বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৮

বই আলোচনাঃ কাঠ কয়লার ধারাপাত ।। রুবেল পারভেজ

কাঠ কয়লার ধারাপাতঃ হোমায়রা মোর্শেদা আখতার
বইয়ের নামঃ কাঠ কয়লার ধারাপাত
লেখকের নামঃ হোমায়রা মোর্শেদা আখতার
ধরনঃ কবিতার বই 
প্রকাশনীঃ ছায়াবীথি
প্রচ্ছদশিল্পীঃ ধ্রুব এষ
পৃষ্ঠাঃ ৪৮
মূল্যঃ ১৫০ টাকা

আধুনিক বাংলা কাব্যসাহিত্যে একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য দুঃখবাদ ও ক্ষণজীবনবো। যা বর্তমান সময়ের জীবনঘনিষ্ঠ হৃদয় সচেতন কবি হোমায়রা মোর্শেদা আখতার এর কবিতার মূলসুর এবং তাঁর কবিতার স্বর।এবং সেই সাথে শৈল্পিক চেতনায় তা নবতর সুরের সাধক।এছাড়াও সৌমার্য, সৌজন্য ও শ্রেয়োসংবিদের অনটন আধুনিকতার অন্যতমলক্ষণ। যা তাঁর কবিতায় অরূপ সৌন্দর্যের পেলবে বাঙময় হয়ে উঠেছে ধ্যানস্থ উচ্চারণে। 
তাঁর ‘কাঠ কয়লার ধারাপাত’  কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা ‘বোধ’ এ উচ্চারিত হয়েছে সেই চিরচেনা স্বরূপ, জীবনঘনিষ্ঠতার বোধিতায়তনে জীবন জিজ্ঞাসার আদলে। ব্রিটিশ কবি ও সমালোচক ম্যাথুউ আর্নল্ড কবিতা সম্পর্কে স্বগতোক্তি করে বলেছেন, ‘Criticism of life’ অর্থাৎ জীবন-দীপিকা বা জীবন-জিজ্ঞাসা।  কবির এই জীবন-জিজ্ঞাসাই কবিতাকে বিমূর্ত করে তুলেছে।  ‘জীবন কি কখনও শুদ্ধতম হয়?’ এ জিজ্ঞাসা যেন কবির নিজের কাছেই। বোধের নিগঢ়ে ধাবমান জীবনের বোধ ক্ষয়ে গেলে পড়ে থাকে বোধের কঙ্কাল। পাপপুণ্যের বিচার জীবনের জঞ্জাল মনে হয়। জীবন সময়ের প্রবহমানতা নাকি সময়ের কড়িকাঠে ক্রুদ্ধ বয়স, বয়স কি জানে শুদ্ধতম জীবন কি?। কবির মনে প্রশ্ন জাগে। কবি মনে করেন, জীবন মানে হারায়, জীবন মানে পাল্টায়। মূলত, গতিশীলতা-ই জীবনের ধর্ম আর স্থবিরতা মৃত্যুর নামান্তর।

জীবন কি কখনও শুদ্ধতম হয়?
বোধের নিগঢ়ে দূরন্ত জীবন যে ধাবমান
বোধ ক্ষয়ে যায়, থাকে কেবল বোধের কঙ্কাল,
পাপপুণ্যের বিচার সেও কি জীবনের জঞ্জাল!
জীবন কি তবে সময়ের প্রবহমানতা
নাকি সময়ের কড়িকাঠে ক্রুদ্ধ বয়স
বয়স কি জানে শুদ্ধতম জীবন কি?
তাই জীবন মানে হারায়
              জীবন মানে পাল্টায়।
রয়ে যায় শুধু মুখোশ
না মুখোশের আড়ালে খোলস।
                              (বোধ)


বোধের গভীরে ‘রয়ে যায় শুধু মুখোশ/ না মুখোশের আড়ালে খোলস’। কবিতার শেষ লাইনে সমার্থক উপমা ‘মুখোশ’ এবং ‘খোলস’ ব্যবহার করায় শেষটা ঠিক জমে ওঠেনি। মুখোশ অর্থ বাইরের আবরণ এবং খোলস অর্থও বাইরের আবরণ। এখানে ‘মুখোশের আড়ালে খোলস’ এর পরিবর্তে ‘মুখোশের আড়ালে মুখ’ বা অন্য কোন বিপরীতার্থক উপমার ব্যবহার হলে পঙ্‌ক্তিটি অর্থবোধক হতো।

কবি বিনয় মজুমদার তাঁর ‘ভালোবাসা দিতে পারি’ কবিতায় আক্ষেপ করে বলেছিলেনঃ ‘ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা কি গ্রহণে সক্ষম?’  প্রকৃতঅর্থে সত্যিকারের ভালোবাসা যেমন পাওয়া কঠিন তেমনি সেই ভালোবাসা গ্রহণ করাও কঠিন। আর কেউ যদি সেই ভালোবাসা একবার পেয়ে যায় তাহলে তার জন্য একজীবন হেসে খেলে পার করে দেওয়া অনেক সহজ। কেননা, ভালোবাসার জীবন অনেক সংক্ষিপ্ত হয়। কবি হোমায়রা মোর্শেদা আখতার এর ‘সুখ ছন্দ’ কবিতায় সেই একমাত্র প্রেমের সুরই অনুরণিত হয়েছে সচেতনতার দিদৃক্ষায়।

এক জীবনে একটা প্রেম
বাঁচার জন্য মন্দ কি?
সুখের অসুখ আছে কি জানি
অসুখের সুখ ছন্দ কি?
এই তো ভালো একটা প্রেম
এক জীবনের ভালোবাসা
বেঁচে থাকার শান্তি আশা।
                   (সুখ ছন্দ)

কবি মালতিময় সন্ধ্যায় তাঁর দাদিমার সাথে খুনসুটি করতে করতে হাসনাহেনা ভিজে যাওয়া জ্যোৎস্নায় শুনতেন রূপকথার ডালিমকুমারের গল্প। যে ডালিমকুমার একদিন রাজকন্যা কঙ্কাবতীকে তার বাবার মৃত্যুর পর শয়তান চাচার কাছ থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসে। একজন পানওয়ালার পরামর্শে ব্যঙ্গমা দিয়ে বার্তা পাঠিয়ে প্রথমে রাজকুমারীকে জানায় নিজের পরিচয় এবং সেই সাথে  প্রেমের প্রস্তাব দেয় ডালিমকুমার। রাজকুমারীও ডালিমকুমারকে ভালোবেসে ফেলে এবং ফিরতি বার্তায় ব্যঙ্গমী দিয়ে বার্তা পাঠিয়ে ভালোবাসার কথা জানায়। সুকৌশলে পরিকল্পনা করে সেই দেশের মহারাজার সাহায্যে শয়তান চাচাকে গ্রেফতার করিয়ে রাজকুমারীকে মুক্ত করে ডালিমকুমার।  তারপর ডালিমকুমার আর রাজকুমারীর বিয়ে হয়। 
সাদা কড়িফুলের মালা হাতে কবির গাঁয়ের সখিরা পুকুর জলে অর্ঘ্য নিবেদন করতেন, আর কবি কচুরিপানায় সাজাতেন এবং ভালবাসতেন সেইসব ফুলেদের। শৈশবজুড়ে যে অনামী, অনার্য ফুলেদের ভালোবেসে শিখেছেন প্রকৃতির পাঠ।  কবির এই কবিতায় ব্যবহৃত চিত্রকল্প যেন শৈশবের দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় স্বপ্নলোকে ভাসিয়ে। এখানেই কবি সার্থক। কবিতা যখনই পাঠককে ভাবায়, ভাসায়, নিয়ে যায় কল্পলোকে, তখনই কবিতা সার্থক হয়ে ওঠে। ‘ইমাজিসম’ ধারার পথিকৃৎ কালজয়ী মার্কিন কবি ও সমালোচকএজরা পাউন্ড ইমেজ বা চিত্রকল্প বা বাক্‌-প্রতিমা সম্পর্কে  বলেছেন, "An 'Image' is that which presents an intellectual and emotional complex in an instant of time.
......জ্যোৎস্নাস্নাত হাস্নাহেনা আর
রাতভর রূপকথার ডালিমকুমার, কড়িফুলের মালা হাতে
গাঁয়ের সখিরা অর্ঘ্য করেছে নিবেদন,
তা ভাসায়েছি পুকুর জলে, কলমি, পানাফুলে সাজিয়েছি,
আর ভালবেসেছি তোদের। আমার শৈশবজুড়ে
তোদের ভালোবেসে শিখেছি প্রকৃতির পাঠ,
অনামী, অনার্য ফুলেরা আমার।
(প্রকৃতি পাঠ)

মৃত্যুর অবগুণ্ঠনে মানুষ হারিয়ে যায়। হারিয়ে যায় কোন অন্তহীন নিরুদ্দেশের পথে। মানুষ আসে। মানুষ যায়। কোথায় যায় কেউ তা জানেনা। সুদূরের হাতছানির সেই অনুভবে কবির মন নৈরাশ্যের বেদনায় নিষিক্ত হয়। তাঁর ‘অনুভব’ কবিতায় বর্ণিত হয়েছে সন্তান হারানো এক মায়ের জীবনের করুণ পরিণতির কথা। যে মায়ের নবজাতক মেয়ে শিশু ভূমিষ্ঠ হয়েই মারা যায়। এই কবিতা সেই মায়ের আদরের ছোট্ট সন্তানকে নিয়েই। 
সাদা রঙের প্রতি মায়ের পক্ষপাতিত্ব। এই সাদা রঙ এখানে মৃত্যুর প্রতীক। সন্তান যেমন তার প্রাণের সুখ তেমনি ভীষণ রকম বেদনারও। বারান্দার টবে ফোটা রেইন লিলি ফুল যেন ঘরময় একরাশ হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা তার সন্তান। সন্ধ্যার শ্বেত সন্ধ্যামালতীর পাপড়িতেও মা তার শরীরের গন্ধ পান। স্নিগ্ধ সাদা গোলাপ দেখে ভাবেন ছোট্ট শিশু দুষ্টু হাসি ছড়িয়ে তাকে ডাকছে। না ফেরার দেশে চলে গেছে মায়ের বুকের মানিক। তাকে রঙিন মায়ায় ছুঁতে না পারার দুঃখে তিনি বিহ্বল। তাই কল্পনায় শুভ্রতার মতো সন্তানের মুখখানি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পান না তিনি।   

ইদানীং সাদা রঙয়ের প্রতি পক্ষপাতিত্ব আমার
কারণ কিন্তু তুই
আমার প্রাণের ছোট্ট সুখও তুই
ভীষণ রকম বেদনায়ও তুই
শ্বেত শুভ্র কাশফুল সাদা মেঘপরি, শিশির ভেজা শিউলি
বারান্দার টবে যখন রেইন লিলি ফোটে,
সে তো তুই একরাশ হাসি ছড়িয়ে
দাঁড়িয়ে আছিস ঘরময়।
সন্ধ্যার শ্বেত সন্ধ্যামালতীর পাপড়িতে
আমি তো শরীরের গন্ধ পাই।
স্নিগ্ধ সাদা গোলাপ দেখে ভাবি
ছোট্ট তুই দুষ্টু হাসি ছড়িয়ে আমায় ডাকছিস।
তোকে তো রঙিন মায়ায় ছুঁতে পাইনি
তাই শুভ্রতার মতো তোর মুখখানি ছাড়া
আর যে কিছুই দেখছি না মা।
(অনুভব)

পুরুষ শাসিত সমাজে এখনও সব নারী তার যোগ্য অধিকার পায়নি। এখনও পরাধীন সমাজের যাঁতাকলে। তার কোন দুঃখ থাকতে নেই, দিন-রাত, ক্ষুধা-তৃষ্ণা, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, স্নিগ্ধ সকাল কিংবা গোধূলি বিকেল কিচ্ছু থাকতে নেই। ভাতঘুম দুপুরের আলস্যে তার শরীর জুড়াতে নেই। নারী যেন গৃহিণী এবং জননী শব্দের সমার্থক। গৃহিণী হয়ে গৃহে কাজ করবে, জননী হয়ে জনন অঙ্গ সঁপে দেবে স্বামীর কাছে আর সন্তান জন্ম দেবে।  সব বিতর্কের সম্ভাবনাকে খারিজ করে দিয়ে বলতে চাই, সমাজে ভালো নারী যেমন আছে ভালো পুরুষও তেমন আছে। পাশাপাশি খারাপ নারী এবং পুরুষও আছে। খারাপরা সব সময় সোরগোল করে বলে তাদেরটা কানে আসে কিন্তু ভালোরা নিরব থাকে বলে তাদেরটা চোখে পড়ে না।
আমি ইথার সম্ভুতা মানবী
ফটোশপ চর্চিত কমনীয় ছবি
আমার প্রোফাইল শোভিত আমি দেবী না নারী!
আমার শোক দুঃখ থাকতে নেই,
দিবস ও রজনী থাকতে নেই,
ক্ষুধা ও তৃষ্ণা থাকতে নেই,
ইচ্ছা ও অনিচ্ছা থাকতে নেই,
স্নিগ্ধ সকাল, গোধূলি বিকেল
ভাতঘুম দুপুর থাকতে নেই।
               (এলেবেলে জীবনের গল্প)

‘তরুণ ও তরুণী কবি’ কবিতায় দশার্ণ গ্রামের তরুণীর জবানীতে প্রিয়তমর প্রতি ভালোবাসার কথা গভীরভাবে ব্যক্ত হয়েছে নিপুণ শিল্পীর সুদক্ষ কারুকার্যে। যে প্রিয়তমর হাত ধরে আষাঢ়ী পূর্ণিমা রাতে বৃষ্টি স্নান করতে চায়। তার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে উজ্জয়নী নগরের পথে, ইচ্ছে করে শিপ্রা নদীর জলে পা ডুবিয়ে জলকেলি করতে আর প্রিয়তম কবিকে খুঁজতে। দশার্ণ গ্রামের তরুণী আম্রছায়া ঘেরা পথে পথে কুঞ্জফুলের মালায় সাজিয়ে, কপালে কুমকুমের টিপ পরে নীলাম্বরী শাড়িতে তরুণী তার তরুণ কবির প্রতীক্ষায় থাকবে। মধুরতম এই প্রতীক্ষা। ভালোবাসার প্রতীক্ষার কাটানো প্রতিটা প্রহর ভালোবাসাময়।

কোন এক আষাঢ়ী পূর্ণিমা রাতে
আমি বৃষ্টি স্নান করব তোমার হাত ধরে কবি,
আমার ফিরতে ইচ্ছে করে
সেই উজ্জয়নী নগরের পথে,
শিপ্রা নদীর জলে পা ডুবিয়ে জলকেলি করতে করতে
তোমাকে খুঁজব কবি,
দশার্ণ গ্রামের তরুণী আমি
আম্রছায়া ঘেরা পথে পথে কুঞ্জফুলের মালায় সাজিয়ে
কপালে কুমকুমের টিপে
নীলাম্বরী শাড়িতে শরীরী মুগ্ধতা,
তোমার প্রতীক্ষায় আমি কবি।
                  (তরুণ ও তরুণী কবি)
কবির হৃদয় আন্দোলিত ও উদ্বেলিত হয়ে ওঠে স্মৃতিচারণে। অভাবনীয় ইন্দ্রিয়জ অনুষঙ্গ সজাগতায় তাঁর অন্তর থেকে উৎসারিত হয়ঃ

সেই স্মৃতি আর ফেরে না
যেমন ফেরে না দাদীমার মুখ,
নীল শাড়িপরা, পুকুরঘাটে দাঁড়িয়ে
আমাদের আসার প্রতীক্ষায়
কেউ নেই আর। তবুও কীসের টানে
ছুটে যাই সেই জন্মভিটায়!!
                 (আমার জন্মভিটা)
কবি নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ফিরে যান স্মৃতির সেলুলয়েডে ভর করে অতীত দিনের স্মৃতিচারণে। স্মৃতিরা আর ফিরে আসে না। ফিরে আসেনা প্রিয় দাদীমার মুখ, যে দাদীমা একদিন নীল শাড়ি পরে পুকুরঘাটে দাঁড়িয়ে থাকতেন। কেউ নেই তবুও জন্মভিটা কবিকে টানে। কবি ছুটে যান জন্মভিটায়। মানুষকে একদিন তার শেকড়ের কাছেই ফিরতে হয়। জন্মভূমি এবং জন্মভিটার প্রতি মানুষের টান সহজাত। একটা নাড়ীর সম্পর্ক সব সময় মানুষকে নিবিড় মমতায় টানে অমোঘ গন্তব্যের দিকে। যেমন টানে মৃত্যু।
তবুও জন্মদাত্রীর অপমানে
প্রতিশোধের আগুন দাউ দাউ জ্বলেছিল।
রক্ত আর আগুনের থেকে জন্মেছিল
সেই ভূমির। পলির পরতে উর্বর,
রক্তস্নানে স্বজীবনা দহনে শুদ্ধ
জন্মজন্মান্তরের এক নাম বাংলাদেশ।
(বাংলাদেশ)
‘বাংলাদেশ’ কবিতায় বর্ণিত হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা। পাকহানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর চালায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ। জন্মদাত্রীর অপমানে বীর বাঙালির মনে জ্বলে উঠেছিল প্রতিশোধের তীব্র আগুন। বীর বাঙালি প্রিয় জন্মভূমিকে শত্রু মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল জীবন বাজি রেখে। অনেক আত্মত্যাগ আর জীবনের বিনিময়ে, রক্তস্নানে আর দহনে অর্জিত হয়েছিল বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের।
কবিতায় আধুনিকতা একটি বিশেষ বোধ ও বিশেষ মনন ভঙ্গি যা কবি হোমায়রা মোর্শেদা আখতারের সত্তার সাথীতে পর্যবসিত। জন্মভূমির প্রতি আত্মিক নৈবেদ্যের ডালি সাজিয়ে তিনি লোক লোকান্তরে নিজেকে প্রতিস্থাপিত করতে নিরলস শিল্প স্রষ্টার ভূমিকা পালনে তৎপর। আধুনিক কবিতার ধারা যেমন বহুমুখী। তেমনি এর গতি প্রকৃতি অন্তর্দগ্ধ চেতনায় সঞ্জীবিত। জন্মভূমির প্রেম তাঁর বুকের ডহরে আজন্ম জড়িয়ে আছে লতা পাতার স্নিগ্ধ মোহনীয়তায়। কবির রক্ত মাংসের সূক্ষ্ম তন্ত্রীতে তাঁর জন্মভূমি প্রেম আত্মদীপ্ত শিখায় দেদীপ্যমান। 
কবি হোমায়রা মোর্শেদা আখতারের অধিকাংশ কবিতায় দেশ প্রেম, মানব প্রেম, নিসর্গ ভাবনা, দুঃখবোধ, সমাজ সচেতনতা অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসেবে ধরা দিয়েছে। তাঁর কবিতায় জীবনের ঘ্রাণ আছে, আছে মাটির সোদাগন্ধ। পাঠক তাঁর কবিতা পাঠে পরিতৃপ্তি পাবে বলে আমার বিশ্বাস।    





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন