হরিণেরা
তারপর, চৈত্রের হঠাৎ বাতাসে যখন
শিরিষের শাখা থেকে ঝড়ে পড়লো সারল্যের ছায়া,
তুমি বললে- হাত রাখো।
আমি রাখলাম- অভ্যস্ত আঙুলের করতল। আমি
খুঁড়তে থাকলাম। খুঁড়তে খুঁড়তে শীতলক্ষ্যা,
খুঁড়তে খুঁড়তে সন্ধ্যা।
হঠাৎ তোমার দু'চোখ থেকে লাফিয়ে পড়লো
একজোড়া বিলুপ্তপ্রায় মায়া হরিণ।
আবার লাফালো। আর দুই কনীনিকা দিয়ে সোজা ঢুকে গেলো
আমার হৃদপিণ্ডে।
তুমি নেই; তোমার হরিণেরা আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন