সোমবার, ১০ জুলাই, ২০১৭

গোপন দেউড়ী - অনাদি রঞ্জন বড়ুয়া

গোপন দেউড়ী

তারা কিভাবে জেনে গেছে, আমি
কবিতা লিখি মাঝরাতে।
নিঝুম নিশিরাত, একখন্ড নীলমেঘ
সেও জানে মধ্যরাতে আমার ঘুম ভাঙে ।
কি এক অভিনব বালিকা, কতো বলেছি
তারে, এ সময়টা সময় নয়।
নিরুদ্রুপ একটি রাতের প্রহরে
ছায়াপথ মারিয়ে কেন যে আসা ?
আমার বাগানের কাঠ গোলাপ,
রাঙা পাথরকুচি, তারাও কানাকানি করে
আমার কষ্ট শুরু হয় মধ্য মরুদ্যানে ।
পাথর ভাঙার বির্বণ কোলাহল, মাঝবয়সী
নারীর অপূর্ণ যত দুর্বিনীত শিখা-
কি করে বলে, আমার সূয্য জাগে 
নিশীত অন্ধকারে।
তারা কিভাবে জেনে গেছে
আমার যত কবিতা, বৃদ্ধা মাকে
একখন্ড ভালবাসার মেঘ ছায়া দেয়।
কিভাবে পথকলি গুটিশুটি ঘুমায়-
নিরুদ্রুপ শীতল বালুকনায়।
তারা কিভাবে জেনে গেছে
আমার সমস্ত ঘুম কেড়ে নেয়া এক একটি
যন্ত্রণা, পিচাশের উল্লাসে ভেঙে পরে রাত নিঝুমে
আমাকে নির্ঘূমে দেয় দু: খ বিভোরতা,
কষ্টের নিরুত্তাপ ভালবাসা জাগায়
দুঃখের গহীন রাত।
আমাকে মার্জনা করো 
তারা কিভাবে জেনে গেছে-
রাতের যত জোনাক, নিভে যাওয়া যতো আলো
আমাকে করেছে ঋণী।
বালিকা তুমি ফিরে যাও- হয়তোবা কোন কালে
ফের দেখা হবে কোন কবিতায়।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন