বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

নষ্ট কুটুম ।। রেবেকা রহমান















নষ্টকুসুম


অতঃপর তাহারা সুখে কালাতিপাত করিতে লাগিল। এমন রুপকথার কথাগুলি যদি কথা হতো? তাহলে এত অসহিষ্ণুতা আমাদের গ্রাস করতোনা। আমাদের আত্মকেন্দ্রিক মনোভাবই কি আমাদের দুরত্বের জন্য দায়ী নয়?
দাম্পত্যর মধু আর তার সুলুকসন্ধানের জন্য সত্যি কি দারস্থ হওয়া যায় কোন
জ্যোতির্বিজ্ঞানীর কাছে? যেদিন আমাদের পেপারে আমরা সাইন করলাম। আমাদের সেপারেশন হয়ে গেলো। কানাঘুসা চারপাসে
: ইস! এমন রাজযোটক, বড় প্যাথেটিক ব্যাপার!
: সেই তো আমরা তো ওদের সুখী দম্পতি বলেই জানতাম।
আমরা কিন্ত নির্বিকার ছিলাম। যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। আলাদা দুই ফ্ল্যাটে দুইজন। তারপর আলাদা শহর আরো পরে আলাদা
দেশ...
আজ বুঝি দুইজনের অসম্ভর কেরিয়ারিস্ট
ছিলাম বলেই আমাদের একসাথে থাকা হলোনা। আমাদের একে অন্যকে সময় দেয়ার অবকাশটা বলো ছিলো কোথায়? 
সেখানে সন্তানের ভাবনা বলাবাহুল্য।
এতদিন পরে আজ তোমার ফোন পেয়ে
আমি এত বিহ্বল হয়ে গেছি। তুমি আমায় দেখতে চেয়েছো জ্যোতিষ্মান! আমার আপাদমস্তক এভাবে দুলে উঠলো কেন?
প্রাক্তন স্বামীর জন্য এভাবে এতদিন পর এত অস্থিরতা!
আজ এই প্রথম মনে হলো আমি বড় একা..
" ভালবাসার অষ্ট প্রহর " যৌথ অণুগল্পের বই

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন