সোমবার, ১৪ মে, ২০১৮

অবন্তিকার কাছে খোলা চিঠি ।। সুশান্ত হালদার












অবন্তীকার কাছে খোলা চিঠি (২০)
              

প্রিয় অবন্তীকা -
বাতাসে অক্সিজেন ভরা অথচ ভ্যাঁপসা গরমে শ্বাস বন্ধ হওয়া শহরের অস্থির উদ্বাস্তু দাঁড়কাকের মতো অরণ্য আজ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ অসহায় পিতা! পূর্ণিমা, আসিফা যখন নরখাদকের  শিকার তখন পিতৃত্বের দাবি নিয়ে লজ্জায় ঘৃণায় ডিজিটাল সমাজের প্রতি আনে অনাস্থা! অবন্তীকা, কি চেয়েছিলো অরণ্য  ? বেঁচে থাকার জন্য একটু আবাস, ক্ষুধার্ত পেটে দু'বেলা খাবার,চিকিৎসা না হলেও চলতো যদি থাকতো অপঘাতে না মরার নিশ্চিত ভবিষ্যৎ! জোছনার আলোয় যখন চাঁদের বুকে রাখতে চায় সূর্যের ভালোবাসা তখন চারদিকে হাহাকারে ভরা ঘোর অমানিশা। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও আশা নিরাশার দোলায় যখন নিকোটিন করে হৃদয়ে বাসা তখন কবিতায় খোঁজে বন্ধু লাকি হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকা। প্রকৃতির শুদ্ধতায় বেড়ে উঠে কবি ও কবিতা শুধু জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে হতাশার ঝোলায় কষ্ট ভরে সুখ কুড়াতে চায় টুপুল, জেসমিন আপা! এভাবেই যদি কেটে যায় জীবন তবে হারিয়ে যাবে একদিন আমার ভালোবাসার কবিতার খাতা!

প্রিয়তমা-
দুর্ভাগ্যের ললাটে অরুণ যদি হয় ভোরের কুয়াশা তবে কেনো খুনির লোভ লালসায় পচন ধরেছে আমার সোনার বাংলা? তবে কী ভুল করেছিলো পিতা! নাকি বুঝিনি সোনায় মোড়ানো সহজে পাওয়া পিতৃপুরুষের গচ্ছিত স্বাধীনতা? রবির কবিতা নাকি হিন্দুত্বে ভরা, নজরুল অসাম্প্রদায়িক চেতনা, - তবুও কেনো বিবেকবোধে ওদের মনে আজ ধর্মের নামে হীনমন্যতা? একই আকাশ-একই বাতাস- একই জলে করি স্নান, তবে কেনো স্থান কাল পাত্র ভেদে ওরা হয় তালেবান?

অবন্তীকা -
বিশ্বাস যদি করো আমিই সেই কবিতার ফেরিওয়ালা তবে মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়েও শুনাবো তোমায়  - 'আমার কবিতার পঙক্তিমালা' ! প্রিয়তমা- ভুল করেও ভুল করো না যদি দিয়ে থাকি আঘাত, মানুষের জীবন ত্রুটিপূর্ণ - "মৃত্যুর মতো সহজাত" ! যদি হারিয়ে যাই অসময় দেখে নিও ফুঁটেছে মনুষত্বের  বাগানে দু'টি পারিজাত ! একটি কুঁড়ির দু'টি পাপড়ি হিন্দু-মুসলমান, গীতা বাইবেল ত্রিপিটক তখন কবিতার করবে জয়গান!
                          

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন