সেই মেয়েটার কথা
গ্রামের নাম সে যাই হোক
ছটফটে এক মেয়ে,
লাগামছাড়া দস্যিপনায় জুরি মেলা ভার,
স্বপ্ন ছিল অন্যরকম
গান গাইবে সে।
গ্রামেই তার চারভাইবোন অভাবের সংসার।
বয়স তখন সন্ধিকালেই
শহর ঘোরা ছেলে,
একটু বড়। স্বপ্ন দেখায়। ফুলবিছানো পথ,
দেখা হত সাঁঝের বেলায়
জল ভরতে গেলে।
হাঁ করে মেয়ে স্বপ্ন দেখে গানের ভবিষ্যৎ।
উড়াল দিল দস্যিপাখি
অজানা তার দেশ,
পুঁটলিতে তার বিশ্বাস আর শুকনো দুটো রুটি,
মেয়ের চোখে স্বপ্ন জ্বলে
মিষ্টি হাসি বেশ।
হাওয়ার সাথে উড়ছে যেন জোড়াশালিক দুটি।
একটা দুটো দিন চলে যায়
জলের মত করে,
মেয়ের মনে উথালপাতাল ছোট্ট বস্তিঘরে,
চারপাঁচটা ষন্ডাছেলে
প্রায় আসে তার ঘরে।
শহর ঘোরা ছেলে কিসের হিসাব যেন করে।
একদিন এক সাঁঝের বেলাই
গাইছে সে আনমনে,
হঠাৎ কারা ঝটপটিয়ে ঝাপটে নিল জোরে,
ঘন্টা ধরে কাটাকুটি
ছোট্ট ঘরের কোণে।
বিকিয়ে গেল দস্যিপনা হাজারখানেক দরে।
তারপর তো এহাত সেহাত
গোলাপমাসি শেষে,
নাম হল তার ঝুমরুবেগম, খাসা গানের গলা..
ঝুমরুবেগম আলাপ ধরে
গাইছে হেসে হেসে।
আসলে এক দস্যিমেয়ের শেষহল পথচলা…!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন