গাঙচিল
( উৎসর্গ- কবি দীলতাজ রহমানকে )
উড়াল দিয়ে যে গাঙচিল চলে যায়
তার পায়ে বেঁধে থাকে মায়ের কাঁকন
অনেক অনেক গভীর সমুদ্রের ঢেউ এ জাগে সাবলীল ফেনা
রৌদ্র খেলে, খেলে চাঁদের আলো
স্নেহরা থাকে দূরে আহত, স্মৃতিরা জ্বলন্ত
জ্বালায় পোড়ায় আবার চোখের জলেই
যত্নে নিভিয়ে দেয় ক্ষত।
চিত্র কল্প ভাসে রাজহাঁসের মাথায়-ক্যামেলিয়া ফুলে,
স্নেহরা ভাসে না-
চুপসে যাওয়া বেলুনের মতো বায়ুশূন্য হৃদয়ে
হাহাকার করে ওঠে অগ্নিগোলক
খর রৌদ্রে ফুটে মাথার মগজ, চুইয়ে পরে ঘাম
স্নান ঘরের জলধারা ই তখন ডাকে কেবল
অন্তর শোনে মায়ের গলা।
আবারো উড়াল দেয় গাঙচিল
সময় দরিদ্র মানুষগুলোর জীবন ঘুরে চলে গাড়ীর চাকায়
সূর্য ওঠে- সূর্য ডোবে
মাসে একবার পূর্ণ চাঁদ ও উঁকি দিয়ে যায়।
প্রবাসের বিরাজমান বাতাস হয় আরো স্বাস্থ্যকর
দেহের ফুসফুস ফুলে ওঠে আনন্দে
আহা...
কি এক অপার্থিব দ্বৈততায় গুমরে ওঠে হৃদয়
হৃদয়ের ফুসফুস চিৎকার করে ওঠে-
“আমাকে বাতাস দাও,
দাও স্নেহের আদর
মা চলে গেছে কবে-তাই কি
থামবে না এই আগুনে ঝড়!"
বিষদৃষ্টিতে পুড়ে ধর্মগ্রন্থ -ইয়াতিম মন খোজে মা'য়ের মন্ত্র।
পায় না, ওটা পাবার নয়
মাঝে মাঝে শুধু টের পায় আরো কিছু ঝড় আসে
স্নেহ মাখা সাগরের ফেনা মেখে দেয় গালে
মায়ের কাঁকন বেধে উড়ে যায় এক গাঙচিল দূরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন