স্বপ্ন ও শেষ অধ্যায়
(২য় খণ্ড)
রিনি কোথায় বিথি ? এখনও দেখতে পেলাম না। ও জানেনা আজ সকাল আট্টায় খুব গুরুত্ত-পুর্ন একটা ক্লাস আছে?
আমি জানিনা তবে আসার সময় রিনির রুমের দরজা বন্ধ দেখলাম। নক করেছি কয়েকবার কিন্তু কোন সাড়া শব্দ পেলাম না।
কি বলছিস বিথি ? তুই ঠিক দেখেছিসতো ?
হ্যা রে রুমি , আমি ঠিক দেখেছি । পরে ভাবলাম ঘুমাচ্ছে তাই আর দেরি করিনি ।
তুই চলে এলি? এতটা নির্বোধ হলি কি করে ? রিনি এতসময় ঘুমায়-দেখেছিস আজপর্যন্ত ?
রুমি দেখ আমার মন ভালো নেই । তোর এত চিন্তা হচ্ছে তাহলে তুই খোজ নিলিনা কেন? এখন যা , দেখে আয় কি করছে ।
তুই ভাল করেই জানিস বিথি আমি কেন এত সকালে চলে আসি। আমার অর্থনৈতিক অবস্থা কি । বলতে গেলে লেখা পড়ার খরচ আমার নিজেকেই চালাতে হয়। আজ কিছু টাকা পাবার কথাছিল। সকালে উঠে গিয়েছিলাম সেই টাকাটা আনতে। আমি তোদের মত সোনার চামুচ মুখে নিয়ে জন্ম নেইনি । যাইহোক বাদ দে এসব কথা , আমার এইসব বলতে আর ভালো লাগে না । তুই যা বিথি, আমি দেখে আসি রিনি কি করছে।
রুমির কথাগুলো শুনে বিথির মন খারাপ হয়েগেলো । নিজেকেই নিজে দোষারোপ করতে থাকে । বুঝতে পারে রিনি কে কষ্ট দেয়া ঠিক হয়নি । অবশেষে সিদ্ধান্ত বদলায় বিথি ।
রুমি দাড়া, আমিও যাব তোর সাথে।
রুমি থমকে দাঁড়ায় , অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে বিথির দিকে ।
কি দেখছিস ও ভাবে রুমি ? চল , দ্রুত যেতে হবেতো । তা না হলে হয়তো ক্লাসটাই আর করা হবে না ।
তুই যাবি বিথি ? তাও আবার রিনির খোজে?
তোরা আমাকে খুব সার্থপর মনে করিস তাইনা রুমি?
ঠোঁটের কোনে হাসির রেখা ভাসিয়ে রুমি বলে - তুই বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে। শখ করেই এই হোষ্টেলে থাকিস। তোর সাথে আমাদের তুলনা করা ঠিক না। এতে তোর মান সম্মান নষ্ট হবে।
রুমি এভাবে বলিস না। তোরা আমার অনেক কিছুই জানিস না।
কথাগুলো বলতে বলতে বিথির গলাটা ধরে আসে। চোখের কোনে ভেসে ওঠে কষ্টের নোনা জল ।
কিরে বিথি তোর চোখে পানি?
নিজেকে সামলে নিয়ে বিথি বলে – চল , এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে ।
।।
চলবে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন