বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৮

প্রবন্ধঃ স্বপ্ন উড়ে আকাশে ।। জালাল উদ্দিন ইমন


স্বপ্ন উড়ে আকাশে

প্রতিটা মানুষের জীবনে সহস্র স্বপ্ন বুকে বাসা বেধে বসবাস করে কোনো একদিন এই স্বপ্ন আশা আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা পাবে বলে আমরা স্বপ্ন দেখেই যাই। পুর্ণ হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে অগ্রসর হয় প্রতিটা মানুষ, মাঝেমাঝে আমরা এমনই কিছু স্বপ্ন দেখি যেটা পূর্ণতা লাভের কোনো যোগ্যতা বা অধিকার মানুষের নেই তবুও প্রতিটা মানুষ তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে সর্বদা সচেষ্ট দায়বদ্ধ। সেই স্বপ্ন গুলো ঘুমের ঘরে হোক কিংবা জীবনের কোনো উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষে জেগে উঠার যুদ্ধজয় করে বেছে থাকা। যেমন স্বপ্ন দেখে বিখ্যাত ব্যক্তিগণ তাদের জীবনপথ সুষ্ঠু পথে পরিচালিত করেছেন আর বিশিষ্ট মানুষদের কাতারে দাঁড়াতে পেরেছেন।
আগে শুনতাম বড় বড় বিখ্যাত ব্যক্তিরা ও বলে গেছেন স্বপ্ন দেখতে কিছুই লাগেনা শুধু দৃড় বিশ্বাসের সাথে স্বপ্নের পথে চললেই নিজের স্বপ পূর্ণ হয়ে যাবে।
আপনি নিজেই অনুমান করতে পারছেন বিখ্যাত ব্যক্তিদের সাথে আপনি আমি আমরা কেউই একমত নই, আজকালের স্বপ্ন গুলো দেখে সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছু নয়।
স্বপ্ন দেখতে টাকারপাহাড় লাগে, যদি আপনার এই জিনিষটা থাকে তবে স্বপ্ন কিন্তু আপনাকে দেখবে আপনার টাকাই দেখাবে যোগ্য কিংবা অযোগ্য প্রাইমারী পাশ করলে ও যদি ঐ পাহাড়তলি থাকে তাহলে স্বপ্ন আপনার পিছনে ছুটবে।

কত মানুষের কত স্বপ্ন এমনি কিছু যে স্বপ্ন আমাদের ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের কাতারে দাড় করাবে। চাই অনেক বড় কিছু হতে চাই সবার সামনে মা বাবার মুখ উজ্জ্বল করতে তেমন কিছু লক্ষে আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টান্তর করি। কিন্তু আমরা যেভাবে স্বপ্নকে দেখি স্বপ্ন কী আমাদের সেই দেখে হয়তো, যদি সব স্বপ্নই আমাদের দেখার মত করে আমাদের দেখত তাহলে আর স্বপ্ন দেখার রুচিই থাকতোনা। স্বপ্ন দেখা কতটা কষ্ট কিংবা সুখ আমরা তা কখনো উপলব্ধি করতে পারতাম না যদি আমাদের ছোটবেলা থেকে দেখে আসা স্বপ্ন গুলো পূর্ণতা পেত। তবে স্বপ্ন কী জিনিষ কাকে বলে কত প্রকার কিছু বুঝতেই পারতাম না।
শুধু নিজের স্বপ্ন নয় মাঝেমাঝে পরিবারে দেখা কিছু স্বপ্ন ও বাস্তবায়নের লক্ষে সহস্র কষ্টভোগে  সাধনা করতে হয়। শিশু বয়সে মা বাবার স্বপ্ন থাকে তার সন্তান লেখাপড়া করবে বড় হয়ে একটা ভালো কিছু করে পিতামাতার মুখ উজ্জ্বল করবে। মনে হয় এ ছাড়া আর কিছু পাওয়ার থাকেনা, কিন্তু পরিবারের চাপিয়ে দেওয়া স্বপ্ন গুলোতে শতকরা আশি জনই ব্যর্থ হই। কারণ ঐ স্বপ্নে নিজের আশা আকাঙ্ক্ষা থাকেনা তার দৃড় প্রত্যয় ও নেই আমরা ভাবি, কী একটা মা বাবা আমার ঘাড়ের উপর চাপিয়ে দিয়েছে এত কষ্টের জিনিষ তারা অবশ্যই জানতো তবুও আমার উপর চাপিয়ে দিয়েছে কেনো। মাঝেমাঝে আমাদের অনেক রাগ হয় মা বাবার উপর কিন্তু ভাবিনা, এই কাজ করলে লাভজনক কে হচ্ছে আমি, না মা বাবা তাই তাদের দেখা স্বপ্নে আমরা তেমন আগ্রহশীল মনস্থির করিনা।
যদি তাদের স্বপ্নে বাস্তবায়ন করি তাহলে পৃথিবীতে মনে হয় আরাম-আয়েশ ঘুরাঘুরি মজার খেলা আড্ডা আমার জন্য সৃষ্টিকর্তা পাঠায়নি। আবার কিছু মা বাবা তাদের এমনো কিছু স্বপ্ন আমাদের উপর চাপিয়ে দেয় যা আমরা করতে পারিনা জানিনা আমাদের দ্বারা সম্ভব ও নয়। চেষ্টা করি হাজারো বার কিন্তু বারবার ব্যর্থ, এই রকম কিছু ব্যর্থতা আমাদের মানুষিক ভাবে জীবনপথ অচল করে দেয়, বা পাগলের মত কিছু পাগলের স্বপ্নের কথা শুনলে আমার চোখেরজল এসে যায় টলমলিয়ে অনবরত রক্তলাল থেকে কষ্টে সাদারঙ হয়ে যাওয়া ফোঁটাযুক্ত। হাজারো মানুষিকভাবে অসুস্থ মেধাবী শিক্ষার্থী লক্ষ করেছি তার মধ্যে ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর মা বাবার দেওয়া স্বপ্নের পিছনে ছুটতে গিয়ে পাগলাগারদে অসহায় হয়ে পড়ে আছে।
আমাদের মা বাবারা মনে করেন শিক্ষায় তার সন্তানকে আলোকিত মানুষ গড়বে,আমি মানি, অবশ্যই মানুষের মত মানুষ হবে আলোকিত মানুষ হবে।

কিন্তু মা বাবা আপনারা শুধু শিক্ষার কথা ভাবলেন একটু নিজের সন্তানের উপর এত বড় চাপ প্রয়োগটা সে নিতে পারছে কী পারছেনা তা আপনার মাথায় রাখা দরকার,
কিন্তু যদি স্বপ্নটা নিজের দেখা কোনো স্বপ্ন হয় সেটাই ভালো, মনের কঠিন জোর দৃঢ়বন্ধনে আবদ্ধ নিজের লক্ষ হাসিলের উপর সর্বদা দায়বদ্ধ আর সেই স্বপ্ন গুলোই বেশি সত্যি হয়।
হোক না  তবে সেটা খেলা কিংবা অন্যান্য কোনো বিনোদন,বা খেলাই শুধু কী লেখাপড়া করে বিখ্যাত ব্যক্তি আছে  খেলা বিনোদন সংগীত সাহিত্যের মাধ্যমে ও অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি আছে  যা আপনাদের মাথায় থাকেনা ।

পরিশেষে
স্বপ্ন মানুষকে বাছতে শিখাই আশা দিয়ে ধৈর্যধারণ করতে শিখাই। জীবন সাজানোর প্রেরণা যোগায় বারবার ভেঙে যাক তবুও বাছার আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা দেখেই চলি, স্বপ্ন আমাদের দেখছে কিনা তা ভাববার বিষয় নয়।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন