বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭

রবীন্দ্রানুরাগী চোর - সিকদার আবুল বাসার

রবীন্দ্রানুরাগী চোর

-আদালতে পুলিশ: মহামান্য আদালত, এই কাপড়ের পুঁটলিতে কিছু কাপড় চোপড়, থালা বাসন ও জুতো সমেত কাঁধে করে ধানমন্ডির একটা বাড়ীর পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর সময় গ্রেফতার করেছি।

-বিচারক: "তুমি চুরি করেছো?"

-চোর: "না হুজুর, আমি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ। পালন করেছি শুধু।"

-বিচারক: "তার মানে?"

-চোর: মাঝরাতে কানে ভেসে এলো কবিগুরু বলছেন, "আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে।" তাই জোৎস্না রাতে বের হলাম। শুনতে পেলাম, "এসো এসো আমার ঘরে এসো আমার ঘরে।" দেখলাম বাড়ীটি খালি-আমন্ত্রনে সোজা ঢুকে পড়লাম।  ঢুকেই শুনতে পেলাম- "ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে" খুব খুশি হলাম, আর তখনই কানে ভেসে এলো- "এবার উজাড় করে লও হে আমার যা কিছু সম্বল"- কি আর করি, কবিগুরুর নির্দেশ তো আর অমান্য করা উচিত হবে না- এতে সব মালপত্র বেঁধেছি সঙ্গে সঙ্গে কানে ভেসে এলো- "আজ দখিন দুয়ার খোলা"-বুঝলাম পেছনের দরজা খোলা- সেখান দিয়েই বেড়িয়ে পড়লাম-

সঙ্গে সঙ্গে এই মূর্খ পুলিশটা এসে আমায় ধরলো। ওকে কত বোঝাবার চেস্টা করলাম আমি চুরি করিনি শুধু রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ পালন করেছি তো ব্যাটা বোধ হয় রবীন্দ্রনাথের নামই শোনেনি। সোজা ধরে নিয়ে গেল।আজ আপনার কাছে নিয়ে এসেছে। আপনিই বলুন হুজুর- "আমার কি দোষ।"

-বিচারক: "ঠিক আছে; তোমাকে ছয় মাসের সাজা দিলাম। এই বিষয়ে তোমার রবীন্দ্রনাথ কিছু বলেছেন"। 

-চোর: "এ পথে আমি যে গেছি বারেবার, ভুলিনিতো একদিন ও..........."

-বিচারক: "জেলে যখন থাকবে, তখন তোমার রবীন্দ্রনাথ কি বলবেন?" 

-চোর: "ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে?"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন