সৌমিত্র চক্রবর্তীর তিন কবিতা
যাচ্ছেতাই
অসহ্য টুকিটাকি ব্যাথার সন্ধিছায়ায়
তিন দুগুণে ছয়, ছয় দুগুণে...
কতদূর পৌঁছলে খেই হাতের নাগালে?
এককাপ ব্ল্যাককফি, একটা সিগারেট
কখনো এইই যথোচিত
কখনো আঁতেল সিনেমার টুকরো।
এরচেয়ে ভোরবেলা শুরু হোক
শুদ্ধ বাংলা মালেই,
অন্তত তাহলে ফেরেব্বাজীর মুখোশ
ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া যায়;
অন্তত কেউ তো বলবে না
আয় তোকে মুরগি করি!
রক্তছাপ
কথা ছিল সাবান আর জল
দিয়ে দিনের প্রত্যেক সেকেন্ডের গায়ে
লেগে থাকা আঁশগন্ধা রক্তচিহ্ন
তুলব অসময়ে।
বলনি তো, নিজেই
রক্তের পান্ডুলিপি হয়ে
আবিস্কৃত হবে চানঘরের অন্ধ ছায়ায়?
এত হাসি, এত কথা
ছৌনাচের পুরাইতিহাস
কিম্বা রাজপুরুষের পদস্খলনের
মজারু বৃত্তান্ত সাবলীল ব্যাটে
ছক্কায় মাঠের ওপারে উপগ্রহ হতো,
কোনো অসতর্ক পিছলানো
নো বলের ভুলেও বলনি তো
নগরীতে সিজোফ্রেনিয়া
গোকুলে বেড়েই চলেছে!
আজ ঘন্টাটা ছিঁড়ে পড়তেই
ভয়ংকর আওয়াজেরা মিলখা সিং হয়ে
ছুটে গেল ভয়ের বরফ স্রোতে।
শোকোত্তর হুল্লোড় ডেসিবেলের লাল
দাগ থেকে দূরে চলে গেলে
দেখলাম, সম্পর্কের সুতোগুলো
ছেঁড়া কুটিপাটি নেতিয়ে পড়ে আছে
শুকিয়ে যাওয়া রক্তের কালো ছাপে।
মৃত্যুকালীন
এক একটা সময় আসে মৃত্যুকেই চাই
অভিমানের ক্ষুরধারে পা দোলাই বসে।
ক্যালেন্ডারের পাতা ওড়ে, ডায়েরি বিবর্ণ,
হঠাৎ হাওয়ার ঝোঁকে মনের নোংরা ভাসে।
একশো বছর বেঁচেও নিজেকে চেনা যায়?
একলাইনের আত্মজীবনী আঁকে সম্পূর্ণ মানুষ?
শুধু মুখোসের ছদ্মআবরণে ঢাকা কালো বলিরেখা,
শুধু দিন কাটে, রাত কাটে নিজেরই ঢক্কানিনাদে।
সময়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সব ফানুস ফেটে গেলে
শুধু মৃত্যুকেই বন্ধু মনে হয়।
ধন্যবাদ ও প্রিয়তে অবিরাম।
উত্তরমুছুনতিনটে কবিতাই খুব সুন্দর।
উত্তরমুছুনতিনটে কবিতাই খুব সুন্দর।
উত্তরমুছুন