বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮

নারী ও নাবিক ।। রুদ্রাক্ষ রায়হান












নারী ও নাবিক

এতটা আগুন এতটা তৃষা মনে
জল চাই দাও উত্তাল স্রোতধারা
এই দেহ যদি পাঁজরের হাঁড় হবে
কেন ওঠে তবে এতটা বিপুল ঢেউ?
কেন এই দেহ নিখাদ ঢেউয়াল পাঁথার?
ও মাঝি! গুটাও মাস্তুল, স্নানে নেমে এসো।
জল জলজে কেলী হোক আজ ঢের
শরীরের কোন হয়না রকমফের
যত পারো দাও দুকূল উপচে ঢেউ
শরীরের প্রেম হৃদয়ে  মিলিয়া যাবে।
নাবিক:
কে তুমি নারী এত করে কাছে ডাকো!
মদিরার ঘ্রান যায় কি সরানো ঠেলে?
কেন এ আধারে কেন তুমি দিলে ডাক?
কেন বলো তুমি নাম ধরে ডাক দিলে??
নারী:
আমি?
আমি সে তো এক জাহাজীর সোনা বউ!
যে ছিল মরদ দূর দেশে পরে আছে
একা ঘরে একা কেমনে মানুষ বাঁচে?
কও মাঝি কও কেমনে নেভাই দাহ??
নাবিক:
জানি তুমি জানো শরীরের ছলাকলা
কল কল জলে বয়ে যাও দুই কূলে
মেঘবতী কেশ উড়িয়ে অন্য হাওয়ায়
নাইতে এলে শূন্য নদীর জলে??
নারী:
একেলা ঘরে শঙ্কায় রাত জাগি।
বিনিদ্র রাত তৃষ্ণা সঙ্গী মোর
মিছেমিছি লাল স্বপ্নেরা জেগে রয়
মিথ্য স্বপন বেদনা সিক্ত ভোর।
তাই মাঝি লাজ শরমের কথা থাক
দরিয়ার জলে ডুবে যাবে মোর প্রান
নেমে আয় মাঝি তুমুল তুমুল চাই
ঘোলা জলে সুখ পূন্যতীর্থস্নান।
নাবিক:
জনো তো নারী পাগল পুরুষ মন।
অন্দরে ক্ষ্যাপা পশুদল বাস করে
বুনো পশু যদি শিকারের পায় খোঁজ
কি দেবে শিকার চলে আসি ঘরে?
নারী:
চলে আয় মাঝি, গহীনে পেতেছি ফাঁদ
বুকের ভাঁজে আগরের ঘন বন
নাক ঘসে দিও মুখ ঘসে দিও খুব
জলজ জমিনে আগুনের চাষাবাদ।
তুমি এলে মাঝি আবার সাজব ফুলে
বালিশের পাশে শুঁকে নিও সুখ ঘ্রান
আগুন পাহাড় জেগেছে বসন খুলে
বিপুলা হৃদয় তৃষিত নারীর প্রান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন