সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭

অনির্ণীত সত্বা ।। রাসেল মোরশেদ


অনির্ণীত সত্ত্বা
অভয়ারণ্য হরিণী চোখে চেয়ে যেদিন শব্দতরে বলেছিলে ভালোবাসো আমায়,
দু ঠোটের ইশারায় মহিমা এসেছিলো সেদিন শতাব্দীর মৃত উপত্যকায়।
পিপাসাত্ব মরোদ্যানে যেদিন কল্পনার পায়চারি ছিল গন্তব্যহীনে,
গাঙচিল যত অজ্ঞাতে চক হারালো চেয়ে পাখমের ধোঁয়াশনে।
সেদিনের রাত-রাত নয়!মহামান্বিত দূত বশে দেহরক্ষে ছিলো,
আকাশ দূর মহাশূন্যে উল্কাপাত ঘটিয়ে জোড়- শালিকে সম্মান দিলো।

যেদিন পড়েছিলো পাশে প্রচীরের শৈবালের শেষ অস্তিত্বটুকু খসে,
আহা!সেদিন ভয়ালে দেহ ঠোট বুকে সঙ্গমে লেগেছিল ঠেসে।
সেদিনের পরে ছায়ার স্পর্শ খুঁজে খুঁজে হাওয়ায় বুক পরিপূর্ণ,
তবে প্রশ্ন জাগে,এ ভালোবাসা কি অতীতের অপূর্ণ সভ্যতার জন্য?
স্পষ্টে বলে দাও!অতন্দ্র প্রহর খুঁজে না হয় যেন ছিন্নে হন্য।

মোনালিসার অক্ষত হাসিতে যেদিন তৃপ্তালো স্বপ্ন দেখালে আমায়,
অবারিত প্রেমে চাঁদের হাসি ফোটলো সেদিন ধূসর পরিত্যক্ত মহল্লায়।
হাহাকার সাগর ঢেউয়ে যেদিন আশার পর্যটন ছিল বহালে,
নারীর বুক ছেড়ে ইতিহাসের প্রেমিকরা মুখ লুকালো মহাকালে।
সেদিনের ক্ষণ-ক্ষণ নয়!মহাতরান্বিত তারা অসমাপ্তিতে জ্বলেছিলো,
মহাবিশ্বে সব মাধ্যাকর্ষণ ছুঁড়ে চার আঙুল সঙ্গমে শ্রদ্ধা জানালো।

যেদিন নিশীথে বৃদ্ধ আরশোলার ভ্রান্তিতে দেহ বিচরিত হলো,
আহা!সেদিন হাত অনাগ্রহে ভয়ের খাতিরে শীতলীর স্পর্শ পেলো।
সেদিনের পরে আঁধারের ভয়ার্ত খুঁজে খুঁজে জনম চির চোখবুজে,
তবে প্রশ্ন জাগে,এ ভালোবাসা কি দিয়ে দেবে আসলে কেউ পিঁপড়ে সেজে?
স্পষ্টে বলে দাও!যাতে নিজে নিজে মানিয়ে নিতে পারি আর না খুঁজে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন