সোমবার, ১৪ মে, ২০১৮

মুক্তি ।। মাসুদ চয়ন










মুক্তি

আমি পালাবো কোনো এক প্রলয়ী রাতে,
অঢেল বেদনার নীরবতা যাবে সাথে,
হৃদয় আরালে লুকায়িত চাঁপা অবসাধ আর মিথ্যের আরাধ্য গ্লানিবোধো যাবে সাথে।
অনিয়মের গ্লানি আচ্ছন্ন ক্ষুরধার মিথ্যে বাণীর অর্চনা,
নারীত্বের উপর চাপানো নিয়মিক বেহায়াপনা,
দালাল চক্রীয় অবিনাশী টক্কর,
নেতৃত্বে ভন্ডভাষী নেতা,
ঘুষের আঁচড়ে কলুষিত মনুষ্যত্ব,
দিনে রাতে অবিচল চলে রেপ এর রাজত্ব,
ছাড় নাহি পায় নিষ্পাপ শিশুও যাতে,
সভ্য বাদীরা বলে,
আমাদের কি বা যায় আসে তাতে তাহাঁতে!


কুমারীত্বের প্রহর কালীন ফুলকলি বোন সকল,
কেনো নষ্টা খেতাবে নাম পাবে!
আর হৃদয় ক্ষরনের উত্তাপে পুরুষের পাশবিক ভুখন্ডে চাঁপা খাবে!
এখানে নিয়মের অনিয়ম,
আইনের অপ্রফলিত নষ্ট যত্রতত্র কারন,
কেবল তাহা সত্য চিত্তে মাথা উঁচিয়ে বলতে বাড়ণ,
যুগ যুগ ধরে বহিত হয়ে আসা প্রচলিত প্রথার মতন।


তীব্র বেগমান চিত্ত,মনে জাগে তবু ভয় !
যদি তাহা হয় আজন্মের প্রচলন!
না হয় কখনো ক্ষয়,
পেয়ে যায় অমর নক্ষয়ত্ব,
হবে মানবতা আরো বিলীন,
পাবে অরাজকতা তীব্রতর রাজত্ব।
আর ওদের অট্ট হাসিতে আমাদিও শান্তি পাড়া হবে বেদনাদগ্ধ,
বিলীন তত্বে তীব্র আড়স্ট,
নিচু শ্রেণীর মানবেরা হেথায় বাঁচে পথের কুকুরের মতন!
আমি পালাবো কোনো এক নির্জন জনহীন পথ বেয়ে,
ঘুটঘুটে আঁধারের মুসাফির ফেরারি হয়ে,
সেই দূর দিগন্ত বনবাসে,
যেখানে পৃথিবী নিস্তব্ধ,
শুনশান হতবিম্ব,
আর মনুষ্যবিহীন শুন্যতা স্পষ্ট।
সেখানে মনুষ্যত্ব জাগাবো বোধহীন পশু পাখিরে জগিয়ে।
যদি পাড়তেম তাহাঁতে যেতে,
নিয়মের অবরুদ্ধ কারাগার ভেদ করে,
দাসত্ব হতো মুক্ত,
মনুষ্যত্ব হতো জাগ্রত,
আরো তীব্র জ্বালানিয়া প্রাপ্তিতে উদ্ভাসিত হতো মানবতা,
আমার কলমের নিয়মের পরাধীনতা ভাঙতে দেখে,
মুক্ত পৃথিবীর পরাধীনরা স্নিগ্ধ সকাল পেতো,
আমার অনিয়মের কথা গুনে,
হৃদয় অন্তঃ নিমগ্ন বাসনায় তাহা শুনে।
পিছুটানহীন সেই প্রয়াসে,
ভয়ডরহীন বেড়ুতো মুক্ত কথন,
একটি স্নিগ্ধ সকাল উঠতো,
বাঁধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়াতনা ভন্ড চক্র দানব,
অজস্র হার কাঁপানিয়া হুমকিত চেতনা পেতো মুক্তি,
আর তোমরা পেতে শান্তি!
শান্তি!
আর শান্তি!
আমি বলি পৃথিবীর সমস্ত কবির হৃদয় ক্ষরিত আহ্বানে,
সভ্যতার মনুষ্যত্ববাদী কান্ডারী হয়ে,
তোমরা জাগো!
পৃথিবী পাড়া হতে পাড়েনাই স্বাধীন মনুষ্য পাড়া,
দিবানিশি থরে বিথরে ঘটে চলেছে মানব নিধনের কলুষিত বিপন্ন মানবিক যুদ্ধ।
স্বজাতি কিংবা অজাতির রক্তে রাজসিক নৌ ভাসানোর অমানবিক নোংড়া অভিলাশ।
কবি তাই গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে সভ্যতার মুক্তির আরাধনায় মগ্ন হতে চায়।
রচিবে মানবিক কাব্য আর মৌলিক কথনের বিপ্লবী প্রয়াস।
কবি চায় মুক্ত হতে,
কবি চায় পালাতে নিয়মের অনৈতিক বেড়াজ্বাল হতে।
এই পালানো মানে সেই পালানো নয়।
অমনুষ্যত্ব কে ছেড়ে মনুষ্যত্ব জাগানোর আরাধনায় পালিয়ে মুক্ত হওয়া মাত্র।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন