক ★ স্বগত সংলাপ / কাফে কবিতা সংকলনঃ বারোজন কবির কবিতা নিয়ে, দোসর প্রকাশন।
অন্য বইয়ের কথা বাদ দিয়ে একটি বইয়ের কথা শুধু বলবো।  "ম্যাজিসিয়ান ডি মুরারী: প্রেক্ষিত পূর্বোত্তরের জাদুচর্চা। আমার স্বামীর মৃত্যুর প্রায় দশমাস পরে তাঁকে নিয়ে বইটি লেখা সেই মৃত্যুর বেদনা তখনো আমাকে ক্ষত বিক্ষত করছে। বইটি বুকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছিলাম। আমার স্বামী সরকারি চাকরির পাশাপাশি শখের ম্যাজিসিয়ান ছিলেন। জাদুসম্রাট পি. সি.সরকারের প্রিয় শিষ্য। জুনিয়র পি.সি. সরকার পিতৃস্মৃতিতে পৃথিবীতে প্রথম পি.সি.সরকার মেমোরিয়াল ট্রফি প্রদান করেন। এ ইতিহাস! 

কুয়াশাঃ আপনি কি মনে করেন কবিতায় মানুষের মুখের কথা এবং মানুষের নিজস্ব ভাষাতেই কবিতা লেখা উচিত ? যা এখন আধুনিক কবিতায় বৈচিত্র এনেছে এবং ভিন্ন মাত্রার সৃষ্টি করেছে ?
সুনীতিঃ এটা একটা আঙ্গিক হতে পারে মাত্র। আমি এমনটা ভাবিনা। এতে ভাষা সৌকর্য্যকে আহত করা হয়। ভাষা সম্পদ বিনষ্ট হয়। দিনদিন যে ভাষা সম্পদশালী হবার কথা তাতে দৈন্য দেখা দেয়। আঞ্চলিক মুখের ভাষায় তো সব অঞ্চলে সাম্য নেই। সাম্যের প্রয়োজনকে ভাষার স্বার্থে অবহেলা করা চলে না। 

কুয়াশাঃ আমাদের সাহিত্যে প্রধান অভাবগুলে কি কি? এবং কোন সাইটগুলোতে সাহিত্য এগিয়ে আছে?
সুনীতিঃ একটা উন্নত মানের সাহিত্য তখনই সৃষ্টি হতে পারে , যখন ব্যবহৃত ভাষা হবে বিশুদ্ধ, সম্পদশালী। মননশীল ভাবনা চিন্তার ভার বহন ক্ষমতা ভাষার অবশ্যই থাকতে হবে। আর নয়তো দেশ বা জাতির ভাবনার ঘর ফাঁপা থেকে যাবে। তেমনি সমৃদ্ধ সাহিত্য পথ চলতে পায়ে পায়ে হোঁচট খাবে। অনুশীলনের ধৈর্যের অভাবও সাহিত্যকে পঙ্গু করে। আমার মনে হয় সাহিত্যের কোন শাখাই উল্লেখযোগ্য ভাবে সবল নয়। অনুকরণ বৃত্তি এজন্য অনেকটা দায়ী। সব শাখাতেই এটা ব্যাপক ভাবে চলে। তবু বলা যায় কাব্যসাহিত্য ও কথাসাহিত্য   অনেকটা এগিয়ে আছে। তুলনামূলকভাবে প্রবন্ধসাহিত্য, সমালোচনাসাহিত্য, রম্যসাহিত্য, নাট্যসাহিত্য পিছিয়ে আছে। এতে সাহিত্যের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। 





কুয়াশাঃ আধুনিক কবিতার ক্ষেত্রে কবিদের কোন বিষয়ের প্রতি আপনি গুরুত্ব দেয়ার কথা বলবেন?
সুনীতিঃ আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে এতো গুণীজন ভাবিনা। কবিতা পড়তে ভালোবাসি, বিশেষ করে ভালো কবিতা  হলে কথাই নেই। কবিতার আঙ্গিক, ছন্দপ্রকরণ, অলঙ্কার, শব্দযোজনা      নিঃসন্দেহে কবিতার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, মানোন্নত করে সমৃদ্ধ করে। তবে গতানুগতিক পদ্ধতি কবিতাকে হাটে মারে।ভাষার কারুকার্য দিয়ে গড়ে তোলা হয় সার্থক কবিতা। তাই ভাষার বিশুদ্ধতা সার্থক কবিতার প্রথম শর্ত। উপযুক্ত শব্দ যথাযথ স্থানে ব্যবহার করার জন্য সতর্ক হতে হয়।একটা কবিতা লিখে কয়েকদিন  ফেলে রাখুন, এরপর পরপর কয়েক বার সেটা পড়ুন। দেখবেন উপযুক্ত শব্দ নতুনভাবে পেয়ে যাবেন, যা কবিতাকে মাধুর্যময় করে তুলবে। ভাষার বিশুদ্ধতা রক্ষা করা অবশ্য কর্তব্য। বানান ভুল গুরুতর অপরাধ। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশের কবিদের বলবো কবিতা লেখার সময় হাতের কাছে " বাংলা একাডেমি বাংলা বানান অভিধান" বইটি রাখতে। পশ্চিমবঙ্গের কবিদের "সংসদ বাংলা অভিধান " লেখার সময় কাছে রাখতে বলবো। এতে বানান ভুল সমস্যা এড়ানো যাবে। কাব্যরস প্রদানই কবিতার লক্ষ্য, বীভৎস রস নয়। 

কুয়াশাঃ এক্কেবারে নবীনদের জন্য আপনার উপদেশ/ পরামর্শ কি?
সুনীতিঃ একেবারে নতুন কবিদের কবিতা লেখায় সমস্যা বহুতর। কেউ কেউ ভাবেন কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার করে দুর্বোধ্য, জটিল কবিতা লেখায় বাহাদুরী। শুধু আমি কেন বেশির ভাগ কাব্যও.বোদ্ধা তা মানবেন না। কাব্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অলঙ্কার ব্যবহার করা হয়, দুর্বোধ্যতা সৃষ্টির জন্য নয়। অপরপক্ষে সরলতা হচ্ছে কাব্যের শ্রেষ্ঠ অলঙ্কার। তাই মননশীল হৃদ্য বিষয় আন্তরিকভাবে ব্যবহার করলে মনোজ্ঞ কবিতা সৃষ্টি হতে পারে। নবীন কবিরা নতুন নতুন দিগন্তে পাড়ি দিন। রবীন্দ্র নজরুল তিরিশের আধুনিক কবিরা এবং জীবনানন্দকে অতিক্রম করে বাংলা কবিতা বলয়ে উন্নততর সৃষ্টি করুন এই কামনা করি। 

কুয়াশাঃ সাহিত্যের জন্য আপনার ভবিষ্যৎ চিন্তা কি বা মানুষের জন্য কিছু করার ভাবনা আছে কিনা?
সুনীতিঃ বয়সের প্রান্তরে অনেক পথ হেঁটেছি। এখন রুগ্ন ক্ষীণবল। নতুন কোন পরিকল্পনা নেবার সুযোগ নেই। তবুও স্বপ্ন দেখি অনেক অনেক কবিতা লিখে যেতে হবে মানুষের কবিতা মানুষের জন্য কবিতা। কিছু কিছু স্বপ্ন থাকে যাদের শুরু আছে শেষ নেই। মানুষ, মানুষের পৃথিবীকে নিয়ে আমারও তেমনি স্বপ্ন আছে। যতদিন বাঁচবো সেগুলিকে বাস্তবায়িত করে যেতে চাই। 

কুয়াশাঃ খাবারের মধ্যে আপনার পছন্দ কি?
সুনীতিঃ ঝাল, নোনতা  টক, নিরামিষ খাবার আমার পছন্দ ছিলো। বর্তমানে হাই প্রেসার, ডায়াবেটিস, নার্ভাস ড্যামেজ ও এলার্জির কারণে ডায়াটিশিয়ানের পছন্দ ও নির্দেশনা আমার পছন্দ। 

কুয়াশাঃ আপনার কোন রং পছন্দ?
সুনীতিঃ লাল রঙ আমার পছন্দ।দেহের শিরা ধমনিতে প্রবাহিত জীবন সঞ্চারিনী রক্তধারার রঙ লাল। প্রেম প্রণয়ের স্বপ্নিল প্রবাহের রঙ লাল। উদিত সূর্যের রশ্মি রেখার রঙ লাল। বসন্তে প্রস্ফুটিত কৃষ্ণচূড়া, রঙ্গন,গুলমোহর,পলাশ শিমুলের রঙ লাল।বিপ্লব মহাবিপ্লবে বিপ্লবীর নিঃস্বার্থ রক্তস্রোতে রঞ্জিত পতাকার রঙ লাল। তাই আমি ভালোবাসি লাল রঙ। 

কুয়াশাঃ আপনার জীবনে কতগুলো প্রেম এসেছে এবং প্রথম প্রেমের অনুভূতির কিছু বলুন? সে বিষয়টা আপনার সাহিত্যে / কবিতায় কতোটা প্রভাব ঘটিয়েছেন?
সুনীতিঃ আমার জীবনে প্রেম একবারই এসেছে, এটাই শেষবার। এর পরিণতি পরিনয়। আমার সাহিত্য বা কাব্যে ব্যক্তিগত প্রেমের প্রভাব পড়েনি।একবার শুধু স্বামীর মৃত্যুর পরে ত্রিশটি কবিতা লিখেছি। সেগুলো www.Shyahi.com Publishars platform আহমেদাবাদ থেকে' স্বগত সংলাপ '  নামে  ebook হয়ে বের হয়েছে। এখন Niharika Prakashani থেকে কিছুদিনের মধ্যে print media -তে বের হবে। নিসঃন্দেহে এগুলো প্রেম বিষয়ক। 

কুয়াশাঃ আপনি কি মনে করেন সাহিত্যে নবজাগড়ন ঘটছে?
সুনীতিঃ না আমি এমন ভাবি না। আমার কেন জানি মনে হয় সাহিত্য খুঁড়িয়ে চলছে।যে দেশ ও ভাষার কবি দীর্ঘদিন আগে কাব্য সাহিত্যে নোবেল পান, যদিও আমরা সে নোবেলকে সুরক্ষা দিতে পারিনি, তেমনি সেই ভাষা ও সাহিত্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারিনি। এ আমাদের দুর্বলতা। 

কুয়াশাঃ এখানে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
সুনীতিঃ আপনাদের সঙ্গে থাকতে পেরে, আমার স্বল্প জ্ঞানে কথা বলে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ ও শুভকামনা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন